মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ, ২০১৭

এইরকম লজ্জা এর আগে কখনো পাইনি

এই মুহুর্তে আমি একটা অপরিচিত মেয়ের সামনে বসে আছি।তাও মেয়েটার বাসাতেই।পিছনের রুমটাতে আমার বাবা আর মেয়েটার বাবা মা আছে।
তারা কথা বলছে নিজেদের মধ্যে আর আমাদের দুইজনকে অন্যরুমে পাঠানো হয়েছে।
আমি এর আগে কখনো এইরকম ঘটনার সম্মুখীন হইনি।তাই মুখ থেকে কথা বের হচ্ছেনা।আমার থেকে দুইহাত ব্যবধান দূরত্বে মেয়েটা অবস্থান করছেন।তার দিকে তাকাতেও পারছিনা।খাটে বসার সময়ও ভাবছিলাম আসলে খাটে বসব নাকি চেয়ারে!
এইরকম লজ্জা এর আগে কখনো পাইনি।অবশেষে মেয়েটা নিরবতা ভেঙ্গে মাথা নিচু করে ঘোমটার আড়াল থেকেই বলল আপনার আমাকে পছন্দ হয়েছে?
আমি বললাম যে আসলে আমার' এতটুকু বলতেই মেয়েটা আমাকে থামিয়ে দিয়ে বলল উত্তরটা এক কথার বা এক বাক্যের,সেহেতু সোজা ভাবেই উত্তর দিলে ভালো হয়।
আমি মাথা নিচু করে একটা হাত নাড়াতে লাগলাম ব্যায়ামের মত করে। জিদ উঠতেছিলো মেয়েটার উপরে।কেন আমাকে থামাবে সে? আমি আরেকটু বললে কি এমন ক্ষতি হয়ে যেতো?
মেয়েটা আবার বলে উঠলো কি চুপ কেন? পছন্দ না হলে বলেন চা নাস্তা দেই তা খেয়ে চলে যান।সময় নষ্ট করিয়েন নাহ,নামাজের সময় হয়েছে।
আমি কি বলবো বুঝতে পারছিলাম না।মেয়েটা এভাবে লজ্জা দিবে ভাবিনাই।চা নাস্তার কথা বলে কেও এভাবে লজ্জা আগে কখনো কাওকে দিছে কিনা জানা নেই।
.
মেয়েটা দেখতে ফর্সা আর গোলগাল চেহারার ছিলো।পছন্দ হয়েছিল আমার।আমার আগে বাবার পছন্দ।কারণ বাবার বন্ধুর মেয়ে।আগেও কয়েকবার মেয়েটাকে দেখেছে।মেয়েটার ভাব দেখে রাগ উঠে গেল।আমি পরক্ষণেই বললাম ভীষণ পছন্দ হয়েছে।
কথাটা যে কিভাবে মুখ থেকে বের হলো তা আদৌ জানা নেই।তো মেয়েটা একটা হাসি দিয়ে বলল তো এখন আমার সম্পর্কে কিছু জানার আছে? থাকলে বলতে পারেন।
কি বলব ভেবে পাচ্ছিলাম না।
আমি বললাম আপনার নাম কি? মেয়েটা চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে বলল মেয়ে দেখতে আসছেন অথচো মেয়ের নাম জানেন না?
আমি বললাম আসলে আপনাকে দেখার পর যা জানতাম তার সবই ভুলে গেছি।মেয়েটা হাস্যরসাত্মক ভাবে বলল সব ভুলে যান।সেটাই ভালো।আমার সাথে জীবন কাটাতে হলে প্রতিটাদিন নতুন ভাবে উপভোগ করতে হবে।আর হ্যা আমার নাম রিয়া।
আমি বললাম ভারি সুন্দর নাম,একেবারে আপনার মতই?
মেয়েটা বলল,একেবারে আমার মত মানে? আমি ভারি নাকি? নাকি বেশি সুন্দরের কথা বুঝাচ্ছেন?
আমি কোন কথা না বলে বললাম তাড়াতাড়ি অইরুমে চলেন।আপনার না নামাজের সময় হয়েছে?
.
মেয়েটা চুপ হয়ে গেলো।এরপর বলল চলেন।
বিয়ের কথাবার্তা সব পাকা হয়ে গেলো।বাবা ১০০০১টাকা দিলো মেয়েটাকে। ১টাকা দিলেই নাকি বুঝা যায় মেয়েকে পছন্দ হয়েছে।আসার সময় আমি বাবাকে বললাম আপনি এতগুলো টাকা দিলেন কেন? বাবা আমার গালে একটা চড় দিয়ে বলল হারামজাদা আমার হবু বউকে আমি কিভাবে এরথেকে কম দেই? আমি বললাম পারলে ১লাখই দিতেন। বাবা শেখ মুজিবের ভাষণের মত করে একহাত উঠিয়ে বলল প্রয়োজনে আমার বউকে আমি আমার সমস্ত সম্পত্তি লিখে দিবো।তোর কোন সমস্যা? আমি বললাম বিয়া করলামনা এতেক ছেলেরে থ্রেট দিতাছেন বিয়ের পরদিন না জানি কি করেন।বাবা হাসি দিয়ে বলল তুইতো আমার শেষ অবলম্বন। সম্পত্তিতো এর কাছে কিছুইনা।তুইতো আমার আসল সম্পদ।আর মেয়েটাতো তোর একটা অংশ হয়ে যাবে তাহলে তোর থেকে ওরে কিভাবে কম ভালোবাসবো? বাবার প্রতিটা কথাই আমাকে মুগ্ধ করে।বাবার জন্যে আমার কখনো কোনো রকমের সাজেশনের জন্যে বন্ধুদের শরণাপন্ন হওয়া লাগেনি।
সপ্তাহ দুই পর মেয়েটার সাথে বিয়েও হলো।
বাসররাতে রিয়ার সামনে যাওয়ার পর প্রশ্ন করলে সেদিন না আপনি যেনো কি বলতে চেয়েছিলেন?
আমি বললাম কোনদিন? মেয়েটা বলল যেদিন আমাকে দেখতে গিয়েছিলেন।
আমি বললাম আসলে আমার ইচ্ছে ছিলো প্রেম করে বিয়ে করবো।
মেয়েটা ঘুমটা সড়িয়ে অগ্নির মত লাল চোখ নিয়ে বলল তো আমায় কেন বিয়ে করছেন? সেদিন বলেন নাই কেন? আমি বললাম বলার সুযোগটাইতো দেন নাই।শুধু জানতে চাইছিলেন আপনাকে পছন্দ হইছে কিনা! মেয়েটা চোখ টিপটিপ করতে করতে বলল,প্রেম করে বিয়ের অনেক শখ ছিলো তাইনা?
আমি বললাম সেটাতো আর পূরণ হবেনা।বিয়েতো প্রেম ছাড়াই করেছি।
মেয়েটা আমাকে ধাক্কা দিয়ে মেঝেতে ফেলে দিলো। এরপর বালিশ আর কোম্বল ঢিল দিলো আমার দিকে।এরপর বলল আগে প্রেম করবেন এরপর আমার সাথে বাসর করবেন।প্রেম কত প্রকার ও কি কি? তা আপনাকে বুঝিয়ে ছাড়বো।এর আগে যদি আমার কাছে আসতে চেষ্টা করেন তাহলে খবর আছে।
.
আমি নিজেকে বলদ মনে করে বসে থাকলাম মেঝেতেই।অন্যদিকে মেয়েটা বালিশে মাথা দিয়ে ঘুম দিলো।মনে মনে ভাবলাম জীবনে বিয়ে করলাম আর বাসররাতে বউয়ের সোহাগ পেলামনা।যা পাইলাম তা রাগের গোলা।
তো আমিও সুন্দরভাবে কোম্বল গায়ে দিয়ে ঘুম দিলাম।মাঝরাত ঘুম ভাঙ্গলো কোন এক কারণে।পোশাকটা চেঞ্জ করিনি তা মাত্র মনে পড়ছে।ঘুম ঘুম চোখেই ওয়াশরুমে গেলাম। বাবার ঘরের লাইট জ্বালানো দেখলাম।বাবার মাথাটাও মনে হয় দেখেছিলাম।পরক্ষণেই কে যেনো আমাকে দেখে দরজা লাগিয়ে দিলো মনে হলো।
পোশাক পালটিয়ে রুমে গেলাম।যেয়ে দেখলাম রিয়া শীতে কাঁপছে।বাসায় কোম্বল দুইটাই।একটা বাবার,আরেকটা আমার।তো আমার কোম্বলটা রিয়ার গায়ে দিয়ে দিলাম।এরপর।মেঝেতে এসে আবার শুলাম।এইবার শীতে আমারে পাইছে।আলামারি খুললাম।তিনটা শার্ট আর তিনটা প্যান্ট বের করলাম।একসাথে পড়লাম সবগুলো।অবশেষে দুইটা লুঙ্গি দিয়ে শরীর ঢাকলাম।অফিসের সু জোতাটাও পায়ে দিয়ে ঘুমাই।
.
সকালে প্রচন্ড পেট ব্যাথায় ঘুম ভাঙ্গে।রিয়া খাট থেকে নামার সময় একেবারে আমার গায়ের উপর পারা দেয়।আমি নড়ে উঠলে রিয়া সরে যায়।
পরে রিয়া আমাকে বলে আপনের এই অবস্থা কেন? কোম্বল কোথায়?
আমি চোখ বন্ধ করে জিদ দেখিয়ে বললাম,আমার বাসায় দুইটাই কোম্বল। একটা বাবার একটা আমার। আর আমারটা যেহেতু আপনের গায়ে ছিল আর আপনার বাপের বাড়ি থেকে যৌতুক হিসেবে কোন কোম্বল না পাওয়ার কারণে আমার শীত অনুভব হওয়ায় তা থেকে বাচতেই এই অবস্থা আমার।বুঝছেন?
রিয়া আমার কথা শুনে হাসতে লাগলো।আমি বললাম হাসেন হাসেন।ঘন্টায় ১৫মিনিট হাসা ভাল।আর মেয়েরাতো দিনরাত চব্বিশঘন্টাই পাগলের মত হাসতে পারে কারণে অকারণে।
রিয়া বলল,এক্সকিউজ মি মিস্টার।মেয়েরা পাগলের মত না পাগলীর মত হাসে। হিহিহিহিহিহিহিহিহিহিহিহি
.
রিয়াকে হাসতে দেখে মনে কেমন জানি অন্যরকম একটা অনুভূতি জাগে।আমি উঠে দাঁড়ালাম। রিয়ার হাত টান দিয়ে পিছনে ঘুরালাম।এইবার উনি ব্যথায় চিৎকার দিছে।আমি বললাম হাসেন না কেন? রিয়া বলল উহহহুহু ছাড়েন।
আমি ছেড়ে দিলাম।এরপর আমাকে বলল রান্নাঘরটা দেখিয়ে দিতে।আমি দেখিয়ে দিলাম।
ফ্রেশ হয়ে এসে চিৎকার দিলাম বাবা তুমি চা বানাইছো নাকি আমি বানাবো?
বাবা চা খেতে খেতে রুমে এসে বলল, আমার মেয়ে বানাইছে।দারুণ হইছে খেয়ে দেখ।তোরটারমত চিনি বেশী হয়নি আর আমারটার মত কমও হয়নি।হাহাহা
আমি বাবাকে বললাম এইযে তোমারও তারছিরার সাথে থেকে থেকে মিড়কি ব্যারাম উঠছে।হুদাই হাসো।
বাবা বলল বউমা তোর জন্যে চা নিয়ে আসিতেছে খেয়ে দেখ ভালই হইছে।আজ সারাদিনে আর ক্লান্তি লাগবেনা।জাদুর পরশ দিয়ে বানিয়েছে।
ইতিমধ্যে রিয়া এসে পরে।আমার সাথে এমন ভাব নিল যেনো কিছুক্ষণ আগেও কিছু হয়নি।আলমারি থেকে আকাশী কালারের শার্ট, সাদা ব্লেজার আর সাদা প্যান্ট বের করে সামনে রাখল।বাবা বলল বউমাতো খুব স্মার্ট কাজকর্মে।
.
আমি দুইজনের কথাবার্তা শুনতেছিলাম আর রাগতেছিলাম।শার্টটা হাতে নিয়ে বাবার দিকে তাকিয়ে বলল বাবা দেখছেন শার্টের কলারের অবস্থা? বছরে একবারো মনে হয়না সাবান বা সার্ফেক্সেল দিয়ে কলারটা পরিষ্কার করছে!
বাবা কিছু বা বলে কেটে পড়লো।রিয়া বাবাকে থামিয়ে বলল দাড়ানতো বাবা।আপনের শার্টের কলারটা একটু দেখি। বাবার শার্টের কলারেও একই অবস্থা।আমরা শুধু দুজনই একবার করে পানিতে ধুয়ে ফেলতাম শার্ট।
রিয়া আমাকে বলল নাস্তা রেডি আছে।আপনি নাস্তা করেন আমি এতক্ষণে শার্টের কলারটা ধুয়ে ইস্ত্রি করে দিচ্ছি।
আমি কোনো কথা না বলে নাস্তার জন্যে চলে গেলাম।বাবা আমার কাধে হাত দিয়ে বলল কিছু শিখ এবার।সারাজীবন শুধু টাকাই কামাইতে শিখছোস।মেয়েটা কিন্তু একেবারে পারফেক্ট তোর জন্যে।
আমি কোনো কথা না বলে নাস্তা খেয়ে রুমে চলে গেলাম।রুমে যাওয়ার পর রিয়া নিজ হাতে আমায় শার্ট পরিয়ে দিলো।শার্ট পরিয়ে ব্লেজার পরানো শেষে টাই টা পরিয়ে দেয়ার সময় বেশী জোরে টান দিতেই আমি চেঁচিয়ে উঠি মারবেন নাকি বলে।
রিয়া বলে আপনাকে মারলে আমার সখগুলো কে পূরণ করবে?
আমি কথাটা শুনে রিয়ার মাথাটা ধরে আমার মাথার সাথে শক্ত করে কয়েকটা টাক দিলাম।এরপর বললাম লোকে বলে আমার নাকি কপাল খারাপ।আপনার কপাল মনে হইতাছে ভালো।তাই ঘষা দিলামনা একেবারেই টাকই দিলাম।যেনো ভালো হওয়ার কোনো অপশন বাদ না যায়।
.
অফিসে যাওয়ার আগে বলল দেখেশুনে যাইতে।এই কথাটা শুনার পর মনে হলো আসলেই বিয়ে করেছি।
অফিসে যাওয়ার পর সবাই এমন ভাবে তাকালো যেনো পৃথিবীগ্রহে এলিয়েনের পদার্পণ।আমি বললাম কি হইছে? তখন একজন বলল স্যার আপনি না ছুটিতে? গতকাল না আমরা আপনার বিয়েতে গেছিলাম?
আমি উহ শিট বলে মাথায় হাত দিলাম।আমিতো ছুটিতে। আরো চারদিন ছুটি আছে আমার।তাড়াতাড়ি করে অফিস থেকে বের হয়ে মাথার চুলগুলো সব আউলাঝাউলা করে ফেললাম।
বিয়ার পর মাথা পুরোটাই আউলাইয়া গেছেগা।
শাহবাগের মোড়ে ফুলের দোকান দেখে কি মনে করে যেনো ফুল কিনতে মন চাইলো।কয়েকরকমের ফুলের তৈরি রিং কিনলাম একটা সাথে একগুচ্ছ গোলাপ।
বাসার নিচে এসে বাবাকে ফোন দিলাম।বাবা জানালো রিয়া কাপড়চোপড় ধৌত করছে।আমি বাচ্চাদের মত খুশীতে লাফাইতে লাফাইতে বাসায় যেয়ে সবকিছু খাটের নিচে লুকিয়ে রাখলাম।
.
আমাকে বাসায় দেখে যেনো রিয়ার মাথায় আগুণ উঠে গেছে।একেরপর একটা শার্ট আর প্যান্ট আমার দিকে ছুড়ে মারতাছে আর বলতাছে সবগুলো রৌদ্রে দিতে।মেজাজ এইবার একেবারেই খারাপ।খাটের নিচে ঢুকলাম।ফুলগুলো একেবারে দূরে গেছেগা।পুরো শরীরটা একেবারে ঢুকিয়ে ফোনের ফ্ল্যাশ দিয়ে রিং আর ফুলগুলো আনতে গেলাম।যেই নাহ রিংটা ধরতে যাবো সেই মুহুর্তে কে যেন পা ধরে টান দিয়ে আমায় বের করতে চাইলো।বের করেও ফেলল।এইবার রিয়ার দিলে তাকিয়ে দেখলাম সে রাগে ফুলে আছে।চেহারায় সাবানের ফ্যানা।আমি ফুলগুলো একে একে তার দিকে ছুড়তে লাগলাম আর বলতে লাগলাম কচুর সারপ্রাইজ দিবো।বিয়ের একদিনের দিনেই লাইফ পুরা চেঞ্জড হইয়া গেছেগা।
ফুল যখম ছুরা শেষ তখন দেখলাম চোখে পানি রিয়ার।
.
উনার পানি দেখে আমারও মনটা নরম হয়ে গেলো।আর এই মুহুর্তে বাবা রুমে আসলে আমার বাসায় আর জায়গা নাই।
তো কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর ইদুরের মত আবারো খাটের নিচে ঢুকলাম।রিয়া এতক্ষণে আবার গোসলখানায় কাপড় কাচতে গেছে।
রিংটা নিয়ে রিয়ার কাছে যেয়ে পিছন থেকে বললাম পরবে?
রিয়া বলল কি পরবো? পরিয়ে দিতে পারেন নাহ? দেখছেন না কাজ করছি?
আমি রিংটা রিয়ার মাথায় দিয়ে দাড় করিয়ে গোসলখানার আয়নায় তাকে দেখালাম।
রিয়া প্রথমে লজ্জা পায় আর মাথা নিচু করে রাখে।
তবে এই শান্ত পরিবেশ বেশিক্ষণ থাকেনা।আমার সারা শরীর পানি দিয়ে ভিজিয়ে দেয়।
অবশেষে আমার চিৎকার শুনে বাবা ঝাড়ি দিলে আমি বের হয়ে যাই।
.
রাতে আলমারি থেকে আগেরদিনের মত শার্ট আর প্যান্ট বের করার জন্যে আমি আলমারি খুলি আর রিয়া আটকে দেয়।আমি কারণ জানতে চাইলে বলেনা।অবশেষে ঝারি দেই অই সমস্যা কি?
রিয়া আমার কথা পুরোটা শেষ হওয়ার আগেই ঝরিয়ে ধরে আমাকে আর বলে "প্রেমে পড়েছি"।
আমি বললাম ভেবেছি আগামীকাল আরেকটা কোম্বল আনবো।এখন মনে হয় একটাতেই হবে।রিয়া আমার দিকে তাকালো একবার তারপর আবারো বুকে মাথা রাখলো দুই চারটা কিল ঘুষি দিয়ে।

Share this

0 Comment to "এইরকম লজ্জা এর আগে কখনো পাইনি"

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন