মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ, ২০১৭

রহস্যে ঘেরা চরহোগলা জমিদার বাড়ি....

রহস্যে ঘেরা চরহোগলা জমিদার বাড়ি
---------------------------------------------------------------------------
বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ থানার চরহোগলা গ্রামেই এই জমিদার বাড়ি। স্থানিয়দের কাছে 'কালা মিয়া বাড়ি 'নামেই পরিচিত। এই জমিদার বাড়িকে নিয়ে অনেক রহস্যময় কাহিনী জরিয়ে আছে ইতিহাসের পাতায়।তার ভিতর দু একটা কাহিনী লিখলাম।
জমিদার বাড়িটা আনুমানিক দুইশত বছর আগে তৈরি হয়েছিল।প্রধান রাস্তা থেকে জমিদার বারি জেতে রাস্তার বায়ে বিশাল দিঘি,আর রাস্তার অন্যপাসে বিশাল কবরস্থান।এ বাড়ির জমিদার থেকে নিয়ে এই যাবত যতো মানুষ মারাগেছে,সকলকেই শুইয়ে রাখা হয়েছে এই কবরস্থানে।জমিদার বারির কাচারিতে থাকত এক অন্ধ হাফেজ।তাকেও এই কবরস্থানে কবর দেয়া হয়েছে।রাতের বেলায় তার কবরের পাশ দিয়ে যাওয়া আশারর সময় একটা শুঘ্রাণ পাওয়া যায়।যা এখনো বিদ্যামান।জমিদার বারির সামনে মাঝারি একটা মাঠ আর মাঠের পাসেই রয়েছে বাড়িরর মসজিদ। ওই মসজিদে গভির রাতে জিনেরা নামাজ আদায় করতো। যারা আগে তাহাজ্জুদ নামাজ পরতে মসজিদে যেত,তাদের দুএক দিন মিছ গেলে ওই জিনেরা তাদের বাড়িতে এসে মসজিদে যাওয়ার জন্যে আহবান করতো।
জমিদার বাড়িরর ভিতর দিয়েই বাড়ির লোকদের যাওয়া আশার রাস্তা। আনুমানিক পঞ্চাশ বছর আগে থেকে জমিদার বাড়িটি পরিত্যাক্ত অবস্থায় পরে আছে।দিনের বেলায়ি ওই বাড়ির ভিতর যেতে ভয় হয়।ভিতরে চারিপাশ সুধুই অন্ধকার। মনে হয় কে বা কারা যানি ছাদের উপর লাফা লাফি করছে।ছাদে উঠার কোন ব্যাবস্থা কিন্তু নাই।
একদিন গভির রাতে জমিদার বাড়ি থেকে বিকট আওয়াজ আসতে লাগলো। ভয়ে কেউই দেখতে এলোনা।ভোরবেলা এসে দেখতে পেলো ওই জমিদার বাড়ির বাম পাশের ছাধ ধসে পরেছে।এর কারণ আজও সকলের অজানা।
আজো সন্ধ্যা পারহলে জমিদার বাড়ির ভিতর দিয়ে একা একা কেউ যাওয়া আশা করেনা।রাত একটু গোভির হলেই বাড়ির ভিতর থেকে শুনাজায় কান্নাকাটির আওয়াজ।মনে হয় রুমের ভিতর থেকে কারা যেন কান্নাকাটি করছে,আর বলে উঠে আমার জীবন ভিক্ষা দাও এবারের মতন।গোভির রাতে বারির দরজায় কে বা কারা জোরে আঘাত করে তা রহস্যই থেকে গেলো।
প্রতিটি জমিদার বাড়ির মতো এ বাড়িতেও অন্ধ কুপ রয়েছে।যেখানে নাকি মানুষদের হত্যা করে ফেলে রাখা হত।এই কুপের সাথেই সংযোগ রয়েছে বাড়ির উত্তর দিকের একটি খালের।কি আছে ওই কুপের গোভিরে উপরথেকে বুযার উপায় নাই।বিশ বছর আগে পরিক্ষার জন্য তিন চারটে প্রশিক্ষিত কুকুরের গলায় রশি বেধে ওই কুপে নিক্ষেপ করা হয়েছিল।এক রাত পর রশি ঠিকি পাওয়াগেলো, কিন্তু কুকুরদের নয়।তবে উওর দিকের খাল দিয়ে সপ্তাহ খানেক পর কুকুরগুলকে ম্রিত অবস্থায় ভাস্তে দেখা যায়।কুপটির মুখ পরে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।যারা বন্ধ করেছিল তাদের নাকি প্রাই স্বপ্নযোগে কে বা কারা বলত মুখ খুলেদে,নইলে তোকে ছাড়বোনা।
জমিদার বাড়ির পিছনেও একটা দিঘি আছে।ওই দিঘিতে এযাবৎ অনেক মানুষ প্রান হারিয়েছে।এখনো রাতের বেলায় ওই পুকুর থেকে এখনো কারো সাতার কাটার আওয়াজ ভেসে আসে।আমাবস্যার রাতে আওয়াজ আরো বেড়ে যায়।
চাদের আলোতে দেখা মিলে ওই পুকুরে ভাসছে জমিদারদের ব্যাবহারিত নানান জিনিশ। ভোর হতেই তা আবার উধাও হয়ে যায়।আজও কেউ ওগুল ছুইবার সাহস পায়নি।
বছর কয়েক আগে সাপের ভয়ে দিশেহারা হয়ে সাপুড়েদের আনা হল।সাপুড়েরা তিন দিন ওই যাগায় থেকে আবার চলে গেলো। যাওয়ার সময় বলে গেল এই জমিদার বাড়ির ভিতরে ও নিচে অনেক জিনসাপ রয়েছে।ওদের ধরা ঠিক হবেনা।যোদি ধরি তবে,আমাদের তো ক্ষতি হবেই আর এই বাড়িতেও কেউই থাকতে পারবেনা।
সব মিলিয় জমিদার বাড়ির রহস্য আজও উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি কারো পক্ষেই।
.
.
.
.
.
.
.
.
এত সময় ধরে যে রাজবাড়ি টিকে নিয়ে আলোচনা করছিলাম সেই আলোচিত বাড়ি টি আমার পুর্ব পুরুষের ভিটেমাটি।
স্থানিয় ও মুরুবিয়ান দের মতে এই বাড়ি কর্তা হতে বহুমানুষ নির্জ্জাতিত এর ফলে এই রাজবাড়ী টি আজ অভীসপ্ত।
----------------------------------সমাপ্ত--------------------------------
লেখক: নাজিম নোহাস।

Share this

0 Comment to "রহস্যে ঘেরা চরহোগলা জমিদার বাড়ি...."

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন