মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ, ২০১৭

*আমার বারো চাদের গল্প*

November 15, 2016 ·
*আমার বারো চাদের গল্প*
জীবনটা আসলেই সুসজ্জিত এক মটর গাড়ী, যেখানে সাওয়ারী করে আমি, আপনি, তুমি, সে ও তুই নাম ধারী কিছু যাত্রীরা।
এই মটর গাড়ী এক অদ্ভুদ পীচ ঢালা পথে এগুতে থাকে; এক অন্যরকম গতিময়তায়।
কিন্তু এই পীচ ঢালা পথ; সব সময় মসৃন হয় না।
কিছুটা পথ এগুতেই সম্মুখিন হতে হয়... একএকটা ভীমের সামনে।
সে বাধা হয়ে দাড়াঁয় প্রকান্ডতায়, নিজেকে জাহির করে হিমালয় বলে। যদি কেউ এই ভীমগুলো সহজভাবে অতিক্রম করতে পারে, তবেই সে পৌছাতে পারে তার অভিষ্ট লক্ষ্যে। আরযারা ব্যর্থ হয়, তাদের জন্যই অপেক্ষা করে মহা-অমানিশা নামক কিছু দুঃখ।
সেই লক্ষ্য আর দুঃখের মাঝে আজ আটকা পড়েছে নাজিম নোহাস।
Staff reporter Md. Nazim Nuhas
Camera Effect - Md. Rabbi

হিসাব করি শুধু।

আমরা মানুষরা নিজেই নিজেকে অসুখী মনে করি
আর অসুখী করে ফেলি,
তার প্রথম আর প্রধান কারণ আমরা সর্বদা ব্যর্থতার

জীবনটাই যে মস্ত বড় পাওয়া এটা মৃত্যুর আগ মূহুর্ত
ছাড়া
আমরা অধিকংশরাই তা বুঝতে চাই না।

হিসাব করি শুধু।
(নাজিম নোহাস)*****
হয়তো কোন দিন মনে পড়বে সৃতি গুলো ,
বুকটাকে সেদিন মনে হবে মরুভুমির মতো ।
কোন দিন মনে পড়ে যদি আমার কথা ,
আমার ঠিকানায় পাঠাইয়ো একটা বার্তা ।.
.
.
.
.


 

একা থাকার মাঝেও একটা অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে,,,,,,

একা থাকার মাঝেও একটা
অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে,,,,,,
না আছে কাউকে হারানুর ভয়,
আর না আছে কাউকে ফিরে
পাবার আশা ....
.
.



.
.
.
লেখক: নাজিম নোহাস।

বৃষ্টির গান আর বারান্দায় বসে চা বা কফি খেতে খেতে বৃষ্টি দেখা।

বৃষ্টি হলেই আমার কিছু কমন জিনিস করা হয়, যদি বৃষ্টিতে ভেজার অবস্থা না থাকে।
পিসিতে বৃষ্টির গান আর বারান্দায় বসে চা বা কফি খেতে খেতে বৃষ্টি দেখা।
সময়টা যদি হয় রাত তাহলে গানেরও দরকার হয় না, বৃষ্টির শব্দের মত চমৎকার গান আমি আমার জীবনে কমই শুনেছি।
বৃষ্টিতে ভেজার ক্ষেত্রে কোন বাছবিচার নেই, সবই আমার পছন্দ।
ছাদে ভাইদের সাথে ক্রিকেট বা ফুটবল, অথবা নিছক দৌড়াদৌড়ি। এমনি হাঁটাহাঁটি। চুপচাপ বসে থাকা অথবা বৃষ্টির মাঝে ছাদে শুয়ে আকাশের দিকে চেয়ে থাকা।
গতবার খুব বেশি ভেজা হয়নি বৃষ্টিতে।
তার আগের বার টানা তিনদিন ঝুম বৃষ্টিতে ভেজাটা ছিল বছরের বেষ্ট একটা পার্ট।
তার আগের বার একদিন সন্ধ্যার পর হিম শীতল ঠাণ্ডা পানির বৃষ্টিতে ভিজে কাঁপতে কাঁপতে বৃষ্টিতে দাড়িয়েই এক হাতে আড়াল করে অন্য হাতে এক গেলাশ আগুন গরম লেবু চা- আমার জীবনের সবচাইতে প্রিয় মুহূর্ত গুলোর একটা।.

.
.
.
.
.
লেখক: নাজিম নোহাস।

যদি তুমি হও পার আমার নৌকায়। (নাজিম নোহাস)

নৌকা নিয়ে ঘাটে আছি অপেক্ষায়,
নৌকা নিয়ে ঘাটে আছি অপেক্ষায়,
যদি তুমি হও পার আমার নৌকায়।
চাইব না তোমার কাছে কানা কড়ি ফাই,
থাকে যদি একটু খানি ভালবাসা চাই।
জানি না তুমি ফুল হয়ে আছ কোন কাননে
আস যদি ভালবেসে দিব ঠাইঁ আমার মননে
এমন সখির অপেক্ষায় আজো আছি একা,
জানি না কবে পাব তার দেখা।
.
.
.
.
.
.
.
.
.

(নাজিম নোহাস)

এমন অনেক দিন গেছে আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থেকেছি, হেমন্তে পাতা-ঝরার শব্দ শুনবো ব’লে নিঃশব্দে অপেক্ষা করেছি বনভূমিতে।

এমন অনেক দিন গেছে আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থেকেছি, হেমন্তে পাতা-ঝরার শব্দ শুনবো ব’লে নিঃশব্দে অপেক্ষা করেছি বনভূমিতে।

নিকিতা ম্যাডাম আপনাকে ডেকেছে ! লেখক: নাজিম নোহাস।

নিকিতা ম্যাডাম আপনাকে ডেকেছে !
আমি চোখ তুলে পিয়নের দিকে তাকালাম । মনে হল যেন পিয়নের মুখটা একটু হাসি হাসি । নিকিতা ম্যাডামের ঘরে ডাক পড়েছে তার মানে আমাকে ছেঁচা দেওয়া হবে । আর কাউকে ছেঁচা দেওয়া হবে এই জন্য এই বদ বেটার মুখ হাসি হাসি ! কেবল এই পিয়ন না অফিসের অনেকের মুখই হাসি হাসি হয়ে যাবে এখন । সবাই কান পেতে রইবে ম্যাডামের রুমের দিকে যদিও কিছুই শোনা যাবে না । কারন ম্যাডামের রুম সাউন্ডপ্রুফ ! তবে যখন কেউ ম্যাডামের রুম থেকে বের হয় তখন সবাই সেদিকে গভীর আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে থাকে । কেউ কেউ নাকি আবার ছবিও তুলে !
সব বদমাইশের দল !
আজকে আমার পালা । আমি মনে করার চেষ্টা করলাম কি এমন ভুল করেছি ! কিন্তু মনে করতে পারলাম না । এমন কি আমার অফিসে আসতে দেরিও হয় না । তাহলে আমাকে এভাবে ডাক দেওয়া মানে কি ! আমি ঠিক ভেবে পেলাম না । তবুও মনে মনে কারনটা খুজতে খুজতে নিকিতা ম্যাডামের কেবিনের দিকে হাটা দিলাম !
আমাদের অফিসের প্রধান একজন মেয়ে । নিকিতা চৌধুরী ! প্রায়ত আলী আজগর চৌধুরীর এক মাত্র মেয়ে । স্যার অর্থ্যাৎ আলী আজগর চৌধুরী যখন বেঁচে ছিলেন তখনও অবস্থা এমন খারাপ ছিল না । যদিও তখন থেকে নিকিতা ম্যাডাম অফিসে নিয়মিত আসা যাওয়া শুরু করেছে কিন্তু মাথার উপর স্যার ছিলেন বলে আমরা খুব একটা চিন্তা করি নি । কিন্তু তিন মাস আগে স্যার মারা যাওয়ার পরে সব কিছু বদলে গেল । আমরা সবাই ভেবেছিলাম চৌধুরী স্যারের যাওয়ার পরে তার মেয়ে হয়তো এসব কিছু সামলাতে পারবে না । কিন্তু আমরা অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম যে নিকিতা তার বাবার থেকেও ভাল আর শক্ত হাতে অফিস সামলাচ্ছে । আর সেই সাথে আমাদের সবাই উপর বিশেষ করে পুরুষ কর্মীদের উপর একটা আলাদা ঝড় নেমে এসেছে ।
মেয়ে কর্মীদের অনেক ভুল ম্যাডাম দেখেও না দেখার ভান করেন কিন্তু কোন পুরুষ কর্মী যদি পান থেকে চুল ঘষে এবং সেটা যদি ম্যাডামের চোখ পড়ে তাহলেই তার খবর আছে । অনেকে চাকর ছাড়ার কথা ভেবেছে কিন্তু ছেড়ে যায় নি । কারন আচরন যেমনই হোক এই অফিসের স্যালারীর পরিমানটা অন্য যে কোন অফিস থেকে অনেক অনেক ভাল !
আমি ম্যাডামের রুমের দরজায় নক করলাম ।
-আসুন !
আমি ভয়ে ভয়ে রুমের ভেতরে ঢুকলাম । ঢুকেই যেন একটু চমকালাম । নিকিতা চৌধুরী বয়সে আমার সমানই হবে । কিংবা আমার আমার থেকেও একটু ছোট হবে । আমার খুব একটা দেখা হয় না তার সাথে । কিন্তু আজকে মেয়েটাকে যেন এতো বেশি সুন্দর লাগছে তবে চেহারাতে একটা কাঠিন্য ঠিকই ধরে রেখেছে । আমি সামনে গিয়ে দাড়াতে নিকিতা বলল
-বসুন !
আমি চুপচাপ বসে পড়লাম । একটু যেন চিন্তা লাগছে না সেটা না । তবে আমি মোটামুটি নিশ্চিত যে আমার তেমন কোন ভুল নেই । আমার কাজ কর্মে আমি বেশ ভাল এবং দক্ষ !
নিকিতা বলল
-আপনার গার্লফ্রেন্ড আছে ?
আমি খানিকটা বিব্রত বোধ করলাম । অন্তত নিকিতার কাছ থেকে এই ধরনের প্রশ্ন আমি আশা করি নি । মোটেই না । আমি কোন মতে বললাম
-জি ম্যাডাম ?
-গার্লফ্রেন্ড ?
কোন মতে বললাম
-ছিল ।
-ছিল ? মানে এখন নেই ?
-জি, বিয়ে হয়ে গেছে ।
-নতুন কেউ ?
-জি না !
-বিয়ে করছেন না কেন ?
আমি আসলে কিছুই বুঝতে পারছি না । নিকিতা হঠাৎ এমন প্রশ্ন করা শুরু করলো কেন ? আমি বললাম
-আসলে মা মেয়ে দেখছে .....
-ও !
নিকিতা কি যেন ভাবতে লাগলো । আমার নিজের কাছে কেমন যেন একটা অদ্ভুদ অনুভুতি হতে লাগলো । আমি ঠিক বুঝতে পারবো না । এমন অদ্ভুদ প্রশ্ন আমাকে করার মানে কি ? এমন কান্ড তো এর আগে কোন দিন হয় নি । নিকিতা ভাব বন্ধ করে আমার দিকে সরাসরি তাকিয়ে বলল
-আমি ঠিক করেছি আপনাকে বিয়ে করবো । সামনের সপ্তাহেই আমাদের বিয়ে হবে !
আমার বুকের ভেতরে বাতাস আটকে গেল । ঠিক মত নিঃশ্বাস নিতে ভুলে গেলাম আমি । কি বলে এই মেয়ে ! মাথা ঠিক আছে তো ! আর এমন ভাবে বলছে যেন সে আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিচ্ছে না বরং আমাকে কোন কাজের এসাইনমেন্ট দিচ্ছে ! আমি আপনাকে বিয়ে করবো ! বাহ ! একবার মনে হল বলি যে আমি আপনাকে বিয়ে করবো না । অফিসে এমনিতেই আপনার জন্য দৌড়ের উপর থাকি । বাসাতেও আপনার খবরদারি আমি কেমনে সহ্য করবো !
কিন্তু কেন জানি বলতে পারলাম না । তবে আমি মোটামুটি নিশ্চিত যে আমাদের বিয়ে হবে না । দরকার হলে আমি চাকরি ছেড়ে দিয়ে চলে যাবো ! নিকিতা বলল
-আপনার মায়ের নাম্বার টা আমাকে দিন ! আমি উনার সাথে সরাসরি কথা বলবো !
এবার আমি একটু ভয় পেলাম । কারন নিকিতা যদি মাকে বুঝিয়ে ফেলে তাহলে আমি একটু ঝামেলাতে পড়ে যাবো !
আমি কোন কথা না বলে মায়ের মোবাইল নাম্বারটা লিখে দিলাম ।
যখন বাইরে বের হয়ে এলাম তখন আমি বেশ ঘেমে গেছি । সবার যদিও কাজের ভান করে আছে তবে সবাই আমার দিকে আড়চোখে তাকিয়ে আছে । সবাই আমার চেহারার দিকে তাকিয়ে ভেবে নিয়েছে যে নিকিতা নিশ্চয়ই আমাকে খুব ঝাড়ি দিয়েছে । কিন্তু আসল খবর টা যদি তারা জানতো তাহলে তাদের মুখের ভাবটা কেমন হত আমি অনুমান করতে পারলাম না ।
তারপর সব কিছু কেমন জলদি জলদি ঘটতে লাগলো । পরের দিন মা গ্রাম থেকে ঢাকায় চলে এল আমার বাসায় । এবং ঠিক তার এক সপ্তাহ পরে নিকিতার সাথে আমার বিয়ে হয়ে গেল । অনেকটা গোপনেই । আমার পরিচিত কয়েকজন আর নিকিতার বাসায় কয়েকজন মানুষ । ব্যাস আর কেউ না । মা আর নিকিতার মাকে দেখলাম বিয়ের দিন থেকেই খুব খোশ গল্প শুরু দিয়েছে । যেন কত দিনের পরিচিত বান্ধবী তারা !
আমি তখনও কিছু বুঝতে পারছিলাম না । কেমন করে হচ্ছে কি হচ্ছে আর কেনই বা হচ্ছে ! আমি এতো দিন ধরে ভাবতাম নিকিতা হয়তো কোন দিন বিয়েই করবে না । কোন একটা বিশেষ কারনে মেয়েটা হয়তো পুরুষদের কে ঘৃণা করে । তাই বিয়ে করবে না । অবশ্য তার বিয়ে করার দরকারও ছিল না । এতো বড় কোম্পানীর মালিক সে । কিন্তু এভাবে হঠাৎ করে আমাকে বিয়ে করতে চাইলো । এবং সেটা হয়েও গেল ।
তবে বিয়ের পর খুব একটা পরিবর্তন হল না । বিয়ের দিন নিকিতা ওর বাসাতেই রয়ে গেল । বলল যে এখনও যেহেতু অনুষ্ঠান হয় নি তাই এসবের দরকার নেই । যখন অনুষ্ঠান হবে তখন সব বিয়ের আচার অনুষ্ঠান হবে । আমাদের আর কিছু বলার ছিল না । যদি আমার মা আর নিকিতার মা একটু আপত্তি করছিলো তবে নিকিতার সামনে সেটা টিকলো না ।
বিয়ের দুদিন পরে আমি যখন অফিসে গিয়ে হাজির হলাম । ততক্ষনে সবাই জেনে গেছে যে আমার সাথে নিকিতার বিয়ে হয়ে গেছে । সবাই আমার দিকে কেমন অন্য চোখে তাকাতে লাগলো । নিকিতা আমার জন্য অন্য একটা কেবিন ঠিক করে রেখেছিলো। কোম্পানীতে একবারে এক লাফে আমি এএমডির পদে চলে গেলাম ! নিকিতার নিচে পোস্ট ! আমার কেন জানি ব্যাপারটা ভাল লাগলো না ।
আমি সেটা গ্রাহ্য না করে নিজের আগের পোস্টেই কাজ করতে লাগলাম ! দুপুরের দিকে নিকিতা নিজেই আমার ডেস্কের সামনে এসে হাজির !
-কি ব্যাপার তোমাকে ঐ ক্যাবিনে বসতে বলা হয়েছে !
-কেন ?
নিকিতা খানিকটা অবাক হয়ে তাকালো আমার দিকে । তার কথার উপর কেন বলার সাহস এই অফিসে আজও কারো হয় নি । অবশ্য আজকে আমার অবস্থান আগের মত নেই । নিকিতা কোন কথা না বলে আমার দিকে তাকিয়ে রইলো । আমি বললাম
-আমি যেখানে কাজ করছি সেখানেই ঠিক আছি । তোমার সাথে আমার বিয়ে হয়েছে এটা নিশ্চয়ই এমন কোন যোগ্যতা নয় যে আমাকে একেবারে ঐ পদে নিয়ে যেতে হবে । আমাদের বিবাহিত জীবন যদিও সেটা থেকে থাকে তাহলে সেটা অফিসের বাইরে । ভেতরে না !
নিকিতা আমার দিকে তাকিয়ে রইলো কিছুটা সময় । তারপর নিজের ক্যাবিনের দিকে চলে গেল । আমি আসলে তখনও ঠিক বুঝতে পারছিলাম না নিকিতা আমাকে কেন নিয়ে করলো । কারনটা জানতে পারলাম আরও এক মাস পরে ।
নিকিতার বাবা অর্থ্যাৎ আমার প্রায়ত বস এবং শশুর মশাই মেয়ের এই পুরুষ বিদ্বেষী ভাবটার কথা জানতেন । তিনি এও জানতেন যে জীবদ্দশাতে যদি তিনি মেয়েকে বিয়ে দিতে না পারেন তার মারা যাওয়ার পরে নিকিতা কোন দিন বিয়ে করবে না । কোন বাপের জন্যই এটা কোন ভাল সংবাদ হতে পারে না । তাই তিনি একটা চমৎকার উইল করে রেখে গেলেন । সেটা বলা ছিল যে তার মারা যাওয়ার ১০০ দিনের মাথায় নিকিতাকে বিয়ে করতে হবে । নয়তো তার সমস্ত সম্পত্তির মালিকানা একটা ট্রাস্টের আন্ডারে চলে যাবে । সেখানে থেকে ওদের পরিবারের জন্য একটা টাকা বরাদ্ধ ঠিকই দেওয়া হবে তবে নিয়ন্ত্রন থাকবে সেই ট্রাস্টের হাতে ! যা নিকিতা মানতে পারে নি । তাই সে আমাকে বিয়ে করেছে ।
ব্যাপারটা জানার পর থেকে কেন জানি খুব মন খারাপ হয়ে গেল । কোন কারন নেই তবুও মন খারাপ হল । এমন কিছুই হওয়াই স্বাভাবিক ছিল । নয়তো আমাকে বিয়ে করার কোন করনই ছিল না তার । কোন ভাবেই না ।
সব কিছু আবার আগের মতই চলতে লাগলো । নিকিতা যে আমার স্ত্রী এটা আমি ভুলেই গেলাম । আগের মত কাজ অফিস যেতাম অফিস থেকে আসতাম । মাঝে মাঝে শ্বশুর বাড়ি ডাক পড়তো । নিকিতার মা কেন জানি আমাকে বেশ পছন্দ করতেন । মাঝে মাঝে আমাকে ডেকে ভাল মন্দ খাওয়াতেন । বলতেন আমি যেন ওখানে শিফট হয়ে যাই । আমি মানা করতাম । বলতাম যে আমার ঘর জামাই হওয়ার কোন ইচ্ছে নেই । আমার শ্বশুর মশাইয়ের উইলে আরও লিখে গিয়েছিলেন যে বিয়ে অন্তত ৫ বছর টিকতে হবে । নয়তো সম্পত্তির অর্ধেক আমি পেয়ে যাবো । অবশ্য ৫ বছর পরে বিচ্ছেদ হলে কোন সমস্যা নেই । আমি জানতাম যে ঠিক ৫ বছর পরে নিকিতা আমাকে ডিভোর্স দিয়ে দিবে । আমরা আলাদা হয়ে যাবো !
আমি মাকে এসবের কিছুই বলি নি কোন দিন । বলার কিছু ছিল না । আর আমার কিছুই করারও ছিল না । আমি চাইলেও নিকিতার জীবনের প্রবেশ করতে পারবো না । আর নিকিতার কাছে আমি তার অফিসের কর্মী আর তার সম্পত্তি বাঁচানোর একটা হাতিয়ার ছাড়া আর কিছুই ছিলাম না । বিয়ের ছয়টা মাস এমন করেই চলে গেল ।
একদিন অফিস শেষ করে আমি পার্কের বসে আছি । নিজের জীবন নিয়ে ভাবছি । তখনই আমার একটা কিছু মনে পড়লো । আমার পুরো শরীরে যেন একটা ধাক্কার মত খেল । তখন কেবলই মনে হল যে আবারও পরিবর্তন হতে চলেছে !
দুই
-এই ড্রাইভার গাড়ি থামাও !
নিকিতা নিজের ল্যাপটপে কাজ করছিলো আমার কথা শুনে আমার দিকে চোখ তুলে তাকালো । চোখে একটা সুক্ষ বিরক্তি ! তবে সেটা বিশ্ময়ে রূপান্তরিত হল যখন আমি হাত দিয়ে ওর ল্যাপটপটা বন্ধ করে দিলাম ।
-কি করছো তুমি ?
আমি হাত দিয়ে বাইরের দিকে দেখালাম ।
-বাইরের রেস্টুরেস্ট টা বেশ চমৎকার ! আসো তোমাকে ট্রিট দেই ।
-আবীদ ! আমি বাসায় যাবো !
-আহ ! চল না কেন ! আর আমার কিছু বলার ছিল তোমাকে ! শুনলে তোমার ভাল লাগবে ! চল !
অনিচ্ছা স্বত্ত্বেও নিকিতা রেস্টুরেন্টে গিয়ে হাজির হল । খেতে লাগলাম আমরা চুপচাপ । নিকিতা মাঝে বলল
-তোমার কি কথা ?
-খাও । বলছি ।
নিকিতা খাওয়া শেষ করে অপেক্ষা করতে লাগলো । আমি ওকে ওর বাবার উইলের একটা কপি ওর দিকে বাড়িয়ে দিলাম । গতকালকে আমি ওদের পারিবারিক উকিলের কাছ থেকেএটা জোগার করেছি ।
নিকিতা খানিকটা অবাক হয়ে আমার দিকে তাকালো । তারপর বলল
-এসবের মানে কি ?
-মানে তো জানো । তুমি আমার সাথে ঠিক বিয়ে কর নি । একটা বিজনেস ডিল করেছো নিজের সুবিধার জন্য । কিন্তু এটা করতে গিয়ে একটা বিরাট বড় ভুল করে ফেলেছো ।
-কি ?
-তুমি হয়তো ভাল লক্ষ্য করো নাই । তোমার আর আমার সংসারটা ৫ বছর টিকতে হবে এমন কথা লেখা আছে । যদি না টেকে তাহলে আমি তোমাদের ব্যবসার অর্ধেক মালিক হয়ে যাবো । তুমি তো এমনিতেই আমাকে ৫ বছরের মাথায় ডিভোর্স দিয়ে দিবে আমি জানি । তাহলে আমার জীবন যে এমন হল এটাতে আমি কি পেলাম !
নিকিতা সরু চোখে আমার দিকে তাকালো ! আমি বললাম
-আমি জানি তুমি আমাকে কেন চুজ করেছো । আমাকে তুমি বেশ ভাল করে লক্ষ্য করেছো প্রস্তাব দেওয়ার আগে তাই না ? দেখেছো এতো সহজ সরল একটা ছেলে, যেমন ইচ্ছে তেমন নাচানো যাবো কিছু বলতে পারবে না !
নিকিতা চুপ করে রইলো ! আমি বললাম
-কিন্তু চুপ থাকার দিন শেষ !
নিকিতা এবার বলল
-কি চাও তুমি ? কত টাকা চাও !
আমি খানিকটা হেসে বললাম
-চাইবো কেন ? তোমাকে ডিভোর্স দিলেই আমি অর্ধেক পেয়ে যাচ্ছি !
আমি বুঝতে পারছিলাম নিকিতা রেগে যাচ্ছে । আমি বিন্দু মাত্র বিচলিত না হয়ে বললাম
-তোমার সামনে দুটো পথ খোলা আছে ! এক. অর্ধেকটা তুমি আমাকে লিখে দাও ! ঝামেলা শেষ হয়ে যাক ! আর দুই, আজ থেকে আমার বউ হওয়ার চেষ্টা কর ! বাঙ্গালী নারীরা যেমন বউ হয়ে ঠিক তেমন ! চয়েজ তোমার !
তারপর থেকেই সব কিছু বদলে যেতে শুরু করলো । নিকিতা আক্ষরিক অর্থেই আমার বাসায় এসে থাকা শুরু করলো । অফিসে সে সবই থাকলো তবে বাসায় এসে সে আমার স্ত্রীর ভুমিকা পালন করতে শুরু করলো । প্রথম প্রথম বেশ অবাক হত যখন আমি ওকে নিয়ে এদিক ওদিক যেতাম কিংবা ওকে আমার জন্য পানি আনতে বলতাম কিংবা টেবিলে খাবার দিতে বলতাম ! কিন্তু একটা সময় আমি লক্ষ্য করলাম যে কাজ গুলো যে করছে । আসলেই করছে । দেখতে দেখতে তিন মাস আমাদের সংসার কেটে গেল । নিকিতা সাথে অফিসের পর যখন ঘুরতে বের হতাম অফিসের সবাই কেমন চোখে আমাদের দিকে তাকাতো । তারাও ঠিক বিশ্বাস করতে পারছিলো না নিকিতা এমন কিছু করতে পারে । এক শুক্রবারে আমি নিকিতার সাথে লেক পাড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি । তখনই আমাদের অফিসের এক কর্মচারি আমাদের দেখে ফেলল । এমন অবাক সে হয়েছিলো সেটা ওর মুখ দেখেই বুঝতে পারছিলাম !
এতো কিছু হওয়ার পরেও আমি ওর ঠিক কাছে যেতে পারি নি । আমার সাথে স্বাভাবিক আচরন করলেও আমরা তখনও আলাদা ঘুমাতাম । একদিন আবারও মনটা বিদ্রোহ ঘোষনা করলো আমি ওর রুমে ঢুকে পড়লাম রাতে । ওর ঠোঁটে চুমু খাওয়ার জন্য আমার যেন তর আর সইছিলো না । তারপর হঠাৎ করেই আমি জীবনে প্রথমবারের মত আমি নিকিতার চেহারাতে একটা তীব্র আকঙ্ক দেখতে পেলাম । রাতে বেলা ওভাবে ওর ঘরে ঢুকে পড়ার ফলে ও ওভাবে ভয়ে পেয়ে যাবে আমি ভাবতেও পারি নি । নিকিতা শান্ত হয়ে তখনই গাড়ি নিয়ে ওদের বাসাতে চলে গেল ! আমি কিছুই বুঝতে পারলাম না ।
কিন্তু আমার অবাক হওয়ার তখনও বাকি ছিল না । পরদিন বিকাল বেলা নিকিতা উকিলের মাধ্যমে আমাকে জানালো যে সে আর আমার সাথে আর থাকতে চায় না । এবং এই জন্য সে তার বাবার উইল অনুযায়ী ব্যবসায়ের অর্ধেক মালিকানা আমার নামে হস্তান্তর করতেও প্রস্তুত ! এতো কিছু হল কেবল আমি নিকিতাকে চুমু খেতে চেয়েছিলাম বলে !
আমার কেন জানি মনে হল এর ভেতরে অন্য কিছু আছে । অন্য কোন কাহিনী আছে । থাকতে বাধ্য ! কিন্তু কার কাছ থেকে জানতে পারবো আমি । আমি আমার শ্বাশুড়ির কাছে জানতে চাইলাম । প্রথমে সে মানা করলো বলল যে সে কিছু জানে না । তবে আমার চাপের কারনে সে স্বীকার করে নিল যে সে জানে । এটা নিকিতার বাবাও জানতো না । নিকিতা কেবল তার মাকে বলেছিলো ।
নিকিতা যখন ক্লাস এইটে পড়তো তখন নিকিতার একটা ছেলের সাথে খুব ভাব হয়ে যায় । তখন ওরা এতো বড়লোকও ছিল না । ওর বাবা সবে মাত্র ব্যাবসা শুরু করেছে । সারাদিন সেখানে ব্যস্ত । নিকিতা সেই ছেলের সাথে মাঝে মাঝে ঘুড়ে বেড়াতো । কিন্তু একদিন ছেলেটা অন্য রকম কিছু করে ফেলে । আসলে ছেলেটার মনেই অন্য রকম কিছু একটা ছিল । ওরা কয়েকজন বন্ধু মিলে নিকিতাকে ফুসলিয়ে একটা নির্জন জায়গাতে নিয়ে যায় ! সেদিন ....
আমি কিছু শুনতে চাইলাম না । নিকিতার মাকে থামিয়ে দিলাম ! এর পরে কি হয়েছে আর নিকিতাও কেমন এমন সেটাও আমি বুঝতে পারলাম । নিজের কাছে খানিকটা খারাপ লাগলো । ও তখন বাসাতেই ছিল । ওর রুমে যখন ঢুকলাম দেখি রকিং চেয়ারে বসে আছে চোখ বন্ধ করে । আমার শব্দ পেয়ে চোখ মেলে তাকালো !
আমি খাটের উপর বসতে বসতে বললাম
-আসলে আমি তোমাকে সরি বলতে এসেছি কালকের ঘটনার জন্য । ওভাবে আমার তোমাকে চুমু খেতে চাওয়াটা ঠিক হয় নি । আসলে আমি জানতামও না কেন তুমি এমন আচরন কর ! কিন্তু জানার পর থেকে ......
নিকিতা আমার দিকে তাকিয়ে রইলো এক ভাবে ! ওর চোখে তীব্রতা আমি বুঝতে পারছিলাম । আমি আবারও বলল
-তুমি পুরুষদের ঘৃণা কর সেটা তোমার জন্য জায়েজ ! আমি জানি ! আমি তোমার জায়গাতে থাকলে হয়তো এমনই কিছু করতাম ! আমি কেবল তোমার সাথে একটা স্বাভাবিক জীবন চেয়েছিলাম যেখানে ঘুম থেকে উঠেই আমি আমার প্রিয় মানুষটার মুখ দেখতে পাবো ! মান অভিমান ঝগড়া খুনশুটি সব থাকে যে সংসারে আর কিছু না !
কিছুটা সময় আমি চুপ করেই রইলাম ! তারপর বললাম
-তোমার পাঠানো নোটিশে আমি সাইণ করে দিবো । তবে তোমার বাবার উইল অনুযায়ী আমার অর্ধেকটা চাই না । আমি কেবল তোমাকে চেয়েছিলাম আমার জীবনে আর কিছু না !
তারপর আর কি বলবো আমি খুজে পেলাম না । কিছুটা সময় কেটে গেল কোন কথা না বলেই । আমার একটা সময় মনে হল যে আমার চলে যাওয়া উচিৎ । উঠে গিয়ে নিকিতার একদম কাছে বসলাম হাটু গেড়ে ! তারপর ওর হাত টা ধরে বললাম
-আই উইস আমি তোমাকে বোঝাতে পারতাম যে সবাই এক রকম না !
তারপর ঘর থেকে বের হয়ে এলাম !
তিন
নিকিতার কোম্পানী থেকে রিজাইন দিয়ে চলে এলাম । নতুন চাকরি খোজা বাড দিয়ে কিছু দিন শুয়ে বসে কাটাতে লাগলাম । তবে নিকিতার কথা মনে পড়তে লাগলো । বিশেষ করে মাঝের কয়েকটা দিন খুব বেশি করে মনে পড়তে লাগলো । একদিন লুকিয়ে অফিসের মানে চলে গেলাম ওকে দেখার জন্য । নিজের পাগলামী দেখে নিজেরই হাসি আসলো । প্রথমদিন দেখা পেলাম না । ওর গাড়ির কাঁচ নামানো ছিল না । পরের দিন আবার গেলাম । তবে এক ঝলকের জন্য হলেও দেখতে পেলাম ওকে । পরের দিন কাঁচ নামানো ছিল । নিকিতা কেমন উদাশ হয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে ছিল যখন গেট দিয়ে গাড়িটা ঢুকছিলো । এভাবে প্রায়ই দিনই আমি যেতাম ওকে দেখার জন্য । তারপর অন্য কাজে !
নিজেকে বোঝানোর জন্য চেষ্টা করতে লাগলাম যে এসব বাদ দিতে হবে । মেয়েটা এক সময় আমার বউ ছিল তবে এখন সে আমার কেউ হয় না । আমি কাগজে সই করে দিয়েছি । এতো দিনে সম্ভবত ডিভোর্স কার্যকরও হয়ে গেছে । নোটিশও চলে আসবে ! আমার আবার নতুন চাকরিও শুরু করতে হবে । নয়তো খাবো কি !
কিন্তু আমার আর চাকরি করা হল না । পরের দিন আগের অফিসের পিয়ন এসে হাজির । হাতে একটা সবুজ খাম ! আমার দিকে তাড়িয়ে দিয়ে দাঁত বের করে হাসলো ! আমি বললাম
-কে পাঠিয়েছে এটা ?
-ম্যাডাম পাঠিয়েছে !
ওর সামনেই খাম খুললাম । খাম খুলেই অবাক হলাম বেশ । সেখানে কেবল একটা মাত্র লাইন লেখা !
"কি ব্যাপার তোমার কি শরীর খারাপ ? কদিন থেকে গেট কাছে আর দাড়িয়ে থাকো না ?"
আমি কিছুটা সময় অবাক হয়ে লাইনটার দিকে তাকিয়ে রইলাম । নিকিতা কিভাবে জানলো আমি ওকে দেখার জন্য দাড়িয়ে থাকতাম ! আর আমার শরীর খারাপ এটা জানানোর জন্য চিঠি লেখার দরকার ছিল কি ? আমাকে ফোন করলেই তো পারতো ?
আমি মোবাইল বের করে তখনই নিকিতাকে ফোন দিলাম । এবং সাথে সাথেই কোথাও রিং বাজার ওয়াজ পেলাম । আওয়াজটা যে আমার ঘরের বাইরে থেকে আসছে সেটা বুঝতে খুব বেশি সময় লাগলো না । পিয়ন কেন হাসছিলো সেটা এখন বুঝতে পারলাম ।
তার দিকে তাকিয়ে বলল
-তোমার ম্যাডামকে ডেকে নিয়ে আসো
এই কথার জন্যই বোধহয় পিয়ন অপেক্ষা করছিলো । দৌড়ে চলে গেল । তার কিছু সময় পরেই নিকিতা ঘরের ভেতরে ঢুকলো । মুখে সেই কাঠিন্য লেগেই আছে এখনও ! আমি বলল
-বাইরে দাড়িয়ে দিলে কেন ? আর ফোন দিলেই জানা যেত যে আমার শরীর খারাপ কি না ! তার উপর আমি দাড়িয়ে থাকতাম সেটা তোমাকে কে বলল ?
নিকিতা স্বাভাবিক স্বরে বলল
-থাকতে কি না বল ?
-আগে বল কিভাবে জানলে ?
-জেনেছি । ইচ্ছে থাকলেই জানা যায় !
-কেন ? কেন ইচ্ছে হল ?
-যে কারনে তুমি দাড়িয়ে থাকতে !
আমি কোন কথা বলতে পারলাম না । নিকিতা বলল
-আমি জানি না কেন ? কিন্তু এই কদিন আমি তোমাকে মিস করেছি । ঐদিনের ঐ কথা গুলো কেন জানি আমার জন্য অনেক দরকার ছিল । আমি বিশ্বাস করি, বিশ্বাস করতে চাই যে সবাই এক না !
আমি নিকিতার কন্ঠে আকুলতা অনুভব করতে পারছিলাম । সেই সাথে ওর চোখ বলছে যেন ও আসলেই কথাটা বিশ্বাস করতে চায় । আমি উঠে গিয়ে ওর হাত ধরলাম । জড়িয়ে ধরার সাহস পেলাম না পাছে আবারও ও ঐদিনের মত ভয় পায় । তবে আমাকে ভুল প্রমানিত করে দিয়ে নিকিতা আমাকে জড়িয়ে ধরলো । তারপর বলল
-একটু সময় লাগবে কিন্তু আমি পারবো ....
আমারও কেন জানি মনে হল নিকিতা পারবো । ও পারবে ওর এই ভয় কাটাতে । আমাকে জড়িয়ে ধরা অবস্থায়ই বলল
-তবে আমার আরেকটা শর্ত আছে ?
-কি শর্ত ?
-অফিসের মত বাসাতেও কিন্তু আমি বস হব ! মনে থাকে যেন !
আমি কিছু বলতে গিয়েও বললাম না । হেসে ফেললাম । সে তো অনেক আগে থেকেই বস হয়ে আছে....
.
.
.
..
লেখক: নাজিম নোহাস।
 

*যমুনার পাড়ে*।

March 12 at 12:12am · Dhaka ·
আল্লাহ 'র অশেষ রহমতে ৪র্থ বারের মত আজ এক সঙ্গে আমার লেখা দুইটি নাটিকার সুটিং শুরু হল।
প্রথম নাটিকার নামঃ *স্বপ্ন বাসর*
মুল চরিএে অভিনয় করেছেন ফারজানা নিপা, সোহাগ স্বাধীন।
রচনায় ও পরিচালনায় : নাজিম নোহাস।
ক্রেমেরায় ছিলেন এইচ এম সজিব।
দ্বিতীয় নাটিকার নামঃ
রচনায় নাজিম নোহাস।
পরিচালনায় : আহাম্মেদ ইমতিয়াজ রাজ ক্রেমেরায় ছিলেন এইচ এম সজিব। আপনারা সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
অতি র্শীগ্র আসছি টিভির র্পদায়।


*যমুনার পাড়ে*। মুল চরিএ অভিনয় করেছেন সুমন শিকদার, ফারজানা নিপা, সোহাগ স্বাধীন।

যদিও জগতে টাকার প্রয়োজন হয় কিন্তু টাকা দুনিয়ার সব কিছু নয়

✹ টাকা দিয়ে ঘড়ি কেনা যায় কিন্তু
সময় নয়।
✹ টাকা দিয়ে বাড়ি তৈরী করা যায়
কিন্তু শান্তির নীড় নয়।
✹ টাকা দিয়ে দামি খাট কেনা যায়
কিন্তু নিদ্রা নয়।
✹ টাকা দিয়ে কিছু নারীর মন পাওয়া
যায় কিন্তু পূর্ণ ভালোবাসা নয়।
✹ টাকাদিয়ে বই কেনা যায় কিন্তু
জ্ঞান নয়।
✹ টাকা দিয়ে কিছু মানুষের তোষামোদ
পাওয়া যায় কিন্তু ভালোবাসা নয়।
✹টাকার জোরে ক্ষমতা পাওয়া যায়
কিন্তু সম্মান নয়।
✹ টাকা দিয়ে বিত্তবান হওয়া যায়
কিন্তু আদর্শবান নয়।
✹ টাকার জোরে দুনিয়া পাওয়া যায়
কিন্তু জান্নাত নয়।
✹টাকা দিয়ে নারী পাওয়া যাবে
কিন্তু নারীর চরিত্র পাওয়া যাবে না।
.
↔ যদিও জগতে টাকার প্রয়োজন হয়
কিন্তু
টাকা দুনিয়ার সব কিছু নয়...



লেখক: নাজিম নোহাস।
 

এইরকম লজ্জা এর আগে কখনো পাইনি

এই মুহুর্তে আমি একটা অপরিচিত মেয়ের সামনে বসে আছি।তাও মেয়েটার বাসাতেই।পিছনের রুমটাতে আমার বাবা আর মেয়েটার বাবা মা আছে।
তারা কথা বলছে নিজেদের মধ্যে আর আমাদের দুইজনকে অন্যরুমে পাঠানো হয়েছে।
আমি এর আগে কখনো এইরকম ঘটনার সম্মুখীন হইনি।তাই মুখ থেকে কথা বের হচ্ছেনা।আমার থেকে দুইহাত ব্যবধান দূরত্বে মেয়েটা অবস্থান করছেন।তার দিকে তাকাতেও পারছিনা।খাটে বসার সময়ও ভাবছিলাম আসলে খাটে বসব নাকি চেয়ারে!
এইরকম লজ্জা এর আগে কখনো পাইনি।অবশেষে মেয়েটা নিরবতা ভেঙ্গে মাথা নিচু করে ঘোমটার আড়াল থেকেই বলল আপনার আমাকে পছন্দ হয়েছে?
আমি বললাম যে আসলে আমার' এতটুকু বলতেই মেয়েটা আমাকে থামিয়ে দিয়ে বলল উত্তরটা এক কথার বা এক বাক্যের,সেহেতু সোজা ভাবেই উত্তর দিলে ভালো হয়।
আমি মাথা নিচু করে একটা হাত নাড়াতে লাগলাম ব্যায়ামের মত করে। জিদ উঠতেছিলো মেয়েটার উপরে।কেন আমাকে থামাবে সে? আমি আরেকটু বললে কি এমন ক্ষতি হয়ে যেতো?
মেয়েটা আবার বলে উঠলো কি চুপ কেন? পছন্দ না হলে বলেন চা নাস্তা দেই তা খেয়ে চলে যান।সময় নষ্ট করিয়েন নাহ,নামাজের সময় হয়েছে।
আমি কি বলবো বুঝতে পারছিলাম না।মেয়েটা এভাবে লজ্জা দিবে ভাবিনাই।চা নাস্তার কথা বলে কেও এভাবে লজ্জা আগে কখনো কাওকে দিছে কিনা জানা নেই।
.
মেয়েটা দেখতে ফর্সা আর গোলগাল চেহারার ছিলো।পছন্দ হয়েছিল আমার।আমার আগে বাবার পছন্দ।কারণ বাবার বন্ধুর মেয়ে।আগেও কয়েকবার মেয়েটাকে দেখেছে।মেয়েটার ভাব দেখে রাগ উঠে গেল।আমি পরক্ষণেই বললাম ভীষণ পছন্দ হয়েছে।
কথাটা যে কিভাবে মুখ থেকে বের হলো তা আদৌ জানা নেই।তো মেয়েটা একটা হাসি দিয়ে বলল তো এখন আমার সম্পর্কে কিছু জানার আছে? থাকলে বলতে পারেন।
কি বলব ভেবে পাচ্ছিলাম না।
আমি বললাম আপনার নাম কি? মেয়েটা চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে বলল মেয়ে দেখতে আসছেন অথচো মেয়ের নাম জানেন না?
আমি বললাম আসলে আপনাকে দেখার পর যা জানতাম তার সবই ভুলে গেছি।মেয়েটা হাস্যরসাত্মক ভাবে বলল সব ভুলে যান।সেটাই ভালো।আমার সাথে জীবন কাটাতে হলে প্রতিটাদিন নতুন ভাবে উপভোগ করতে হবে।আর হ্যা আমার নাম রিয়া।
আমি বললাম ভারি সুন্দর নাম,একেবারে আপনার মতই?
মেয়েটা বলল,একেবারে আমার মত মানে? আমি ভারি নাকি? নাকি বেশি সুন্দরের কথা বুঝাচ্ছেন?
আমি কোন কথা না বলে বললাম তাড়াতাড়ি অইরুমে চলেন।আপনার না নামাজের সময় হয়েছে?
.
মেয়েটা চুপ হয়ে গেলো।এরপর বলল চলেন।
বিয়ের কথাবার্তা সব পাকা হয়ে গেলো।বাবা ১০০০১টাকা দিলো মেয়েটাকে। ১টাকা দিলেই নাকি বুঝা যায় মেয়েকে পছন্দ হয়েছে।আসার সময় আমি বাবাকে বললাম আপনি এতগুলো টাকা দিলেন কেন? বাবা আমার গালে একটা চড় দিয়ে বলল হারামজাদা আমার হবু বউকে আমি কিভাবে এরথেকে কম দেই? আমি বললাম পারলে ১লাখই দিতেন। বাবা শেখ মুজিবের ভাষণের মত করে একহাত উঠিয়ে বলল প্রয়োজনে আমার বউকে আমি আমার সমস্ত সম্পত্তি লিখে দিবো।তোর কোন সমস্যা? আমি বললাম বিয়া করলামনা এতেক ছেলেরে থ্রেট দিতাছেন বিয়ের পরদিন না জানি কি করেন।বাবা হাসি দিয়ে বলল তুইতো আমার শেষ অবলম্বন। সম্পত্তিতো এর কাছে কিছুইনা।তুইতো আমার আসল সম্পদ।আর মেয়েটাতো তোর একটা অংশ হয়ে যাবে তাহলে তোর থেকে ওরে কিভাবে কম ভালোবাসবো? বাবার প্রতিটা কথাই আমাকে মুগ্ধ করে।বাবার জন্যে আমার কখনো কোনো রকমের সাজেশনের জন্যে বন্ধুদের শরণাপন্ন হওয়া লাগেনি।
সপ্তাহ দুই পর মেয়েটার সাথে বিয়েও হলো।
বাসররাতে রিয়ার সামনে যাওয়ার পর প্রশ্ন করলে সেদিন না আপনি যেনো কি বলতে চেয়েছিলেন?
আমি বললাম কোনদিন? মেয়েটা বলল যেদিন আমাকে দেখতে গিয়েছিলেন।
আমি বললাম আসলে আমার ইচ্ছে ছিলো প্রেম করে বিয়ে করবো।
মেয়েটা ঘুমটা সড়িয়ে অগ্নির মত লাল চোখ নিয়ে বলল তো আমায় কেন বিয়ে করছেন? সেদিন বলেন নাই কেন? আমি বললাম বলার সুযোগটাইতো দেন নাই।শুধু জানতে চাইছিলেন আপনাকে পছন্দ হইছে কিনা! মেয়েটা চোখ টিপটিপ করতে করতে বলল,প্রেম করে বিয়ের অনেক শখ ছিলো তাইনা?
আমি বললাম সেটাতো আর পূরণ হবেনা।বিয়েতো প্রেম ছাড়াই করেছি।
মেয়েটা আমাকে ধাক্কা দিয়ে মেঝেতে ফেলে দিলো। এরপর বালিশ আর কোম্বল ঢিল দিলো আমার দিকে।এরপর বলল আগে প্রেম করবেন এরপর আমার সাথে বাসর করবেন।প্রেম কত প্রকার ও কি কি? তা আপনাকে বুঝিয়ে ছাড়বো।এর আগে যদি আমার কাছে আসতে চেষ্টা করেন তাহলে খবর আছে।
.
আমি নিজেকে বলদ মনে করে বসে থাকলাম মেঝেতেই।অন্যদিকে মেয়েটা বালিশে মাথা দিয়ে ঘুম দিলো।মনে মনে ভাবলাম জীবনে বিয়ে করলাম আর বাসররাতে বউয়ের সোহাগ পেলামনা।যা পাইলাম তা রাগের গোলা।
তো আমিও সুন্দরভাবে কোম্বল গায়ে দিয়ে ঘুম দিলাম।মাঝরাত ঘুম ভাঙ্গলো কোন এক কারণে।পোশাকটা চেঞ্জ করিনি তা মাত্র মনে পড়ছে।ঘুম ঘুম চোখেই ওয়াশরুমে গেলাম। বাবার ঘরের লাইট জ্বালানো দেখলাম।বাবার মাথাটাও মনে হয় দেখেছিলাম।পরক্ষণেই কে যেনো আমাকে দেখে দরজা লাগিয়ে দিলো মনে হলো।
পোশাক পালটিয়ে রুমে গেলাম।যেয়ে দেখলাম রিয়া শীতে কাঁপছে।বাসায় কোম্বল দুইটাই।একটা বাবার,আরেকটা আমার।তো আমার কোম্বলটা রিয়ার গায়ে দিয়ে দিলাম।এরপর।মেঝেতে এসে আবার শুলাম।এইবার শীতে আমারে পাইছে।আলামারি খুললাম।তিনটা শার্ট আর তিনটা প্যান্ট বের করলাম।একসাথে পড়লাম সবগুলো।অবশেষে দুইটা লুঙ্গি দিয়ে শরীর ঢাকলাম।অফিসের সু জোতাটাও পায়ে দিয়ে ঘুমাই।
.
সকালে প্রচন্ড পেট ব্যাথায় ঘুম ভাঙ্গে।রিয়া খাট থেকে নামার সময় একেবারে আমার গায়ের উপর পারা দেয়।আমি নড়ে উঠলে রিয়া সরে যায়।
পরে রিয়া আমাকে বলে আপনের এই অবস্থা কেন? কোম্বল কোথায়?
আমি চোখ বন্ধ করে জিদ দেখিয়ে বললাম,আমার বাসায় দুইটাই কোম্বল। একটা বাবার একটা আমার। আর আমারটা যেহেতু আপনের গায়ে ছিল আর আপনার বাপের বাড়ি থেকে যৌতুক হিসেবে কোন কোম্বল না পাওয়ার কারণে আমার শীত অনুভব হওয়ায় তা থেকে বাচতেই এই অবস্থা আমার।বুঝছেন?
রিয়া আমার কথা শুনে হাসতে লাগলো।আমি বললাম হাসেন হাসেন।ঘন্টায় ১৫মিনিট হাসা ভাল।আর মেয়েরাতো দিনরাত চব্বিশঘন্টাই পাগলের মত হাসতে পারে কারণে অকারণে।
রিয়া বলল,এক্সকিউজ মি মিস্টার।মেয়েরা পাগলের মত না পাগলীর মত হাসে। হিহিহিহিহিহিহিহিহিহিহিহি
.
রিয়াকে হাসতে দেখে মনে কেমন জানি অন্যরকম একটা অনুভূতি জাগে।আমি উঠে দাঁড়ালাম। রিয়ার হাত টান দিয়ে পিছনে ঘুরালাম।এইবার উনি ব্যথায় চিৎকার দিছে।আমি বললাম হাসেন না কেন? রিয়া বলল উহহহুহু ছাড়েন।
আমি ছেড়ে দিলাম।এরপর আমাকে বলল রান্নাঘরটা দেখিয়ে দিতে।আমি দেখিয়ে দিলাম।
ফ্রেশ হয়ে এসে চিৎকার দিলাম বাবা তুমি চা বানাইছো নাকি আমি বানাবো?
বাবা চা খেতে খেতে রুমে এসে বলল, আমার মেয়ে বানাইছে।দারুণ হইছে খেয়ে দেখ।তোরটারমত চিনি বেশী হয়নি আর আমারটার মত কমও হয়নি।হাহাহা
আমি বাবাকে বললাম এইযে তোমারও তারছিরার সাথে থেকে থেকে মিড়কি ব্যারাম উঠছে।হুদাই হাসো।
বাবা বলল বউমা তোর জন্যে চা নিয়ে আসিতেছে খেয়ে দেখ ভালই হইছে।আজ সারাদিনে আর ক্লান্তি লাগবেনা।জাদুর পরশ দিয়ে বানিয়েছে।
ইতিমধ্যে রিয়া এসে পরে।আমার সাথে এমন ভাব নিল যেনো কিছুক্ষণ আগেও কিছু হয়নি।আলমারি থেকে আকাশী কালারের শার্ট, সাদা ব্লেজার আর সাদা প্যান্ট বের করে সামনে রাখল।বাবা বলল বউমাতো খুব স্মার্ট কাজকর্মে।
.
আমি দুইজনের কথাবার্তা শুনতেছিলাম আর রাগতেছিলাম।শার্টটা হাতে নিয়ে বাবার দিকে তাকিয়ে বলল বাবা দেখছেন শার্টের কলারের অবস্থা? বছরে একবারো মনে হয়না সাবান বা সার্ফেক্সেল দিয়ে কলারটা পরিষ্কার করছে!
বাবা কিছু বা বলে কেটে পড়লো।রিয়া বাবাকে থামিয়ে বলল দাড়ানতো বাবা।আপনের শার্টের কলারটা একটু দেখি। বাবার শার্টের কলারেও একই অবস্থা।আমরা শুধু দুজনই একবার করে পানিতে ধুয়ে ফেলতাম শার্ট।
রিয়া আমাকে বলল নাস্তা রেডি আছে।আপনি নাস্তা করেন আমি এতক্ষণে শার্টের কলারটা ধুয়ে ইস্ত্রি করে দিচ্ছি।
আমি কোনো কথা না বলে নাস্তার জন্যে চলে গেলাম।বাবা আমার কাধে হাত দিয়ে বলল কিছু শিখ এবার।সারাজীবন শুধু টাকাই কামাইতে শিখছোস।মেয়েটা কিন্তু একেবারে পারফেক্ট তোর জন্যে।
আমি কোনো কথা না বলে নাস্তা খেয়ে রুমে চলে গেলাম।রুমে যাওয়ার পর রিয়া নিজ হাতে আমায় শার্ট পরিয়ে দিলো।শার্ট পরিয়ে ব্লেজার পরানো শেষে টাই টা পরিয়ে দেয়ার সময় বেশী জোরে টান দিতেই আমি চেঁচিয়ে উঠি মারবেন নাকি বলে।
রিয়া বলে আপনাকে মারলে আমার সখগুলো কে পূরণ করবে?
আমি কথাটা শুনে রিয়ার মাথাটা ধরে আমার মাথার সাথে শক্ত করে কয়েকটা টাক দিলাম।এরপর বললাম লোকে বলে আমার নাকি কপাল খারাপ।আপনার কপাল মনে হইতাছে ভালো।তাই ঘষা দিলামনা একেবারেই টাকই দিলাম।যেনো ভালো হওয়ার কোনো অপশন বাদ না যায়।
.
অফিসে যাওয়ার আগে বলল দেখেশুনে যাইতে।এই কথাটা শুনার পর মনে হলো আসলেই বিয়ে করেছি।
অফিসে যাওয়ার পর সবাই এমন ভাবে তাকালো যেনো পৃথিবীগ্রহে এলিয়েনের পদার্পণ।আমি বললাম কি হইছে? তখন একজন বলল স্যার আপনি না ছুটিতে? গতকাল না আমরা আপনার বিয়েতে গেছিলাম?
আমি উহ শিট বলে মাথায় হাত দিলাম।আমিতো ছুটিতে। আরো চারদিন ছুটি আছে আমার।তাড়াতাড়ি করে অফিস থেকে বের হয়ে মাথার চুলগুলো সব আউলাঝাউলা করে ফেললাম।
বিয়ার পর মাথা পুরোটাই আউলাইয়া গেছেগা।
শাহবাগের মোড়ে ফুলের দোকান দেখে কি মনে করে যেনো ফুল কিনতে মন চাইলো।কয়েকরকমের ফুলের তৈরি রিং কিনলাম একটা সাথে একগুচ্ছ গোলাপ।
বাসার নিচে এসে বাবাকে ফোন দিলাম।বাবা জানালো রিয়া কাপড়চোপড় ধৌত করছে।আমি বাচ্চাদের মত খুশীতে লাফাইতে লাফাইতে বাসায় যেয়ে সবকিছু খাটের নিচে লুকিয়ে রাখলাম।
.
আমাকে বাসায় দেখে যেনো রিয়ার মাথায় আগুণ উঠে গেছে।একেরপর একটা শার্ট আর প্যান্ট আমার দিকে ছুড়ে মারতাছে আর বলতাছে সবগুলো রৌদ্রে দিতে।মেজাজ এইবার একেবারেই খারাপ।খাটের নিচে ঢুকলাম।ফুলগুলো একেবারে দূরে গেছেগা।পুরো শরীরটা একেবারে ঢুকিয়ে ফোনের ফ্ল্যাশ দিয়ে রিং আর ফুলগুলো আনতে গেলাম।যেই নাহ রিংটা ধরতে যাবো সেই মুহুর্তে কে যেন পা ধরে টান দিয়ে আমায় বের করতে চাইলো।বের করেও ফেলল।এইবার রিয়ার দিলে তাকিয়ে দেখলাম সে রাগে ফুলে আছে।চেহারায় সাবানের ফ্যানা।আমি ফুলগুলো একে একে তার দিকে ছুড়তে লাগলাম আর বলতে লাগলাম কচুর সারপ্রাইজ দিবো।বিয়ের একদিনের দিনেই লাইফ পুরা চেঞ্জড হইয়া গেছেগা।
ফুল যখম ছুরা শেষ তখন দেখলাম চোখে পানি রিয়ার।
.
উনার পানি দেখে আমারও মনটা নরম হয়ে গেলো।আর এই মুহুর্তে বাবা রুমে আসলে আমার বাসায় আর জায়গা নাই।
তো কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর ইদুরের মত আবারো খাটের নিচে ঢুকলাম।রিয়া এতক্ষণে আবার গোসলখানায় কাপড় কাচতে গেছে।
রিংটা নিয়ে রিয়ার কাছে যেয়ে পিছন থেকে বললাম পরবে?
রিয়া বলল কি পরবো? পরিয়ে দিতে পারেন নাহ? দেখছেন না কাজ করছি?
আমি রিংটা রিয়ার মাথায় দিয়ে দাড় করিয়ে গোসলখানার আয়নায় তাকে দেখালাম।
রিয়া প্রথমে লজ্জা পায় আর মাথা নিচু করে রাখে।
তবে এই শান্ত পরিবেশ বেশিক্ষণ থাকেনা।আমার সারা শরীর পানি দিয়ে ভিজিয়ে দেয়।
অবশেষে আমার চিৎকার শুনে বাবা ঝাড়ি দিলে আমি বের হয়ে যাই।
.
রাতে আলমারি থেকে আগেরদিনের মত শার্ট আর প্যান্ট বের করার জন্যে আমি আলমারি খুলি আর রিয়া আটকে দেয়।আমি কারণ জানতে চাইলে বলেনা।অবশেষে ঝারি দেই অই সমস্যা কি?
রিয়া আমার কথা পুরোটা শেষ হওয়ার আগেই ঝরিয়ে ধরে আমাকে আর বলে "প্রেমে পড়েছি"।
আমি বললাম ভেবেছি আগামীকাল আরেকটা কোম্বল আনবো।এখন মনে হয় একটাতেই হবে।রিয়া আমার দিকে তাকালো একবার তারপর আবারো বুকে মাথা রাখলো দুই চারটা কিল ঘুষি দিয়ে।

টেলিফিল্ম যমুনার পাড়ে, নাটিকাটির শুটিং। রচনায়ঃ নাজিম নোহাস।

আজ তৃতীয় দিনের মত, সম্পুন্ন হলো.....টেলিফিল্ম যমুনার পাড়ে, নাটিকাটির শুটিং।
রচনায়ঃ নাজিম নোহাস।
পরিচালনায়ঃ জনি হাওলাদার
সহকারী পরিচালনায়ঃ আহম্মেদ ইমতিয়াজ রাজ
ক্যামেরাম্যানঃ এ.আর সজিব
অভিনয়েঃ সুমন সিকদার, সোহাগ স্বাধীন, ফারজানা নিপাসহ আরো অনেকে।

সম্পর্কগুলো হচ্ছে স্রোতের মতো।

সম্পর্কগুলো হচ্ছে স্রোতের মতো। বয়ে চলে,বয়ে যায়।কখনো বাঁকে যেয়ে ঘুরে যায় আবার হয়তো কখনো মোহনায় মিশে যায়। তাই এ সম্পর্কগুলোর গভীরতা সবসময় অজানাই থেকে যায় !
প্রেমিকা জিজ্ঞেস করলো-
আচ্ছা অন্য কারো সাথে আমার বিয়ে হয়ে গেলে কি
করবে ?
-ভুলে যাবো, ছেলেটা উত্তর দিলো।
.
ছেলেটার উত্তর শুনে মেয়েটি রাগে অন্যদিকে মুখ
ঘোরালো।
.
ছেলেটি আবার বলল...
- তুমিও আমাকে ভুলে যাবে, সবচেয়ে বড় কথা l
আমি যত দ্রুত তোমাকে ভুলে যাবো, তার চেয়েও
বেশি দ্রুত তুমি আমাকে ভুলে যাবে।
: কিরকম? প্রেমিকা প্রশ্ন করলো।
.
ছেলেটি বলতে শুরু করল...
.
"মনে করো বিয়ের প্রথম তিনদিন তুমি একধরনের ঘোরের
মধ্যে থাকবে । শরীরে গয়নার ভার, মুখে মেকআপ
এর প্রলেপ, চারেদিক থেকে ক্যামেরার ফ্লাশ,
মানুষের ভিড়, তুমি চাইলেও তখন আমার কথা মনে
করতে পারবে না।
.
'আর আমি তখন তোমার বিয়ের খবর পেয়ে হয়ত কোন
বন্ধুর সাথে উল্টাপাল্টা কিছু খেয়ে পরে থাকবো l
আর একটু পর পর তোমাকে হৃদয়হীনা বলে
গালাগালদিব, আবার পরক্ষনেই পুরাতন স্মৃতির
কথা মনে করে বন্ধুকে জড়িয়ে ধরে কাঁদবো।"
.
"বিয়ের পরের দিন তোমার আরো ব্যস্ত সময় কাটবে।
স্বামী আর মিস্টির প্যাকেট, এই দুটো হাতে নিয়ে
তুমি বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনের বাসায় ঘুরে
বেড়াবে।"
.
আমার কথা তখন তোমার হঠাৎ হঠাৎ মনে হবে।
.
এই যেমন স্বামীর হাত ধরার সময়, এক সাথে
রিকসায় চড়ার সময়।
.
'আর আমি তখন ছন্নছাড়া হয়ে ঘুরে বেড়াব, আর
বন্ধুদের বলবো বুঝলি দোস্ত, জীবনে
প্রেম ভালোবাসা কিছুই নাই, সবধোয়া, সব বুংগা,
বুংগা।"
.
পরের একমাসে তুমি হানিমুনে যাবে, নতুন বাসা
পাবে, শপিং, ম্যাচিং, শত প্লান, আর স্বামীর
সাথে হালকা মিষ্টি ঝগড়া।
.
তখন তুমি বিরাট সুখে, হঠাৎ আমার কথা মনে হলে
ভাববে, আমার সাথে বিয়ে না হয়ে বোধহয় ভালোই
হয়েছে।
.
'আমি ততদিনে বাপ, মা, বন্ধু কিংবা বড় ভাইয়ের
ঝাড়ি খেয়ে মোটামোটি সোজা হয়ে গিয়েছি।'
.
ঠিক করেছি কিছু একটা কাজ পেতে হবে, তোমার
চেয়ে একটা সুন্দরী মেয়ে
বিয়ে করে তোমাকে দেখিয়ে দিতে হবে।
.
সবাইকে বলবো, তোমাকে ভুলে গেছি...
কিন্তু তখনও মাঝরাতে তোমার এসএমএস গুলো বের
করে পরবো আর দীর্ঘশ্বাস ছাড়বো।
.
"পরের দুই বছর পর, তুমি আর কোন প্রেমিকা কিংবা
নতুন বউ নেই। মা হয়ে গিয়েছো, পুরাতন প্রেমিকের
স্মৃতি, স্বামীর আহ্লাদ, এসবের চেয়েও বাচ্চার
ডায়াপার, হামেরটিকা এসব নিয়ে বেশি চিন্তিত।
.
অর্থাৎ তখন আমি তোমার জীবন থেকে মোটামুটি
পারমানেন্টলি ডিলিট হয়ে যাবো।
.
'এদিকে আমিও একটা কাজ পেয়েছি...
বিয়ের কথা চলছে। মেয়েও পছন্দ হয়েছে। আমি এখন
ভীষণ ব্যাস্ত। এবার সত্যিই আমি তোমাকে ভুলে
গিয়েছি। শুধু রাস্তা ঘাটে কোন কাপল দেখলে
তোমার কথা মনে পড়বে । কিন্তু তখন আর
দীর্ঘশ্বাসও আসবে না . . .
-
-
এতদূর পর্যন্ত বলার পর ছেলেটি দেখল প্রেমিকা
ছলছল চোখ নিয়ে ছেলেটির দিকে তাকিয়ে আছে।
.
মুখে কোন কথা নেই। ছেলেটি ও চুপচাপ।
একটু পর প্রেমিকা বললো,
"তবে কি সেখানেই সব শেষ??
-ছেলেটি বলল, "না।
.
কোন এক মন খারাপের রাতে তোমার স্বামী
নাক ডেকে ঘুমুবে। আমার বউও ব্যস্ত থাকবে
নিজের ঘুমরাজ্যে। শুধু তোমার আর আমার চোখে ঘুম
থাকবেনা, সেদিন অতীত আমাদের দু'জনকে
নিঃশব্দে কাঁদাবে। সৃষ্টিকর্তা ব্যাতিত যে
কান্নার কথা কেউ জানবেনা, কেউ না।
.
[ভালোবাসা ঠিক, যতটা সত্যি, বাস্তবতাটা
তার চাইতেও অনেক বেশী সত্যি!! 

.
.
.
.
.
.

লেখক: নাজিম নোহাস।

আমি আপনাকে বিয়ে করতে পারব না ?

আমি আপনাকে বিয়ে করতে পারব না ?
- কিন্তু এখন তো আর উপায় নেই।
- উপায় না থাকলেও উপায় বের করুন
- আমাকে আপনি উপায় বের করতে বলছেন?
আমার মাথা থেকে একটা উকুনও
বের হয় না। আর
বুদ্ধি বের হবে কি করে!!
- দেখুন আপনি………………
- দেখলাম।
- ফাজলামি করা বন্ধ করুন। আপনি যদি আমাকে
বিয়ে করেন তাহলে বিয়ের রাতেই আমি
পালিয়ে
যাব।
- তা বিয়ের রাতে কখন পালাবেন?
বিয়ে হয়ে
যাওয়ার আগে নাকি পরে?
যদি বিয়ে হওয়ার পরে
পালান তাহলে আমাকেও নিয়ে যাইয়েন।
বিয়ের
পর আমি বউ ছাড়া থাকতে পারব না।
- দেখুন আপনি কিন্তু ব্যাপারটা সিরিয়াসলি
নিচ্ছেন না। বিয়ের রাতে যদি আমি পালাতে না
পারি তাহলে আমি সুইসাইট করব।
- আহারে বিয়ের রাতেই আমারে পুরুষ বিধবা
বানাবেন। তা কি দিয়ে সুইসাইট করবেন?
যদি
ব্লেড দিয়ে করেন তাহলে আমার কাছ থেকে হেল্প
নিতে পারেন। আমি ভাল কোম্পানির ব্লেড চিনি।
- আপনার সাথে কথা বলাই বৃথা। .
রিমি রেগে চলে গেল। মেয়েটার সাথে আমার
তেমন পরিচয় নেই। হঠাৎ করে খালা আমার
বিয়ে
ঠিক করে ফেলল। আমার মা বাবা নেই। খালাই
আমার দেখাশুনা করে। যেদিন খালা আমাকে
বিয়ের কথা বলল সেদিন তো আমি আনন্দে
আত্নহারা হয়ে গেছিলাম। খালা বলল
- কিরে তুই বিয়ে করতে রাজি তো
- রাজি মানে খালা আমি চারপায়ে খাড়া।
- চারপায়ে খাড়া মানে? মানুষের তো
দুইটা পা
থাকে।
- আমি হামাগুড়ি দিয়া খাড়া। কিন্তু রিমি আমাকে বিয়ে করতে চাচ্ছে
না।
হয়তো ওর কারো সাথে রিলেশন আছে যার কারণে
ও আমাকে বিয়ে করতে চায় না। .
আমি ঘরে বসে টিভি দেখছি। দেখার মতো কিছুই
নাই। তারপরও দেখছি। এমন সময় একটা শব্দ হল
ম্যও ম্যও ম্যও ম্যও
শব্দটা আমার চেনা। এটা আমার মোবাইলের
রিংটোন। রিমি ফোন করেছে।
- হ্যালো
- আপনি কি এখন ফ্রি আছেন?
- আছি
- তাহলে এখুনি আমার সাথে দেখা করুন।
- অকা। আপনি কোথায় আছেন বলুন। আমি
উসাইন
বোল্টের স্পিডে চলে আসছি।
- কালকে যেখানে দেখা করেছিলাম সেখানে চলে
আসুন।
.
জায়গামত চলে এসেছি। রিমিও এসেছে।
ওকে
দেখতে দারুন লাগছে।
- আপনি কি কিছু উপায় বের করেছেন?
- না। ভাবতেছি বিয়ের পর একটা উপায়
বের করব।
- আপনি হয়তো ভুলে যাচ্ছেন যে এই বিয়েটা হচ্ছে
না।
- আচ্ছা আপনার বয়ফ্রেন্ড আমাদের বিয়ের বিষয়টা জানে? না জানলে আমাকে তার ঠিকানা দিন আমি গিয়ে
বিয়ের দাওয়াত দিয়ে আসি।
- আপনি আমার বয়ফ্রেন্ড পেলেন কোথায়?
- আপনার বয়ফ্রেন্ড নেই?
- না নেই
- তাহলে আমাকে বিয়ে করতে আপনার অসুবিধা
কোথায়?
- আছে। আপনাকে আমার একটুও পছন্দ হয় নি।
তাই
আপনাকে আমি বিয়ে করব না।
- ঠিক আছে আপনাকে বিয়ে করতে হবে
না। আমিই
আপনাকে বিয়ে করব আর আপনি অন্য কাউকে বিয়ে
করবেন।
- মানে?
- মানে বুঝতে হবে এই বিয়েটা হচ্ছে এটাই
ফাইনাল।
- আমি আগেও বলেছি এখনো বলছি আপনাকে আমি
বিয়ে করব না। যদি এই বিয়ে হয় তাহলে
আমি
সুইসাইড করে মরব।
- ওকে সেটা আপনার ইচ্ছা
- বিয়ের দিন রাত ১২টা। রিমির সাথে
আমার বিয়ে
হয়ে গেছে। রিমি একা ঘরে বসে আছে।
হয়তো
কাদছে। আমি ঘরে ঢুকলাম
- দেখুন এই বিয়েতে আমার কিন্তু একটুও মত
ছিল না।
আপনার সাথে আমি থাকতে পারব না। - আমি আপনার সাথে থাকতে আসি নি।
আমি ব্লেড
নিয়ে এসেছি।
- ব্লেড আনছেন মানে?
- আপনি বলেছিলেন না আপনি সুইসাইড করবেন
সেজন্য ব্লেড নিয়ে এসেছি। দুইটা ভাল
কোম্পানির
ব্লেড আনছি। আপনি একটা নিয়ে অন্যটা
ফেরত
দিন। দুইটা ব্লেড দিয়ে সুইসাইড করার নিয়ম
নেই।
- আপনি প্লিজ বের হয়ে যান
- ব্লেড দুইটা রেখে যাব না নিয়ে যাব?
- নিয়ে যান (রেগে গিয়ে)
- তারমানে আপাতত সুইসাইড করার প্লান
বাদ। নতুন
কোন প্লান করছেন নাকি?
- প্লিজ আপনি চলে যান
আমি ব্লেড দুটো রেখে বাহিরে চলে এলাম। আমি
জানি এই মেয়ে সুইসাইড করবে না। তবে
আমার
প্রেমে পরবে কিনা জানি না। বাহিরে
বৃষ্টি হচ্ছে
আর আমি বারান্দায় দাড়িয়ে বৃষ্টি দেখছি।
শুনেছিলাম বাসর রাতে বৃষ্টি হলে নাকি
সংসারে
শান্তি বিরাজ করে। আমার বাসর রাতেও
বৃষ্টি
হচ্ছে। কিন্তু আমার সংসার করা হবে কিনা
জানি
না। রিমি ঘরে কি করছে দেখতে ইচ্ছা করছে। ঘরে
একবার উকি দিয়ে দেখলাম। রিমি এখনো
আগের
জায়গায় বসে আছে।
- এখানে আপনি কি চান?
ও আমাকে দেখে ফেলেছে।
- আসলে আপনাকে আমি দুইটা ব্লেড দিয়ে
গিয়েছিলাম। একটা ফেরত নিতে এসেছি। আপনার
তো দুইটা ব্লেডের প্রয়োজন নেই।
- আপনি আমার একটা কাজ করে দিতে পারবেন?
- বলুন আমাকে কি করতে হবে?
- আমাকে কিছু খাবার এনে দিবেন?
আমার
খুব খিদে পেয়েছে।
- অকা। টাকা দেন
- সামান্যকিছু খাবার কেনার টাকাও আপনার কাছে নাই? আর
আপনি আমাকে বিয়ে করেছেন?
- বিয়ে করতে তো টাকা লাগে না। শুধু
তিনবার
কবুল বললেই হল।
- আমার কাছে তো কোন টাকা নাই। - ঠিক আছে আমি বাকি এনে দিচ্ছি। পরে
টাকা
দিয়েন।
এতোরাতে দোকান খোলা থাকার কথা
নয়।
তারপরও একটা দোকান খোলা পেলাম। খাবার
নিয়ে ফিরে এলাম।
- এখন টাকা দেন
- আপনাকে তো বললাম আমার কাছে টাকা নাই
- তাহলে পরেই দিয়েন। আমি কি এখানে
দাড়িয়ে
থাকব নাকি বাহিরে যাব?
- বাহিরে যান
- ঠিক আছে।
বাহিরে এসে আবার বৃষ্টি দেখা শুরু করলাম।
আমাকে মনে হয় আজ বৃষ্টির সাথেই বাসর
ঘর করতে
হবে। তবে এটাকে বাসর ঘর না বলে বাসর
বারান্দা বললে ভাল হবে।
- এখানে দাড়িয়ে দাড়িয়ে কি করছেন?
কখন যে রিমি আমার পাশে এসে দাড়িয়েছে
খেয়ালই করি নি।
- বৃষ্টির সাথে বাসর করার চেষ্টা করছি।
- মানে?
- আজ তো আমার বাসর রাত হওয়ার কথা ছিল কিন্তু
তা তো হল না। তাই বাসর বারান্দা করার
চেষ্টা
করছি আরকি।
- বাসর বারান্দা মানে কি?
- বৃষ্টির সাথে তো আর ঘরে বাসর করা যায় না তাই
বারান্দায় থেকে বাসর করছি। রিমি আমার কথা শুনে হাসতে শুরু করল। ওর
হাসিটা
খুব সুন্দর যা দেখে যেকেউ ওর প্রেমে পড়ে যাবে।
- আচ্ছা আপনি কি পাগল?
- জানি না। হতেও পারি।
- আমার মনে হয় আপনি পাগলই। কথাবার্তা
কিরকম
পাগল টাইপের।
- আমি এভাবেই কথা বলি। এটা আমার অভ্যাস।
- আচ্ছা অনেক হয়েছে আপনাকে আর বৃষ্টি দেখতে
হবে না। আসুন ভেতরে আসুন।
- ভিতরে গিয়ে কি করব?
- আমাকে দেখবেন।
এতোক্ষনে রিমি একটু একটু আমাকে পছন্দ করা শুরু
করেছে। আমি ঘরে ঢুকলাম। রিমি বলল - বাসর রাতে বৃষ্টি হলে কি হয় জানেন?
- হুম
- বলেন তো কি হয়?
- কনে বরকে বাসর ঘর থেকে বের করে দেয় আবার
বাসর ঘরে ঢুকতে বলে।
- বৃষ্টি কিন্তু এখন থেমে গেছে.
- বৃষ্টি থেমে গেলে কি হয় জানেন?
- না জানি না। কি হয়?
- বর কনেকে নিয়ে ছাদে চলে যায়। আপনি আমার
সাথে ছাদে যাবেন?
- কেন?
- আসলে আকাশে যে চাঁদটা আছে না সে খুব
নিজের রুপ নিয়ে খুব গর্ব করে আমি তাকে
দেখাতে চাই যে তার চেয়েও সুন্দরী পৃথিবীতে
আছে।
- আপনি কিন্তু ভাল মেয়ে পটাতে পারেন। জীবনে
কতজনকে পটাইছেন?
- একজনকে পটানোর চেষ্টা করছি। দেখা
যাক কি
হয়।
- আপনি কি জানেন আমি আপনার প্রেমে
পরে
গেছি?
- এখন জানলাম
- আপনি ছাদে যাবেন না?
- চলুন
ছাদে গেলাম কিন্তু আকাশ মেঘলা হয়ে
আছে।
চাঁদের দেখা নেই।
- কই আকাশে তো চাঁদ নেই।
- তোমাকে দেখে লজ্জা পাইছে তাই লুকিয়ে
পড়েছে।
রিমি লজ্জা মিশ্রিত একটা হাসি দিল। এই
একটা
হাসিই আমাকে পাগল করে দিতে যথেষ্ট।
ভাবতে
খুব ভাল লাগছে যে এই মেয়ে আমার বউ।
.
.লেখক: নাজিম নোহাস।

বি,সি,এস প্রিপারেশন

বি,সি,এস প্রিপারেশন
1. বঙ্গোপসাগরের অন্তর্ভুক্ত কটি দ্বীপ আছে?
Ans. 204 টি ।
2. সিয়াচেন হিমবাহ কোথায় অবস্থিত ?
Ans. নাব্রা উপত্যকা (কারাকোরাম) ।
3. সূয়েজ ক্যানাল কোথায় অবস্থিত ?
Ans. ইজিপ্টে ।
4. Solar System এর আবিষ্কারক কে?
Ans. কোপার্নিকাস ।
5. বিশ্বে প্রথম মহাশূন্যে হেঁটেছেন কে?
Ans. অ্যালেক্সি লিওনভ ।
6. পৃথিবীর শীতলতম স্থান কোনটি?
Ans. সাইবেরিয়া ( ভারখয়ানস্ক ) ।
7. ভারতবর্ষে মোট কটি দ্বীপ আছে?
Ans. 247 টি ।
8. পূর্বঘাট পর্বতের অপর নাম কি?
Ans. মলয়াদ্রি ।
9. পৃথিবীর উচ্চতম বিল্ডিং কোনটি?
Ans. বুর্জ খলিফা ।
10. 2011 সালের আদমসুমারী অনুযায়ী, ভারতের সবচেয়ে গরীব রাজ্য কোনটি?
Ans. ছত্তিশগড় ।
11. আয়তনে বা জনসংখ্যায় বিশ্বের ক্ষুদ্রতম দেশ কি ?
Ans. ভ্যাটিকান সিটি ।
12. কোন শহরকে “নীরব শহর” বলা হয় ?
Ans. রোম ।
13. দৈর্ঘ্য , প্রস্থ , উচ্চতা – তিনটি মাত্রা , চতুর্থ মাত্রা কি ?
Ans. সময় ।
14. কসমিক ইয়ার (Cosmic Year) কি ?
Ans. যে সময়ে সৌরজগৎ ছায়াপথ বা আকাশগঙ্গাকে একবার প্রদক্ষিণ করে ।
15. গঙ্গা , যমুনা ও সরস্বতী নদী কোন শহরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ?
Ans. এলাহাবাদ ।
16. ভারতের কোন বিখ্যাত আন্দোলনের অন্যতম স্লোগান ছিল “Ecology is Permanent Economy” ?
Ans. চিপকো আন্দোলন ।
17. ওড়িশা রাজ্যের State Animal কোনটি ?
Ans. সম্বর হরিণ ।
18. ‘ আমন ব্রিজ ‘ কোন দুটি দেশকে যুক্ত করেছে ?
Ans. ভারত – পাকিস্তান ।
19. পশ্চিমী ঝঞ্ঝার ফলে কোথায় বৃষ্টিপাত হয় ?
Ans. বিহার – উত্তরপ্রদেশ ।
20. ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং এজেন্সি কোথায় অবস্থিত ?
Ans. হায়দ্রাবাদ ।
21. সমুদ্রে নাবিকরা যে যন্ত্রের সাহায্যে অক্ষাংশ নির্ণয় করে তার নাম কি ?
Ans. সেকস্ট্যান্ট যন্ত্র ।
22. পৃথিবীর বৃহত্তম পার্বত্য হিমবাহ কোনটি?
Ans. আলাস্কার হুর্বার্ড ।
23. পৃথিবীর গভীরতম ফিয়র্ড কোনটি?
Ans. নরওয়ের সেভলে ফিয়র্ড ।
24. উত্তর প্রদেশ ও বিহারের অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদকে কী বলে?
Ans. কোর বা তাল ।
25. আন্তর্জাতিক ভূমিকম্প সমীক্ষা কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত?
Ans. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ।
26. আল্পস পর্বতের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম কী?
Ans. মাউন্ট ব্ল্যান্ক ।
27. “চ্যালেঞ্জার খাত ” কোথায় অবস্থিত?
Ans. প্রশান্ত মহাসাগরে ।
28. বেরিং স্রোত কোন মহাসাগরে দেখা যায় ?
Ans. প্রশান্ত মহাসাগরে ।
29. বৃক্ষরূপী নদীবিন্যাস কোথায় দেখা যায়?
Ans. মরু অঞ্চলে ।
30. উত্তর গোলার্ধের “মেরুজ্যোতি ” কে কী বলে ?
Ans. আরোরা বেরিয়ালিস ।
31. ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জলপ্রপাতের নাম কী?
Ans. সরাবতী নদীর গেরসোপ্পা বা যোগ বা মহাত্মা গান্ধী জলপ্রপাত
32. পূর্বঘাট পর্বতের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম কী?
Ans. অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওডিশা সীমান্তে অবস্থিত আরমা কোন্ডা(1680 মিটার)
33. পশ্চিম ঘাট পর্বতের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম কী?
Ans. কলসুবাই(1646 মিটার)
34. খাসি পাহাড় কোন রাজ্যে অবস্থিত?
Ans. মেঘালয়
35. অযোধ্যা পাহাড় কোন রাজ্যে অবস্থিত?
Ans. পুরুলিয়া, পশ্চিমবঙ্গ
36. “কচ্ছ ” শব্দের অর্থ কী?
Ans. জলাময় দেশ
37. “Sky River ” নামে কোন নদী পরিচিত?
Ans. ব্রহ্মপুত্র
38. জম্মু কোন নদীর তীরে অবস্থিত?
Ans. তাওয়াই
39. ময়ূরাক্ষী নদীর ওপর নির্মিত “মশানজোড় ” বাঁধ কে “কানাডা বাঁধ ” বলা হয় কেন?
Ans. 1954-55 সালে কানাডা সরকারের সহযোগিতায় নির্মান কাজ সম্পূর্ণ হয় বলে এই বাঁধের অপরনাম কানাডা বাঁধ
40. অষ্টমুদী হ্রদ কোন রাজ্যে অবস্থিত?
Ans. কেরালার কোলাম জেলাতে ৷
41. ভারতের সর্বোচ্চ জলপ্রপাতের নাম কী?
Ans. Kunchikal Falls(455 মিটার),Masthikatte , Shimoga district , Karnataka
42. ভারতের সুনামি পূর্বাভাস কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত?
Ans. 2007 সালের 15 অক্টোবর , অন্ধপ্রদেশের হায়দ্রাবাদে স্থাপিত হয়
43. প্রশান্ত মহাসাগরের সুনামি সতর্কতা কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত?
Ans. হনুলুলুতে
44. আন্তর্জাতিক জলাভূমি দিবস কবে পালিত হয়?
Ans. 2 রা ফেব্রুয়ারি
45. “রামসার ” চুক্তি কত সালে কার্যকর হয়?
Ans. 1975
46. কার্বন মুক্ত দেশ কোনটি?
Ans. ভুটান
47. কাঞ্চনজংঘা ন্যাশনাল পার্ক UNESCO এর World Heritage Site এর তালিকায় কবে স্থান পায়?
Ans. 18 জুলাই 2016
48. সুন্দরবন UNESCO এর World Heritage Siteএর তালিকায় কবে স্থান পায়?
Ans. 1987
49. ভারতে UNESCO প্রদত্ত বর্তমানে মোট কতগুলি স্থান World Heritage এর তকমা পেয়েছে ?
Ans. 35 টি
50. “চিপকো ” কথার অর্থ কী?
Ans. জড়িয়ে ধরা
51. “চিপকো আন্দোলন ” কবে গড়ে ওঠে?
Ans. 1973 সালে বর্তমান উত্তরাখন্ডের গাড়ওয়াল জেলার মন্ডল গ্রামে গাছ কাটার বিরুদ্ধে একটি স্বতঃস্ফূর্ত, অহিংস আন্দোলন গড়ে ওঠে , গাছকে জড়িয়ে ধরে এই আন্দোলন করা হতো বলে একে চিপকো আন্দোলন বলা হয় ৷
52. চিপকো আন্দোলনের শ্লোগান কী ছিল?
Ans. “What do the forest bear? Soil, Water and Pure Air ”
53. “অ্যাপ্পিকো আন্দোলন “কবে শুরু হয়?
Ans. 1983 সালে কর্ণাটকের সিরসী অঞ্চলের সলকানী বনাঞ্চলে গাছকাটার বিরুদ্ধে এই আন্দোলন শুরু হয় ৷
54. “অ্যাপ্পিকো ” শব্দের অর্থ কী?
Ans. গভীর ভাবে জড়িয়ে ধরা
55. “অ্যাপ্পিকো আন্দোলন “এর স্লোগান কী ছিল?
Ans. ‘Five Fs ”__F=Food,Fodder,Fuel, Fiber,Fertilizer “.
56. মেধা পাটেকর কোন পরিবেশ আন্দোলনের সাথে যুক্ত?
Ans. নর্মদা বাঁচাও আন্দোলন ।
57. ‘ ভারতের রূঢ় ‘ – কোন শহরকে বলে ?
Ans. দুর্গাপুর ।
58. ‘ উদীয়মান শিল্প ‘ কোন শিল্প কে বলা হয় ?
Ans. পেট্রো – রসায়ন শিল্প ।
59. মধ্য আমেরিকায় স্থানান্তর কৃষি কী নামে পরিচিত ?
Ans. মিলপা ।
60. বসুন্ধরা সম্মেলন কবে অনুষ্ঠিত হয় ?
Ans. 1992 সালে ।
61. WTO এর সদস্য দেশের সংখ্যা কত ?
Ans. 164 টি (July,2016)।
62. 2011 সালের আদমসুমারী অনুযায়ী , ভারতের জনঘনত্ব কত ?
Ans. 382 জন প্রতি বর্গকিমি ।
63. ভারতের সবচেয়ে দীর্ঘ জাতীয় সড়ক কোনটি ?
Ans. বারাণসী থেকে কন্যাকুমারী ।
64. জাভা দ্বীপ কোন মহাসাগরে অবস্থিত ?
Ans. প্রশান্ত মহাসাগর ।
65. মানবীয় ভূগোলের প্রবক্তা কে ?
Ans. ভিদাল – দে – লা – ব্লাচে ।
66. ‘Civilisation and Climate’ গ্রন্থটির লেখক কে ?
Ans. হান্টিংটন ।
67. ‘Cosmos’ কার লেখা ?
Ans. হামবোল্ট ।
68. মৃত্তিকার অম্লত্ব ও ক্ষারত্ব নির্ণয়ের সূচনা ঘটে কবে ?
Ans. 1909 সালে ।
69. ‘ সাংস্কৃতির উৎস ক্ষেত্র ‘ কথাটি প্রথম কে উপস্থাপন করেন ?
Ans. সাওয়ার ।
70. সমাজ ভূগোলে লোকাচার শব্দটি কে প্রথম ব্যবহার করেন ?
Ans. W.G. Sumner.
71. ভারতে শক্তির সর্ববৃহৎ উৎস কোনটি ?
Ans. তাপীয় ।
72. পশ্চিমবঙ্গের কোথায় লাক্ষা চাষ সবচেয়ে বেশি হয় ?
Ans. ঝালদা ও মানবাজার অঞ্চলে ।
73. সিঙ্গারেনী কয়লাখনি কোন রাজ্যে অবস্থিত ?
Ans. অন্ধ্রপ্রদেশ ।
74. মালপ্রভা নদী কোন রাজ্যে অবস্থিত ?
Ans. কর্ণাটক ।
75. ‘ বিশ্ব সমুদ্র দিবস ‘ কবে পালিত হয় ?
Ans. 8th June.
76. বাংলাদেশের কোন শহরকে ‘ প্রাচ্যের ডান্ডি ‘ বলা হয় ?
Ans. নারায়ণগঞ্জ ।
77. ভারতের প্রথম জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নাম কি ?
Ans. দার্জিলিং-এর সিদ্রাপং ।
78. ‘ নামধাপা ‘ ব্যাঘ্র প্রকল্প কোন রাজ্যে অবস্থিত ?
Ans. অরুণাচল প্রদেশ ।
79. সাইক্লোন বা অ্যান্টি সাইক্লোন কার প্রভাবে হয় ?
Ans. বাণিজ্য বায়ু ।
80. কোন নদীর তীরে শ্রীনগর অবস্থিত ?
Ans. ঝিলম ।
81. সম্প্রতি দার্জিলিং থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একটি নতুন জেলা তৈরি হলো , তার নাম কী ?
Ans. কালিম্পং ।
82. বাংলার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে জেগে ওঠা নতুন দ্বীপটির নাম কি ?
Ans. পূর্বাশা ।
83. দ্বারকেশ্বর এবং শিলাবতী নদীর যুগ্ম প্রবাহ কী নামে পরিচিত ?
Ans. রূপনারায়ণ ।
84. বাংলার সর্বাধিক বৃষ্টিপাত যুক্ত জায়গা ‘ বক্সদুয়ার ‘ কোন জেলায় অবস্থিত ?
Ans. জলপাইগুড়ি ।
85. ‘ দিয়ারা ‘ অঞ্চলটি বাংলার কোন জেলার সঙ্গে যুক্ত ?
Ans. মালদা ।
86. বাংলার রাঢ় অঞ্চলের সবচেয়ে বড়ো নদী কোনটি ?
Ans. দামোদর ।
87. তিলপাড়া জলসেচ খালটি কোথায় অবস্থিত ?
Ans. বীরভূম ।
88. বাংলার কোন জেলায় সবচেয়ে কম বৃষ্টিপাত হয় ?
Ans. পুরুলিয়া ।
89. বাংলার কোন জেলায় সবথেকে বেশি গরম পড়ে ?
Ans. বর্ধমান জেলার আসানসোল ।
90. ‘ ত্রাসের নদী ‘ কাকে বলে ?
Ans. তিস্তা ।
91. ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কারাচিতে ‘ সিন্ধু জলবন্টন চুক্তি ‘ কবে স্বাক্ষরিত হয় ?
Ans. 1960 সালে ।
92. কোন রাজ্যের একটি শহরের নাম ‘ পহেলগাম ‘ ?
Ans. জম্মু ও কাশ্মীর ।
93. ভারত কোন পথের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি বিশ্ব বাণিজ্য করে থাকে ?
Ans. সুয়েজ খাল ।
94. ভারতের স্ট্যান্ডার্ড টাইম কোন শহরের স্থানীয় সময় অনুসারে গণনা করা হয় ?
Ans. এলাহাবাদ ।
95. ভারতের সর্ববৃহৎ রাজ্যটি ভারতের সর্বক্ষুদ্র রাজ্য অপেক্ষা কত গুণ বড়ো ?
Ans. 90 গুণ ।
96. ভারতের কোন রাজ্যে সবচেয়ে বেশি নদী আছে ?
Ans. কেরালা ।
97. বাংলার ‘ শিলিগুড়িতে ‘ জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ কী ?
Ans. ভালো সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ।
98. কোন দেশের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক স্ট্যান্ডার্ড সময় আছে ?
Ans. রাশিয়া ।
99. যদি বায়ুমণ্ডল না থাকত তবে আকাশের রং কী হত ?
Ans. কালো ।
100. কোন দেশে এলাকাগতভাবে সবচেয়ে বড়ো বিমানবন্দরটি অবস্থিত ?
Ans. সৌদি আরব ।
101. ভারতে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের বেশীর ভাগ বিদ্যুৎ দেশের কোন বিদ্যুৎ কেন্দ্রসমূহে উৎপাদিত হয় ?
Ans. তাপ বিদ্যুৎ ।
102. জাতীয় তাপ বিদ্যুৎ সংস্থা (N.T.P.C) কত সালে গঠিত হয়েছে ?
Ans. ১৯৭৫ সালে ।
103. ইলেকট্রনিক্স শিল্পে ভারতে কোন অঞ্চল প্রথম স্থান অধিকার করে ?
Ans. দাক্ষিণাত্যের কৃষ্ণ মৃত্তিকা অঞ্চল ।
104. ভারতের প্রথম লৌহ কারখানাটি কত সালে এবং কোথায় স্থাপিত হয়েছিল ?
Ans. ১৮৩০, তামিলনাড়ুর পোর্টোনোভা ।
105. বিশাখাপত্তনম ইস্পাত কারখানাটি কোন দেশের আর্থিক ও কারিগরী সহযোগিতায় গড়ে তোলা হয়েছে ?
Ans. পূর্বতন সোভিয়েত ইউনিয়্ন ।
106. ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ বেসরকারী লৌহ-ইস্পাত কারখানা কোনটি ?
Ans. TISCOজামসেদপুর ।
107. রাউরকেল্লা ইস্পাত কারখানাটি কোন দেশের সহযোগিতায় গড়ে উঠেছে ?
Ans. পশ্চিম জর্মানী ।
108. ভিলাই লৌহ-ইস্পাত কারখানাটি কোন দেশের সহযোগিতায় গড়ে উঠেছে ?
Ans. পূর্বতন সোভিয়েত ইউনিয়ন ।
109. ভারতে রেল-ইঞ্জিন তৈরী করে কোন সংস্থা ?
Ans. পশ্চিমবঙ্গের চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়াকর্স ।
110. ডিজেল লোকোমোটিভ ওয়ার্কস কোথায় অবস্থিত ?
Ans. উত্তরপ্রদেশের বারাণসী ।
111. ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরী কোথায় অবস্থিত ?
Ans. তামিলনাড়ুর পেরাম্বুর ।
112. পশ্চিমবঙ্গের ‘জেসপ এ্যান্ড কোং’ নাম সরকারী সংস্থায় কী তৈরী হয় ?
Ans. মালগাড়ি ও যাত্রীবাহী গাড়ি ।
113. ভারতের বৃহত্তম জাহাজ নির্মাণ কারখানা কোনটি ?
Ans. বিশাখাপত্তনমের হিন্দুস্থান শিপ ইয়ার্ড ।
114. ভারতের প্রথম সুতাকলটি কোথায় স্থাপিত হয় ?
Ans. ঘুসুড়ি ।
115. কোন শহরকে ‘ভারতের ম্যাঞ্চেস্টার’ বলা হয় ?
Ans. আহমেদাবাদ ।
116. ভারতের সর্বাধিক কাপড় কল আছে কোন রাজ্যে ?
Ans. গুজরাট ।
117. ভারতের প্রথম পাটকলটি কোথায় স্থাপিত হয়েছিল ?
Ans. পশ্চিমবঙ্গের রিষড়ায় ।
118. প্রথম শ্রেণীর শহর বলা হয় শহরকে তার জনসংখ্যা কত ?
Ans. ১ লক্ষের বেশী ।
119. মহানগর বলা হয় সেই শহরকে, যার জনসংখ্যা –
Ans. ১০ লক্ষের বেশী ।
120. ভারতের বৃহত্তম বিমানবন্দর কোনটি ?
Ans. ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, দিল্লী ।
121. ‘ভারতের প্রবেশ দ্বার’ বলা হয় কোন শহরকে ?
Ans. মুম্বাই ।
122. ভারতের মূলধনের রাজধানী বলা হয় কোন শহরকে ?
Ans. মুম্বাইকে ।
123. ভারতের অধিকাংশ হিন্দী চলচ্চিত্র নির্মিত হয় কোথায় ?
Ans. মুম্বাইয়ে ।
124. ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লীতে কত সালে স্থানান্তরিত হয় ?
Ans. ১৯১১ সালে ।
125. ওয়েলিংডন বিমানঘাঁটি কোথায় অবস্থিত ?
Ans. ব্যাঙ্গালোরে ।
126. ভারতের পঞ্চম বৃহত্তম মহানগর কোনটি ?
Ans. ব্যাঙ্গালোর ।
127. সালারজঙ্গ জাদুঘর কোথায় অবস্থিত ?
Ans. হায়দ্রাবাদে ।
128. হায়দ্রাবাদের যমজ শহর কোনটি ?
Ans. সেকেন্দ্রাবাদ ।
129. হায়দ্রাবাদ শহরটি কোন নদীর তীরে অবস্থিত ?
Ans. মুসী নদীর তীরে ।
130. কোন শহরকে ভারতের বিজ্ঞান নগরী বলা হয় ?
Ans. ব্যাঙ্গালোরকে ।
131. ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্যাল ল্যাবরেটরী কোথায় অবস্থতি ?
Ans. ব্যাঙ্গালোরে ।
132. আহমেদাবাদ শহরটি কোন নদীর তীরে অবস্থিত ?
Ans. সবরমতী নদীর তীরে ।
133. উত্তরপ্রদেশের সর্বপ্রধান শিল্পকেন্দ্র কোনটি ?
Ans. কানপুর ।
134. লক্ষণৌ শহরটি কোন নদীর তীরে অবস্থিত ?
Ans. গোমতী নদীর তীরে ।
135. কোন শহরকে ‘গোপালী শহর’ বলা হয় ?
Ans. জয়পুরকে ।
136. ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম জাহাজ নির্মাণ কেন্দ্রটি কোথায় অবস্থিত ?
Ans. কোচিনে ।
137. কেন্দ্রীয় মৎস্য শিকার কেন্দ্র ও মৎস্য গবেষণাগারটি ভারতের কোন শহরে অবস্থিত ?
Ans. কোচিনে ।
138. বরোদা শহরের নতুন নাম কী ?
Ans. ভাদোদরা ।
139. দক্ষিণ ভারতের শ্রেষ্ঠতম মন্দির ‘মিনাক্ষী মন্দির’ কোথায় অবস্থিত ?
Ans. মাদুরাইতে ।
140. কোন শহরকে দাক্ষিণাত্যের কাশী বলা হয় ?
Ans. মাদুরাই ।
141. কাশী বিশ্বনাথ মন্দির কোথায় অবস্থিত ?
Ans. বারাণসীতে ।
142. হিন্দুস্থান শিপইয়ার্ড কোথায় অবস্থিত ?
Ans. বিশাখাপত্তনমে ।
143. হুগলী নদীর তীরবর্তী কলকাতা বন্দর কোন ধরণের বন্দর ?
Ans. নদী বন্দর ।
144. বোম্বাই বন্দর কোন ধরণের বন্দর ?
Ans. সমুদ্র বন্দর ।
145. ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ্র সামুদ্রিক বন্দর কোনটি ?
Ans. মুম্বাই ।
146. যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে কোন বন্দরটি ভারতের মধ্যে প্রথম স্থান ?
Ans. মাদ্রাজ ।
147. মোট মাল পরিবহনের ক্ষেত্রে কোন বন্দরটির স্থান ভারতের মধ্যে প্রথম ?
Ans. মুম্বাই ।
148. ভারতে আমদানী বাণিজ্যে কোন বন্দরের স্থান প্রথম ?
Ans. মুম্বাই ।
149. ভারতে রপ্তানী বাণিজ্যে কোন বন্দরের স্থান প্রথম ?
Ans. মার্মাগাঁও ।
150. ভারতে অধিকাংশ লৌহ-আকরিক কোন বন্দর থেকে বিদেশে রপ্তানী করা হয় ?
Ans. মার্মাগাঁও ।
151. ভারতের আমদানী বাণিজ্যে কলিকাতা বন্দরের স্থান কত ?
Ans. দ্বিতীয় ।
152. ‘ডলফিনস নোজ’ নামক অন্তরীপ দ্বারা পরিবেষ্ঠিত বন্দরটির নাম কী ?
Ans. বিশাখাপত্তনম ।
153. ভারতের প্রথম হাইটেক বন্দর কোনটি ?
Ans. নভসেবা ।
154. নভসেবা বন্দরটির নতুন নাম কি ?
Ans. জওহরলাল নেহেরু বন্দর ।
155. ওখা বন্দরটি কোন রাজ্যে অবস্থিত ?
Ans. গুজরাট ।
156. ভারতে প্রথম কাগজ কলটি কোথায় স্থাপিত হয়েছিল ?
Ans. শ্রীরামপুরে ।
157. ভারতের বৃহত্তম টায়ার নির্মান কারখানা ‘ডানলপ ইন্ডিয়া লিমিটেড” কোথায় অবস্থিত ?
Ans. সাহাগঞ্জে ।
158. ছোটনাগপুর মালভূমির উচ্চতম পাহাড় কোনটি ?
Ans. পরেশনাথ ।
159. যাদুগোড়া খনি থেকে কি পাওয়া যায় ?
Ans. ইউরেনিয়াম ।
160. পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ অভ্রবলয় কোনটি ?
Ans. কোডার্মা মালভূমির উত্তরাংশ ।
161. ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ বক্সাইট উৎপাদক অঞ্চল কোনটি ?
Ans. পালামৌর খনি অঞ্চল ।
162. ভারতের বৃহত্তম তাম্র কারখানাটি কোন অঞ্চলে অবস্থিত ?
Ans. মৌভাণ্ডার ।
163. ভারতের সর্ববৃহৎ রাসায়নিক সার তৈরীর কারখানাটি কোথায় অবস্থিত ?
Ans. সিন্ধ্রীতে ।
164. পাত্রাতু–জপেলা শিল্প অঞ্চলটি কোন শিল্পাঞ্চলে অবস্থিত ?
Ans. ছোটনাগপুর শিল্পাঞ্চলে ।
165. দশম জলপ্রপাতটি কোন রাজ্যে অবস্থিত ?
Ans. ঝাড়খন্ড ।
166. প্লাস্টিক শিল্পে ভারতে কোন অঞ্চল প্রথম স্থান অধিকার করে ?
Ans. কৃষ্ণ মৃত্তিকা অঞ্চল(দাক্ষিণাত্য ) ।
167. গিরনার পর্বতের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম কি ?
Ans. গোরক্ষনাথ ।
168. সিন্ধুনদের সিয়োক উপনদীটি কোন হিমবাহ থেকে উৎপত্তি হয়েছে ?
Ans. রিমো ।
169. তিস্তা নদী কোন হিমবাহ থেকে উৎপত্তি হয়েছে ?
Ans. জেমু ।
170. সর্দার সরোবর সেচ প্রকল্প ভারতের কোন রাজ্যে অবস্থিত ?
Ans. গুজরাট ।
171. নল সরোবর কীসের অভয়ারণ্য ?
Ans. পক্ষী অভয়ারণ্য ।
172. ভারতের বৃহত্তম পেট্রোলিয়ায় কমপ্লেক্সটি কোথায় অবস্থিত ?
Ans. বরোদা ।
173. ভারতের বৃহত্তম দুগ্ধ উৎপাদন সংস্থা (আমূল ) গুজরাট রাজ্যের কোন স্থানে অবস্থিত ?
Ans. আনন্দ ও হিম্মত নগর ।
174. ‘অলিফিন কমপ্লেক্স’ কোন শিল্পের জন্য বিখ্যাত ?
Ans. পেট্রোকেমিক্যালশিল্প ।
175. দাক্ষিণাত্যের কৃষ্ণমৃত্তিকা অঞ্চলের প্রধান পর্বতের নাম কী ?
Ans. সহ্যাদ্রি ।
176. ভীমা, কয়লা ও ঘাটপ্রভা কোন নদীর উপনদী ?
Ans. কৃষ্ণা ।
177. প্রবর, মিধকণা, পূর্ণা কোন নদীর উপনদী ?
Ans. গোদাবরী ।
178. ঔষধশিল্পে ভারতে প্রথম কোন অঞ্চলের প্রাধান্য রয়েছে ?
Ans. কৃষ্ণ মৃত্তিকা অঞ্চল ।
179. ভারতীয় উপদ্বীপের উপকূলীয় রেখার দৈর্ঘ্য প্রায় কত কিমি ?
Ans. 7500 কিমি ।
180. জব্বলপুরের কাছে ভোরাঘাট জলপ্রপাতটি কোন নদীর উপর ?
Ans. নর্মদা ।
181. প্রাচীন ভঙ্গিল পর্বত আরাবল্লী বর্তমানে কি পর্বত ?
Ans. ক্ষয়জাত পর্বত ।
182. লাক্ষাদ্বীপের রাজধানীর নাম কি ?
Ans. কাভারাত্তি ।
183. আন্দামানের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম কি ?
Ans. স্যাডল পিক ( 750 মিটার )।
184. ‘ ইয়ার লুং হাং বো ‘ নদী ভারতে কি নামে পরিচিত ?
Ans. বারাণসী ।
185. ভারত ও চীনের মধ্যে সীমা নির্ধারণকারী লাইনটির নাম কি ?
Ans. ম্যাকমোহন লাইন ।
186. ভারতের Rail Factory কোথায় অবস্থিত ?
Ans. ব্যাঙ্গালোর ।
187. নাকো হ্রদ কোথায় অবস্থিত ?
Ans. হিমাচল প্রদেশে ।
188. দুটি ভূমি এলাকার মধ্যে সরু জল প্রণালীকে কি বলা হয় ?
Ans. স্ট্রেইস ।
189. ভারতের সবচেয়ে বড় জাহাজ প্রস্তুতকারী কোম্পানি কোনটি ?
Ans. হিন্দুস্থান শিপইয়ার্ড ।
190. বর্তমানে ‘ মথুরা ‘ কি নামে পরিচিত ?
Ans. ইসলামাবাদ ।
191. ভারতে বিজ্ঞানসম্মত ভাবে জনগণনা কবে করা হয় ?
Ans. 1872 সালে ।
192. 2011 সালের ভারতের জনগণনার শ্লোগান কী ছিল ?
Ans. ‘Our Census, Our Future’ ( আমাদের জনগণনাই আমাদের ভবিষ্যৎ ) ।
193. কোন দেশকে ‘Land of Cakes’ বলা হয় ?
Ans. স্কটল্যান্ড ।
194. বিশ্বে ‘ চিনির ভান্ডার ‘ বলে পরিচিত কোন দেশ ?
Ans. কিউবা ।
195. ‘ পুছমপাড় বাঁধ ‘ কোন নদীর তীরে অবস্থিত ?
Ans. গোদাবরী ।
196. মানব বিকাশের ক্ষেত্রে ভারতের কোন রাজ্য সর্বোচ্চ স্তরে রয়েছে ?
Ans. কেরালা ।
197. ভারতের কোন রাজ্যে বনাঞ্চল সবচেয়ে বেশি ?
Ans. মধ্যপ্রদেশ ।
198. সূর্যের শক্তির উৎস কি ?
Ans. নিউক্লিয়ার ফিউশন ।
199. ‘ আন্তর্জাতিক পর্যটন দিবস ‘ কবে পালিত হয় ?
Ans. 17 ই সেপ্টেম্বর ।
200. স্টিফেন হকিংয়ের উপর তৈরি বায়োপিক কি ?
Ans. দ্য থিয়োরি অফ এভরিথিং (The Theory of Everything)

রহস্যে ঘেরা চরহোগলা জমিদার বাড়ি....

রহস্যে ঘেরা চরহোগলা জমিদার বাড়ি
---------------------------------------------------------------------------
বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ থানার চরহোগলা গ্রামেই এই জমিদার বাড়ি। স্থানিয়দের কাছে 'কালা মিয়া বাড়ি 'নামেই পরিচিত। এই জমিদার বাড়িকে নিয়ে অনেক রহস্যময় কাহিনী জরিয়ে আছে ইতিহাসের পাতায়।তার ভিতর দু একটা কাহিনী লিখলাম।
জমিদার বাড়িটা আনুমানিক দুইশত বছর আগে তৈরি হয়েছিল।প্রধান রাস্তা থেকে জমিদার বারি জেতে রাস্তার বায়ে বিশাল দিঘি,আর রাস্তার অন্যপাসে বিশাল কবরস্থান।এ বাড়ির জমিদার থেকে নিয়ে এই যাবত যতো মানুষ মারাগেছে,সকলকেই শুইয়ে রাখা হয়েছে এই কবরস্থানে।জমিদার বারির কাচারিতে থাকত এক অন্ধ হাফেজ।তাকেও এই কবরস্থানে কবর দেয়া হয়েছে।রাতের বেলায় তার কবরের পাশ দিয়ে যাওয়া আশারর সময় একটা শুঘ্রাণ পাওয়া যায়।যা এখনো বিদ্যামান।জমিদার বারির সামনে মাঝারি একটা মাঠ আর মাঠের পাসেই রয়েছে বাড়িরর মসজিদ। ওই মসজিদে গভির রাতে জিনেরা নামাজ আদায় করতো। যারা আগে তাহাজ্জুদ নামাজ পরতে মসজিদে যেত,তাদের দুএক দিন মিছ গেলে ওই জিনেরা তাদের বাড়িতে এসে মসজিদে যাওয়ার জন্যে আহবান করতো।
জমিদার বাড়িরর ভিতর দিয়েই বাড়ির লোকদের যাওয়া আশার রাস্তা। আনুমানিক পঞ্চাশ বছর আগে থেকে জমিদার বাড়িটি পরিত্যাক্ত অবস্থায় পরে আছে।দিনের বেলায়ি ওই বাড়ির ভিতর যেতে ভয় হয়।ভিতরে চারিপাশ সুধুই অন্ধকার। মনে হয় কে বা কারা যানি ছাদের উপর লাফা লাফি করছে।ছাদে উঠার কোন ব্যাবস্থা কিন্তু নাই।
একদিন গভির রাতে জমিদার বাড়ি থেকে বিকট আওয়াজ আসতে লাগলো। ভয়ে কেউই দেখতে এলোনা।ভোরবেলা এসে দেখতে পেলো ওই জমিদার বাড়ির বাম পাশের ছাধ ধসে পরেছে।এর কারণ আজও সকলের অজানা।
আজো সন্ধ্যা পারহলে জমিদার বাড়ির ভিতর দিয়ে একা একা কেউ যাওয়া আশা করেনা।রাত একটু গোভির হলেই বাড়ির ভিতর থেকে শুনাজায় কান্নাকাটির আওয়াজ।মনে হয় রুমের ভিতর থেকে কারা যেন কান্নাকাটি করছে,আর বলে উঠে আমার জীবন ভিক্ষা দাও এবারের মতন।গোভির রাতে বারির দরজায় কে বা কারা জোরে আঘাত করে তা রহস্যই থেকে গেলো।
প্রতিটি জমিদার বাড়ির মতো এ বাড়িতেও অন্ধ কুপ রয়েছে।যেখানে নাকি মানুষদের হত্যা করে ফেলে রাখা হত।এই কুপের সাথেই সংযোগ রয়েছে বাড়ির উত্তর দিকের একটি খালের।কি আছে ওই কুপের গোভিরে উপরথেকে বুযার উপায় নাই।বিশ বছর আগে পরিক্ষার জন্য তিন চারটে প্রশিক্ষিত কুকুরের গলায় রশি বেধে ওই কুপে নিক্ষেপ করা হয়েছিল।এক রাত পর রশি ঠিকি পাওয়াগেলো, কিন্তু কুকুরদের নয়।তবে উওর দিকের খাল দিয়ে সপ্তাহ খানেক পর কুকুরগুলকে ম্রিত অবস্থায় ভাস্তে দেখা যায়।কুপটির মুখ পরে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।যারা বন্ধ করেছিল তাদের নাকি প্রাই স্বপ্নযোগে কে বা কারা বলত মুখ খুলেদে,নইলে তোকে ছাড়বোনা।
জমিদার বাড়ির পিছনেও একটা দিঘি আছে।ওই দিঘিতে এযাবৎ অনেক মানুষ প্রান হারিয়েছে।এখনো রাতের বেলায় ওই পুকুর থেকে এখনো কারো সাতার কাটার আওয়াজ ভেসে আসে।আমাবস্যার রাতে আওয়াজ আরো বেড়ে যায়।
চাদের আলোতে দেখা মিলে ওই পুকুরে ভাসছে জমিদারদের ব্যাবহারিত নানান জিনিশ। ভোর হতেই তা আবার উধাও হয়ে যায়।আজও কেউ ওগুল ছুইবার সাহস পায়নি।
বছর কয়েক আগে সাপের ভয়ে দিশেহারা হয়ে সাপুড়েদের আনা হল।সাপুড়েরা তিন দিন ওই যাগায় থেকে আবার চলে গেলো। যাওয়ার সময় বলে গেল এই জমিদার বাড়ির ভিতরে ও নিচে অনেক জিনসাপ রয়েছে।ওদের ধরা ঠিক হবেনা।যোদি ধরি তবে,আমাদের তো ক্ষতি হবেই আর এই বাড়িতেও কেউই থাকতে পারবেনা।
সব মিলিয় জমিদার বাড়ির রহস্য আজও উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি কারো পক্ষেই।
.
.
.
.
.
.
.
.
এত সময় ধরে যে রাজবাড়ি টিকে নিয়ে আলোচনা করছিলাম সেই আলোচিত বাড়ি টি আমার পুর্ব পুরুষের ভিটেমাটি।
স্থানিয় ও মুরুবিয়ান দের মতে এই বাড়ি কর্তা হতে বহুমানুষ নির্জ্জাতিত এর ফলে এই রাজবাড়ী টি আজ অভীসপ্ত।
----------------------------------সমাপ্ত--------------------------------
লেখক: নাজিম নোহাস।

শুক্রবার, ১৭ মার্চ, ২০১৭

[ভালোবাসা ঠিক, যতটা সত্যি, বাস্তবতাটা তার চাইতেও অনেক বেশী সত্যি!

প্রেমিকা জিজ্ঞেস করলো-
আচ্ছা অন্য কারো সাথে আমার বিয়ে হয়ে গেলে কি
করবে ?
-ভুলে যাবো, ছেলেটা উত্তর দিলো।
.
ছেলেটার উত্তর শুনে মেয়েটি রাগে অন্যদিকে মুখ
ঘোরালো।
.
ছেলেটি আবার বলল...
- তুমিও আমাকে ভুলে যাবে, সবচেয়ে বড় কথা l
আমি যত দ্রুত তোমাকে ভুলে যাবো, তার চেয়েও
বেশি দ্রুত তুমি আমাকে ভুলে যাবে।
: কিরকম? প্রেমিকা প্রশ্ন করলো।
.
ছেলেটি বলতে শুরু করল...
.
"মনে করো বিয়ের প্রথম তিনদিন তুমি একধরনের ঘোরের
মধ্যে থাকবে । শরীরে গয়নার ভার, মুখে মেকআপ
এর প্রলেপ, চারেদিক থেকে ক্যামেরার ফ্লাশ,
মানুষের ভিড়, তুমি চাইলেও তখন আমার কথা মনে
করতে পারবে না।
.
'আর আমি তখন তোমার বিয়ের খবর পেয়ে হয়ত কোন
বন্ধুর সাথে উল্টাপাল্টা কিছু খেয়ে পরে থাকবো l
আর একটু পর পর তোমাকে হৃদয়হীনা বলে
গালাগালদিব, আবার পরক্ষনেই পুরাতন স্মৃতির
কথা মনে করে বন্ধুকে জড়িয়ে ধরে কাঁদবো।"
.
"বিয়ের পরের দিন তোমার আরো ব্যস্ত সময় কাটবে।
স্বামী আর মিস্টির প্যাকেট, এই দুটো হাতে নিয়ে
তুমি বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনের বাসায় ঘুরে
বেড়াবে।"
.
আমার কথা তখন তোমার হঠাৎ হঠাৎ মনে হবে।
.
এই যেমন স্বামীর হাত ধরার সময়, এক সাথে
রিকসায় চড়ার সময়।
.
'আর আমি তখন ছন্নছাড়া হয়ে ঘুরে বেড়াব, আর
বন্ধুদের বলবো বুঝলি দোস্ত, জীবনে
প্রেম ভালোবাসা কিছুই নাই, সবধোয়া, সব বুংগা,
বুংগা।"
.
পরের একমাসে তুমি হানিমুনে যাবে, নতুন বাসা
পাবে, শপিং, ম্যাচিং, শত প্লান, আর স্বামীর
সাথে হালকা মিষ্টি ঝগড়া।
.
তখন তুমি বিরাট সুখে, হঠাৎ আমার কথা মনে হলে
ভাববে, আমার সাথে বিয়ে না হয়ে বোধহয় ভালোই
হয়েছে।
.
'আমি ততদিনে বাপ, মা, বন্ধু কিংবা বড় ভাইয়ের
ঝাড়ি খেয়ে মোটামোটি সোজা হয়ে গিয়েছি।'
.
ঠিক করেছি কিছু একটা কাজ পেতে হবে, তোমার
চেয়ে একটা সুন্দরী মেয়ে
বিয়ে করে তোমাকে দেখিয়ে দিতে হবে।
.
সবাইকে বলবো, তোমাকে ভুলে গেছি...
কিন্তু তখনও মাঝরাতে তোমার এসএমএস গুলো বের
করে পরবো আর দীর্ঘশ্বাস ছাড়বো।
.
"পরের দুই বছর পর, তুমি আর কোন প্রেমিকা কিংবা
নতুন বউ নেই। মা হয়ে গিয়েছো, পুরাতন প্রেমিকের
স্মৃতি, স্বামীর আহ্লাদ, এসবের চেয়েও বাচ্চার
ডায়াপার, হামেরটিকা এসব নিয়ে বেশি চিন্তিত।
.
অর্থাৎ তখন আমি তোমার জীবন থেকে মোটামুটি
পারমানেন্টলি ডিলিট হয়ে যাবো।
.
'এদিকে আমিও একটা কাজ পেয়েছি...
বিয়ের কথা চলছে। মেয়েও পছন্দ হয়েছে। আমি এখন
ভীষণ ব্যাস্ত। এবার সত্যিই আমি তোমাকে ভুলে
গিয়েছি। শুধু রাস্তা ঘাটে কোন কাপল দেখলে
তোমার কথা মনে পড়বে । কিন্তু তখন আর
দীর্ঘশ্বাসও আসবে না . . .
-
-
এতদূর পর্যন্ত বলার পর ছেলেটি দেখল প্রেমিকা
ছলছল চোখ নিয়ে ছেলেটির দিকে তাকিয়ে আছে।
.
মুখে কোন কথা নেই। ছেলেটি ও চুপচাপ।
একটু পর প্রেমিকা বললো,
"তবে কি সেখানেই সব শেষ??
-ছেলেটি বলল, "না।
.
কোন এক মন খারাপের রাতে তোমার স্বামী
নাক ডেকে ঘুমুবে। আমার বউও ব্যস্ত থাকবে
নিজের ঘুমরাজ্যে। শুধু তোমার আর আমার চোখে ঘুম
থাকবেনা, সেদিন অতীত আমাদের দু'জনকে
নিঃশব্দে কাঁদাবে। সৃষ্টিকর্তা ব্যাতিত যে
কান্নার কথা কেউ জানবেনা, কেউ না।
.
[ভালোবাসা ঠিক, যতটা সত্যি, বাস্তবতাটা
তার চাইতেও অনেক বেশী সত্যি!

বিয়ে করে নাও,,..........

মেয়ে: আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে, বিয়ের জন্যপরিবার থেকে জোর করছে, ছেলে ভাল একটা চাকরি করে
১ লাক্ষ টাকা বেতন,,....
ছেলে: বিয়ে করে নাও,,
আমি চাই তুমি ভাল থাকো। মেয়েটা ছেলেটাকে হঠাৎ জোরিয়ে ধরে
ছেলেটাকে কিছু না বলেই চলে গেল। ২ দিন পর মেয়েটার ছোট বোন এসে একটা চিঠি দিয়ে গেল,,
যাতে লেখা ছিলো....
খুব সহজে বলে দিলে বিয়ে করে নিতে
একটিবার ভাবলে না
আমার সব , চাওয়া শুধু তোমাকে ঘীরে,,, আমাকে সুখী দেখতে চাও
আর আমার সুখটা কি তা জানো না। চাইলেই পারতাম বিয়েটা করতে কিন্তু বিয়েটা হয়তো টাকা কে করা হতো,,
তোমাকে এতো ভালবেসেছি যে আমার জীবনে আর ভালবাসা নেই যা দিয়ে আবার নতুন করে শুরুকরবো,, যদি একটি বার বলতে যে
আমাকে ছাড়া বাচঁতে পারবে না তাহলে সব ঝড়কে পারকরে বেচেঁ থাকতাম
কিন্তু কার জন্য বেচেঁ থাকবো তাই চলে গেলাম।
চিঠি টা পড়ে ছেলেটা চিৎকার করে কাদঁতে
শুরুকরে,
হঠাৎ ছেলেটার মোবাইলটা বেজে উঠলো,,
ছেলে: হ্যাঁলো,,
মেয়ে: কান্না থামলে বাইরে আসো আমি দাড়িয়ে
আছি,,
কি করবো আমি তোমাকে ছাড়া মরে গিয়েও থাকতে পারবো না তাই মরতে
পারিনি,,
সেই দিন তুমি অভিনয় করেছো আজ আমি করলাম,
ছেলেটা এসে মেয়েটা কে জড়িয়ে ধরে বললো
আমি ও যে পারবো না তোমাকে ছাড়া বাঁচতে.......c

শুক্রবার, ৩ মার্চ, ২০১৭

পাগল হয়ে গেছো সাবধানে চলতে পারো না এতটা বেখালি কেনো তুমি

পাগল হয়ে গেছো সাবধানে চলতে পারো না এতটা
বেখালি কেনো তুমি(খুব রাগি গলায় বললাম)
:-সরি(ফোঁপানির শব্দ)
:-কান্না বন্ধ আমি একদম পছন্দ করি না কান্না (ধমক দিয়ে)
:- (একদম চুপ হয়ে আছে)
ওকে নিয়ে বাসায় চলে আসলাম । একটু আগে যাকে
বকছিলাম সে আমার বৌ ওর নাম নীলা আমাদের বিয়ে
হয়েছে দুই বছর তাও ওর বাচ্চামো গুলো গেলো না ।
সত্যি বলতে ওর এই বাচ্চামো স্বভাব গুলোই আমার
অনেক ভালোলাগে আর ওকে এজন্য অনেক বেশী
ভালোবাসি কিন্তু কখনো প্রকাশ করি নি ।
অফিস থেকে বাসায় ফিরে মেডাম কে (আমার বৌ) বললাম
:- চলো আজ তোমাকে নিয়ে সারা শহর ঘুরবো
:-সত্যি (মুখে অনেক হাসির ছাপ)
:-হুম সত্যি তুমি তারাতারি গুছিয়ে নেও
:-ওকে
ও এততাই খুশি হয়েছে যে বাচ্চা রা চকলেট পেলে
যেমন টা আনন্দ পাই ঠিক তেমন লাগছে ওকে মেডাম
কে দামি একটা রেস্টুরেন্টে নিয়ে ঢুকতেছিলাম মেডাম
আমার হাত ধরে বাইরে নিয়ে গিয়ে বলে যে
:- আমি ফুচকা খাবো (নীলা)
:-হ্যা খাওয়ার জন্যই তো এখানে নিয়ে আসলাম
:- না এখানে না রাস্তার পাশে দাড়িয়ে ফুচকা খাবো
:-যদি আমি রাস্তার পাশে গিয়ে ফুচকা না খাইতাহলে কি করবা
:- (একদম চুপ মুখ দেখে মনে হচ্ছে খুব রাগ করবে
ওখানে না গেলে)
:- আচ্ছা চলো
:- সত্যি ( ওনেক টা লাফিয়ে বললো)
ও একটা ফুচকা খাচ্ছে আর আমাকে একটা করে গালে
তুলে দিচ্ছে ফুচকা খাওয়া শেষ হলে রাস্তার ঐ পাশে
আইসক্রিম এর দোকান দেখে বলে আমি আইসক্রিম
খাবো বলেই দৌড় আমি দৌড়ে গিয়ে ওকে ধরলাম আর একটু
দেরি হলে ট্রাক এর তলাই
আর তারপর উপরের কথা গুলো বললাম
:-তোমার চা (একদম শান্ত গলাই)
:-ওখানে রেখে দেও(আমি এখনো রেগে আছি)
:- আমি সরি মাফ করে দেও পিলিজ
আমি কোন কথা বললাম না)
ল্যাপটপ টা নিয়ে বসে আছি বাইরে থেকে দেখলে যে
কেও বলবে আমি কাজে ব্যাস্ত কিন্তু আমি একবার এই
ফোল্ডার আর একবার ঐ ফোল্ডার ওপেন করছি আর
মনের ভিতর একটা ভয় কাজ করছে যে আমি ওকে আজ
হারিয়ে ফেলতাম ওকে হারিয়ে ফেললে কি নিয়ে
বেচে থাকতাম এসব ভাবছি
:- এই শীত এ তোমার মাথা ঘামছে কেনো(নীলা)
:-.........
:-কি হলো কথা বলো (আমার হাত ধরে টান মেরে)
:-কিছু না এমনি
:-তুমি কি এখনো রাগ করে আছেন
:-............(কোন কথা না বলে বাসার বাইরে চলে আসলাম)
দোকানে গিয়ে একগাদা আইসক্রিম আর চকলেট নিলাম ওর
জন্য নিয়ে বাসায় আসলাম কলিং বেল বাজাতেই দরজা খুলে
দিলো
:-তুমি পিলিজ এমন করো না পিলিজ আমি আর কখনো এমন
ভাবে চলবো না আর কখনো এমন করবো না আর
কখনো আইসক্রিম খেতে চাইবো না পিলিজ কথা বলো
মাফ করে দেও পিলিজ( আমাকে জরিয়ে ধরে কাঁদতে
কাঁদতে কথা গুলো বললো)
:- আইসক্রিম (আমি)
:- আর কখনো খেতে চাইবো না ( কাদো কাদো গলায়)
:- ব্যাগ টা ওর হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললাম যে ওকে হয়ছে
আর কাদতে হবে না আমার খুব খুদা লাগছে বলে ওয়াশ
রুমে গেলাম
কিছু সময় পর.....
:- একি তুমি একটু আগে না বললে আইসক্রিম খাবে না আর
কোন দিন(আমি)
:-ওটাতো কষ্ট হচ্ছিলো তাই বলেছিলাম
:- তাই
:- হুম । তুমি খাবে আমি তোমাকে দুইটা আইসক্রিম দিতে রাজি
আছি
:- মাত্র দুইটা
:- হ্যা
:- থাক লাগবে না তুমি খাও
:- না সব দিবো আসো
এই মেয়ের এতো বাচ্চামো কেনো আমাকে কিনা
বলে দুইটার বেশি দিবে না
রাত দুইটা বাজে মেডাম এখনো ঘুমাই নি
:- আচ্ছা তুমি তখন আমাকে ওভাবে বকলে কেনো
:- তুমি ওভাবে না দেখে রাস্তা পার হচ্ছিলে কেনো
তোমার যদি কিছু হয়ে যেতো
:- আমাকে অনেক ভালোবাসো তাই না
:- না তোমাকে ভালোবাসতে যাবো কেনো বলো
:- তাহলে কাকে ভালোবাসো
:-আমার বৌ কে
:- তাহলে আমি কে
:- আমার বৌ
:-তুমি না খুব পাজি বর আমার বকার সময় তো খুব বকো আবার
ঢং পারো খুব পচা তুমি
:- হয়ছে এবার চলেন ঘুমাই
:- আচ্ছা তবে তোমার বুকে মাথা রেখে ঘুমাবো
:-ওকে
মেডাম আমার বুকে মাথা রেখে ঘুমায়ছে আর আমি ওর
মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে কখন যে ঘুমিয়ে গেছি জানি না
সকাল বেলা উঠে নাস্তা করে অফিস এ গেলাম পৌছাতে না
পৌছাতো মেডাম এর ফোন
:- এই তুমি পৌঁছেছো
:- হ্য
:-ওকে আমাকে একঘন্টা অন্তর অন্তর ফোন করবা
:- আচ্ছা মেডাম
আসলে বাসায় সুন্দরী পাগলি একটা বৌ থাকলে অফিস করতে
কোন বর এরই ভালো লাগে না অফিস ছুটি নিলাম কিছু দিনের
জন্য মেডাম কে নিয়ে দুরে কোথাও বেড়িয়ে
আসবো
বাসায় ফিরে টেবিলে টিকিট গুলো রেখে সোজা
ওয়াশরুমে গেলাম
:-এই শুনছো আমি কি শাড়ি পরবো না সালোয়ার
( তারমানে মেডাম এর হাতে টিকিট পৌছে গেছে)
:- কেনো বলো তো
:- আমার বর টা না একটা আস্তো পাজি
:- কে বলেছে তোমাকে
:- আমি বললাম
ওয়াশ রুম হতে বের হতেই মেডাম ছুটে এসে আমাকে
জড়িয়ে ধরেছে
:- তুমি এতো ভালো বর কেনো(নীলা আমার বৌ)
:- তাহলে কি খারাপ বর হলে ভালো হতো
:-আমাকে এতো ভালোবাসো কেনো তুমি সবসময় এত
খুশি করে রাখো কেনো
:-আমার পাগলি বৌ টা কি খুব খুশি হয়ছে
:- হুম
:- তাহলে আমার গিফট দেও(গালে আঙ্গুল দেখিয়ে)
:-ভালো দুষ্টু আছো
:-হুম তোমার বর
আমার ঠোটে একটা পাপ্পি দিয়ে মেডাম গুছাতে চলে
গেলেন
:- এই শুনো নীল শাড়ি পরো আর কপালে নীল টিপ পরবা
:-ওকে স্যার
কখন থেকে মেডাম সাজুগুজু করতেছে উফ
মেয়েদের এই একটাই প্রবলেম
:-এই তোমার হলো
:-হুুম আসছি
:-একি এ তো একদম নীল পরি আমার বাসা থেকে বের
হচ্ছে কেনো
:- হয়ছে আর পাম মারতে হবে না চলো এবার
ওকে নিয়ে সিলেট এর উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। বাস
চলছে এখন রাত ১১ টা বাজে মেডাম এতসময় বকবক
করছিলো এখন আমার কাধে মাথা দিয়ে ঘুমাচ্ছে ওর মুখে
এত মায়া ফুটে উঠেছে যেনো নতুন করে প্রেমে
পড়ে যাচ্ছি বার বা

ছেলেটি মেয়েটাকে অনেক ভালোবসতো কিন্তু কোনদিন বলার সাহস পায়নাই...

ছেলেটি মেয়েটাকে অনেক ভালোবসতো কিন্তু কোনদিন বলার সাহস পায়নাই... কারন মেয়েটি আগ বাড়িয়ে ছেলেটিকে বলতো আমার বয় ফ্রেন্ড আছে বা তার বয় ফ্রেন্ড সম্পর্কে অনেক কথাই বলতো। একদিন মেয়েটি ছেলেটিকে ডাক দিয়ে বলল -- -মেয়ে : দোস্ত কালকে তো ভ্যালেন্টাইনস ডে কালকের জন্য কি প্লান করছিসস? -ছেলে : হ্যা অবশ্যই, কালকে ঘুমের বড়ি খেয়ে সারাদিন ঘুমাবো...
-মেয়ে : ঘুমাতে হবে না কালকে, আমার বয় ফ্রেন্ডের সাথে তোকে পরিচয় করিয়ে দিব.. কালকে তোর অনেক কাজ আছে। -ছেলে : দোস্ত আমি কালকে বের হতে পারবোনা sry...
-মেয়ে: তুই না বের হলে আমিও বের হবো না..। আর আমি কালকে বের না হলে আমার বয় ফেন্ডের সাথে ব্রেকআপও হয়ে যেতে পারে.. তুই কি চাস আমার ব্রেকআপ হোক.? -ছেলে : না তা চাইবো কেন? আচ্ছা যা যাব. তবে একটা শর্তে..
-মেয়ে :কি শর্ত?
-ছেলে :তোরা যখন ঘুরবি তোদের সাথে আমি যেতে পারবোনা..
-মেয়ে :ওকে..ওকে সমস্যা নানা। তবে প্লিজ ঐ ললা পাঞ্জাবিটা পড়িস কিন্তু... আচ্ছা আমি আসি...
-ছেলে :আচ্ছা যা..
ছেলেটা অনেক দ্বিধার মধ্যে পড়ে গেল, যাবে নাকি যাবেনা ,মেয়েটার কথা ভাবলে যেতে মন চায়.. কারণ মেয়টাকে তো অনেক ভালোবাসে আবার মেয়েটার প্রতি ভালোসার কথা চিন্তা করলে মন চায় না যেতে. এগুলা ভাবতে ভাবতে অনেক একটা বড় রাত পার করে ছেলেটা... পরের দিন মেয়েটার সাথে দেখা করার জন্য যায় ছেলেটা..
যাওয়ার পর মেয়েটা বলে.. -মেয়ে : তোর আসার কথা কখন? -ছেলে : ওহ্!! ত্রিশ মিনিট আগে চলে আসছি? তাছাড়া তুই এত আগে আসলি কেন? -মেয়ে : আমি জানি তুই আগে আসবি.. আর আমারে না দেখে তুই যদি চলে যাস তাই আগে আসলাম.. -ছেলে : আচ্ছা বাদ দে.. তোর বয় ফ্রেন্ড কই ওরে ডাক দে ..আমার যেতে হবে কাজ আছে... -মেয়ে :ও ওই দিকে গেছে আসতেছে... তুই কালো T- shirt পড়ে আসছিস কেন? লাল পাঞ্জাবি পড়সনাই কেন???
-ছেলে :মন চায় নাই তাই পড়ি নাই.. আচ্ছা তোর হাতে এটা কি??
-মেয়ে :গিফ্ট..
-ছেলে :বয় ফেন্ড দিছে??? -মেয়ে :আরে না আমি বয় ফ্রেন্ডরে দিব। -ছেলে :মানে কি..!! তোর বয় ফেন্ড তোরে কিছু দেয় নাই ??
-মেয়ে :আসলে ও একটা হাদারাম, বোকা, ও এত কিছু বুঝে না... তবে এই গিফ্ট টা ওরে দিলে.. সে আমাকে অনেক বড়ো একটা গিফ্ট দিবে সেটা কি জানিস?? -ছেলে :কি?
-মেয়ে :"পাগলের মত ভালোবাসা"... -ছেলে :আচ্ছা দেখিতো এটাতে কি এমন আছে.. -মেয়ে :এখন না এখন না।
-ছেলে: আরে দেখিতো,
-মেয়ে: দেখবি? তবে আমার একটা শর্ত আছে। -ছেলে :কি শর্ত?
-মেয়ে:আমি চোখটা বন্ধ করার পরে খুলবি... -ছেলে: বুঝলাম না। এতে চোখ বন্ধ করার কি আছে? -মেয়ে: আমি যেটা বলতেছি সেটা কর. ছেলেটা একটু ঠাট্রাছলে প্যাকেটটা খুলতেছে, খুলেই
ছেলেটা খুবই অভাক,
কারণ তিনটা ম্যাজিক্যাল ওয়ার্ড এর পাশে নিজের নামটা দেখে... মেয়েটা কিন্তু ঐ সময় চোখটা বন্ধ করে বড় বড় নিঃশ্বাস নিচ্ছিল.. ছেলেটা কিছুক্ষণ মেয়েটার মুখটার দিকে তাকিয়ে মেয়েটার ঘালে থাপ্পর দিয়ে বলে ->
.-ছেলে : আগে বললে একটা গোলাপ ও তো নিয়ে আসতাম...
-মেয়ে : আমার কিছু লাগবেনা -ছেলে : আরেকটা থাপ্পর দিয়ে বলে আমার ভালোবাসাটা কে নিবে



By RJ Nazim Nuhas

দুষ্টু মিষ্টি প্রেমের গল্প- পর্ব-2

এই যে। আপনি কিন্তু আমাকে আমার অনুমতি ছাড়া টাচ করবেন না। : মানে, কি বুঝলাম না।
: বুঝতে হবে না। আপনি আমাকে টাচ করবেন না। করলে কিন্তু আমি কান্না করবো।
: ওকে। তাও কান্না করতে হবে না। এখন একটু সরে বসেন, আমি ঘুমাবো। এভাবে বিছানার মাঝখানে বসে থাকলে আমি ঘুমাবো কি ভাবে।
.
: শোনেন আমি আপনার ৫ বছরের ছোট। তাই আমাকে আপনি বলবেন না। আমাকে আপনি তুমি করে বলবেন। আর আমি আপনাকে আপনি করে বলবো।
: কেনো এমনটা হবে। হয় দুজনে তুমি বলবো না হয় আপনি।
: দেখুন কথা না শুনলে কিন্তু কান্না করবো।
: কি আজব,,,, কথায় কথায় কাদতে হবে নাকি।
: না। আগে বলেন রাজি কিনা।
: ওকে, রাজি। তুমি ঘুমাবে না। .
: শোনেন আজ রাতে আমি আপনি কেউ ঘুমাবো না।
: কেনো।
: আমি না সারা জীবন কোন প্রেম করিনি। সব সময় ভেবেছি, যাকে বিয়ে করবো, তার সাথেই প্রেম করবো। আর যত দিন তাকে ভালবাসতে পারবো না তত দিন তাকে টাস করতে দিব না। : ওহহ আচ্ছা। এর সাথে না ঘুমানোর কি কারণ বুঝলাম না।
: আপনি আজ ঘুমাবেন না। আজ সারা রাত আপনার সাথে গল্প করবো।
: কি গল্প।
.
: আমার বরকে নিয়ে আমি যত স্বপ্ন দেখছি,,,, সেই গল্প।
: এমা,,,,, আমি না আজ খুব ক্লান্ত। কাল গল্প করি।
: না,,,,, আজকেই। আপনি ঘুমালে কিন্তু আপনার গায়ে পানি ঢেলে দিবো। : কয় কি (এই শীতের রাতে) । না থাক তার চেয়ে বরং গল্প করি। বলো কি বলবে।
: আপনি তো আচ্ছা বরিং মানুষ। কথা বলতেও পারেন না ঠিক ভাবে। আমার নাম জিজ্ঞেস করেন।
.
: ওহহ আচ্ছা তোমার নামতো রাইসা, তাই না।
: আরে ধুর এভাবে কি কেউ জিজ্ঞেস করে।
: তাহলে কি ভাবে জিজ্ঞেস করে। : বলবেন,,,, "তোমার নাম কি। "
: কিন্তু আমি তো তোমার নাম জানি। : ইহহহহ,,,,, আপনাকে কিন্তু । যা বলতে বলছি তাই বলেন।
: ওকে,,,, তোমার নাম কি?
: আমি রাইসা।
: কিসে পড়ো?
: অনার্স ২য় বর্ষ।
: আর কি?
: ধুর ছাই,,,, কি বরিং মানুষ আপনি। : আবার কি করলাম।
: ওকে আপনার প্রশ্ন করতে হবে না। আমি নিজে থেকেই বলছি।
.
.
: যানেন আমার সব ফ্রেন্ড রা রিলেশন করতো। কিন্তু আমি করতাম না। : কেনো।
: কারণ আমি আমার বরের দুষ্ট মিষ্টি বউ হতে চাইছি সব সময়।
: কি রকম।
: আমি সব সময় চাইছি,,,, আমার সব ভালোবাসা আমি আমার বরকে দিবো। আর ওকে খুব জ্বালাবো। : কি রকম?
: জানেন আমার চাহিদা গুলো খুব সামান্য। আমার বাড়ি, গাড়ি, ভালো পোশাক, দামি ফার্নিচার কিছুই চাইনা।
.
: তাহলে কি চাই।
: রোজ সকালে আপনি যখন অফিসে যাবেন, তখন আমার কপালে একটা চুমু দিবেন।
: আর।
: দুপুরে খাবার আগে যেখানেই থাকেন, আমাকে একটা কল দিবেন। না হলে আমি না খেয়েই থাকবো।
: ওকে দিবো। আর।
: অফিস থেকে ফেরার সময় আমার জন্য, চকলেট, আইসক্রিম, ফুসকা, কিছু না কিছু আনতে হবে।
: আর।
.
: যদি কখনো ভুলে যান তবে আবার বাইরে পাঠাই দিবো।
: ওকে আনবো। আর।
: ভালবাসা দিবস, মেরেজ ডে, সহ সব ভালো ভালো দিনে আমায় নতুন করে প্রপোজ করতে হবে। কিন্তু কোন ফুল দেওয়া যাবে না।
: এটা কেমন কথা।
: জী এমনি কথা।
: আর।
: আমার কুয়াশা, চাদনী রাত, ঠান্ডা খুব ভালো লাগে। তাই মাঝে মাঝে ঘুরতে নিয়ে যেতে হবে। ব্যস্ত থাকলে বলবো না।
: ওকে।
.
: মাঝে মাঝে চাদনী রাতে, বেল কোনিতে বসে এক কাপে দুজন কফি খাবো।
: এক কাপে কেন?
: হুম এক কাপেই খাবো।
: ওকে, আর
: মাঝে মাঝে বৃষ্টির রাতে ছাদে গিয়ে দুজন ভিজবো। আর তুমি কদম ফুল দিয়ে আমায় প্রপোজ করবে।
: এই শহরে কদম ফুল কই পাবো।
: আমি জানি না। আর রাগ করলেও কদম ফুল দিয়ে রাগ ভাঙ্গাতে হবে। : এটাতো রিতিমত টর্চার। সারা বছর কদম ফুল কই পাবো।
: আমি জানি না।
: আচ্ছা অন্য ফুলের কথা বলো। : না। কদম ফুল না দিতে পারলে আমায় কোলে নিতে হবে। যতখন মন ভালো হয়নি ততখন কোলে নিয়ে থাকতে হবে। : এই ৪৮ কেজির বস্তা কোলে নিলে আমি বাচবো।
.
: আমি জানি না। কদিন পর আরো মোটা হবো। তবুও কোলে নিতে হবে। : বলেকি। প্রথমের গুলাইতো ভালো ছিল।
: সব গুলাই ভালো, কোলে নিবে কিনা বলেন।
: ওকে বাবা নিবো।
.
.
.
: শোনেন।
: হুম বলো।
: আপনার এই বোকা বোকা চশমাটা একটু খুলবেন।
: কেনো।
: আপনাকে দেখবো। এত মোটা ফ্রেমের চশমা পড়েন, এখনো ভালো করে আপনাকে দেখি নাই।
: আচ্ছা আমি ঘুমাবো,,,, কাল কথা হবে গুড নাইট।
.
.
: এই যে শোনেন এখানে তো একটা বালিশ, আমি কোথায় ঘুমাবো।
: আমার বুকের উপর।
: মানে?
: তোমার যেমন আমাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন। ঠিক তেমন তোমাকে নিয়ে আমার একটা স্বপ্ন। আমার বউ সব সময় আমার বুকে মাথা দিয়ে ঘুমাবে। সারদিন যত রাগ ঝগড়াই হোক , রাতের বেলা যেন কেউ কখনো অন্যজনকে ছাড়া না ঘুমাতে পারে.......



 rj nazim nuhas..