শনিবার, ১২ মার্চ, ২০২২

"আমি সবসময় ভাল থাকি" বলা মানুষগুলো ভেতর থেকে আসলে ভাল নেই!......

যে মানুষটা তোমার মন খারাপের সময় মন ভাল করার আপ্রান চেষ্টা করে,তোমার হতাশার সময় কাঁধে হাত রেখে ভরসা দেয়, ভীষন অসহায়তায় তোমাকে অনুপ্রেরনা দেয়, কষ্ট হলে আশা দেখায়, অসুস্থ হলে ডাক্তার এর মতো কেয়ার নেয়,প্রয়োজন-অপ্রয়োজনে শাসন করে। তুমি কি জানো?? এই মানুষটার ও মাঝে মাঝে মন খারাপ থাকে,এই মানুষটাও হতাশায় ভুগে, অসহায়তায় তোমার অনুপ্রেরনার অপেক্ষা করে,কষ্ট হয় , অসুস্থতায় একা একা বিছানায় কুকরে থাকে,কেয়ার চায়,শাসন চায় সর্বোপরি ভালোবাসা চায়!!! হয়তো তুমি এসব নিয়ে ভাবোই না। তোমার কি দোষ বলো,পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষই ভাবে না। সবাই নিজে ভাল থাকতে চায়, সবাই মানুষের এটেনশন চায়,অবচেতন মন সব সময় চাইতে থাকে কেউ একজন ভীষন রকমের কেয়ার করুক,শাসন করুক,ভালোবাসুক, রাত দিন পেছনে ঘুরঘুর করুক। পৃথিবীটা খুব নিষ্ঠুর!!!! তুমি যাকে রাত দিন আগলে রাখবে সে দেখা যাবে তোমাকে তেমন পাত্তাই দিবেনা। দিন শেষে তুমি একা হবা,ভীষন রকমের একা। দুজন মানুষ একসাথে কোনো একটা সম্পর্কে থাকলেও সেখানে একজন কেয়ার নেয় আর একজন কেয়ার পায়, কেয়ার নেয়া মানুষগুলো দিন শেষে খুব একা হয়,বিশ্রী রকমের একাকীত্ব জাপটে ধরে,বেলা শেষে এই কেয়ার নেওয়া মানুষগুলোর কেয়ার নেয়ার কোন মানুষ থাকে না। ভাল আছি বললেই যে সবাই ভাল থাকে না,এই ব্যাপারটা বুঝার ক্ষমতা খুব কম মানুষের আছে। কি সাংঘাতিক একটা ব্যাপার, কেমন আছিস জিজ্ঞেস করলে সারাদিন মুখস্ত নামতার মতো "আমি সবসময় ভাল থাকি" বলা মানুষগুলো ভেতর থেকে আসলে ভাল নেই!!! আমরা সঠিক সময়ে কারো আগলে রাখাকে বুঝতে পারিনা,সঠিক সময়ে কেয়ারকে কেয়ার করিনা,তাদের ভালোবাসাগুলাও বুঝিনা আর যখন আমরা বুঝতে পারি তখন অনেক দেরি হয়ে যায়।ততোদিনে হয়ত সেই আগলে রাখার মানুষ্টি হাল ছেড়ে দেয়,আশা ছেড়ে দেয়,নিজেকে বদলে ফেলে,কেয়ার করা ছেড়ে দেয়!!! তখন আমরা তাদের আগের মতো ফিরে পাওয়ার জন্য গিরগিয়াইতে থাকি,কষ্টে কাঁদতে থাকি,যত প্রকার দোয়া জানা অজানা থাকে সব করা শুরু করি,একটাবার আগের সবকিছু ঠিক করার সুযোগ খুঁজতে থাকি, মানুষটাকে আগের মত ফিরানোর চেষ্টা করি কিন্তু সম্ভব কি হয় সেই মানুষটাকে আবার আগের মত ফিরে পাওয়া????? কষ্ট পাওয়া মানুষটা,অবহেলা পাওয়া মানুষটা কি আমাদের পরিবর্তন দেখে/না দেখে আবার ফিরতে চায় আমাদের কাছে?হয়ত চায়......হয়ত চায়না!! উত্তর জানা নেই.....................

মাঝেমাঝে অবাক হই খুবই অবাক হই,বিরক্ত ও হই তবুও ভালোবেসে যাই,আরো বেশি ভালোবেসে যাই...

সে তখনি আপনাকে অনুভব করা শুরু করবে যখন সে আপনার জায়গায় আর কাউকে বসাতে পারবেনা।কাউকে না মানে কাউকে না!! আসলে কারো জায়গা অন্য কাউকে দেয়া এতোটাও সহজ না যতোটা সহজ আমরা ভাবি যদি যদি....যদি সত্যিই আমরা সেই মানুষটাকে সত্যিকার অর্থে ভালোবাইসা থাকি....দূরে থাকতে থাকতে মানুষের মাঝে গ্যাপ সৃষ্টি হয়,আমরা সেটাকে দূরত্ব বলি কিন্তু মন?মনের মাঝখানে তো কোন গ্যাপ বা দূরত্ব সৃষ্টি হয়না,মন সেই আগের মতোই ভালোবাসতে থাকে বরং আগের মতো বললে ভুল হবে আগের থেকেও বেশি এবং অধিক যত্নের সাথে ভালোবাসতে ব্যস্ত থাকে মন। দূরত্ব মানুষের মধ্যে হইতে পারে কিন্তু যারা মন থেকে একত্রিত থাকে তাদের মধ্যে কখনো দূরত্ব আসতে পারেনা আর আসলেও সেটা সাময়িক, স্থায়ী নয়!!!! মাঝেমাঝে অবাক হই খুবই অবাক হই,বিরক্ত ও হই তবুও ভালোবেসে যাই,আরো বেশি ভালোবেসে যাই....

পৃথিবী বদলানোর আগে, নিজেকে বদলাতে হয়!

আপনি একটু কষ্ট করে নিজেকে খুলে দেখুন, কত'টা মরিচার আস্তরন পড়ে গেছে আপনার ব্যক্তিত্বের উপর! একটু খেয়াল করে দেখুন, বাইরে থেকে দেখতে পাওয়া আপনার আয়রন করা পরিপাটি দেহের গভীরে থাকা হৃদপিন্ডের ভেতর এখনো কি ন্যাপথালিনের ঘ্রাণ পাওয়া যায় কিনা? আপনার মুখমন্ডলে ভেসে উঠা মানবিকতার উল্টা পাশটাকে, কোন ধরনের কর্পোরেট অহমিকা গ্রাস করে ফেলেনি তো? আমরা সব সময় অন্যের দিকে তাকাই! অথচ, নিজের দিকে কখনো খেয়াল করি না! আমরা অন্যের দোষ-ত্রুটি খুঁজতে ব্যস্ত রাখি নিজেকে! অন্যের ভুল খুঁজতে খুঁজতে আমরা একসময় নিজের কাছে নিজেই নিখোঁজ হয়ে যাই! অথচ, নিজেকে অনুসন্ধান করাটা ভীষন জরুরী! একজন ভালো মানুষ হিসেবে নিজেকে ১০ এর মধ্যে কত দিবেন জানতে চাইলে, আপনি কনফিউসড হয়ে যান! আপনি নিজেকে নিজে নাম্বার দিতে গেলে, নেগেটিভ মার্কিং করেন! একজন ভালো মানুষ হিসেবে আপনি নিন্ম শ্রেনীর জানার একটু পরই আপনি অন্য একটা মানুষকে জাজ করতে শুরু করেন! আপনি ভুলে যান, নিজেকে জাজ করার ব্যাপারে আপনি একজন অদক্ষ মানুষ! অন্য একটা মানুষকে জাজ করার আগে একটু যাচাই করে দেখুন, আপনার বুকের ভেতর যেখানটায় পবিত্রতার আস্তরন পড়ে থাকার কথা ছিল, সেখানটায় বিশ্বাসঘাতকতা, প্রতারনা, বেঈমানি অথবা দু-মুখো কোন অস্তিত্বের আস্তরন পড়ে গেছে কিনা! পৃথিবী বদলানোর আগে, নিজেকে বদলাতে হয়! নিজেকে একটু খুলে দেখুন, দেখবেন আপনি আপনার নিজের কাছেই অসহ্য হয়ে যাবেন!!! যেমন আমি আমার নিজের কাছে অসহ্য হয়ে গেসি...

সুবর্ণা মুস্তফাকে অপি করিম প্রশ্ন করেছিলেন-

“”সুবর্ণা মুস্তফাকে অপি করিম প্রশ্ন করেছিলেন- "আচ্ছা, হুমায়ূন ফরিদীর সাথে আপনি বাইশ বছর তার সহধর্মিণী ছিলেন, হঠাৎ কী হয়েছিল যে আপনারা আলাদা হয়ে গেলেন?" সুবর্ণা মুস্তফা ছোট্ট করে উত্তর দিয়েছিলেন- "বন্ধুত্বটা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল!" তারপর আস্তে করে বলেছিলেন- "হুমায়ূন ফরিদী যেহেতু আমাদের মাঝে আর নেই, কাজেই আমি আর বলতে চাই না এর চেয়ে বেশি কিছুই। কারণ যদি আমি বলি তাহলে ওর কথা বলার জায়গাটা নেই!" আমি অবাক হয়ে দেখেছিলাম নিজের প্রাক্তনকেও কীভাবে সম্মান করতে হয়! এই সম্মানটা আসে কীভাবে জানেন? -বন্ধুত্ব থেকে! কারিনা কাপুরের কাছে আরবাজ খানের সাথে সদ্য ডিভোর্স হওয়ার পর ' বলিউড সুপারস্টার মালাইকা অরোরা বলেছিলেন- “ডিভোর্স হওয়ার আগের রাতেও আমরা আলোচনা করেছিলাম, আমরা কি একসাথে থাকতে পারি, শুধরে নিতে পারি নিজেদেরকে? তারপর দেখলাম- না, সম্ভব না! বাট উই স্টিল হ্যাভ গুড ফ্রেন্ডশিপ!” দুটো সাক্ষাৎকারেই একটা জায়গায় মিল পেয়েছিলাম। মালাইকা আর সুবর্ণা দুজনেই বলেছিলেন- কাছে থেকে সম্মান হারিয়ে ফেলার চেয়ে দূরে গিয়ে সম্মান রাখাটা বেশি সম্মানের! তারা সেই স্বামীরূপী প্রেমিককে মিস করেননি, মিস করেছেন বন্ধুত্বের সম্পর্কটা! মানুষ আসলে প্রেমিক প্রেমিকা খোঁজে না, মানুষ খোঁজে বন্ধু। প্রেমিকের কাছে প্রাক্তন প্রেমিকের কথা যতটা না সহজে বলা যায়, তারচেয়ে বলা যায় বন্ধুর কাছে! এজন্য কেউ যখন সুবর্ণার মতো বাইশ বছরের সম্পর্ক, মালাইকার মতো ষোলো বছরের সংসার ছেড়ে যায় তখন আমরা ভাবি- আর একটু সহ্য করা যেতো না? কিন্তু কীসের অভাবে কেউ ছেড়ে যায় সব তা বুঝি না! তিক্ত হলেও সত্য- প্রেমিক ছাড়া একজীবন বেঁচে থাকা যায়, বন্ধু ছাড়া যায় না! এজন্য প্রেমিকের এগিয়ে দেয়া হাতে হাত রেখেও আমরা খুঁজে বেড়াই সেই বন্ধুটিকে যাকে বলা যায় প্রথম প্রেম ভাঙ্গার কষ্ট, প্রথম স্পর্শের আবেগ। আমাদের জানাতে ভালো লাগে আমাদের অনূভুতিগুলো আসলে কেমন! আমি বুঝেছিলাম প্রাক্তনের কথা শুনতে শুনতে তার সাথে স্বস্তির সাথে থাকা যায়! জীবনে প্রেম ছাড়া বেঁচে থাকা কঠিন না, কঠিন একজন কাছের বন্ধু ছাড়া বেঁচে থাকাটা! আপনি হয়তো বলবেন দিনশেষে মানুষ আকাশের মতো একা। কিন্তু আমি বলবো মানুষ আকাশের মতো একা হলেও আকাশজুড়ে ভেসে থাকা মেঘদলের মতো দোকা! আকাশ নিজের জন্য মেঘ খুঁজে পেলে আপনি একজন বন্ধু পাবেন না কেন? Understanding Respect Care Friendship Matters In Every Relation...

তোমারে যে চাহিয়াছে ভুলে একদিন, সে জানে তোমারে ভোলা কি কঠিন!

আমরা জানি এক্টা মানুষকে ছাড়া আমরা ভালো থাকতে পারবোনা!! কিন্ত তারপরেও আমাদের কতশত মিথ্যা বাহ্যিক আয়োজন!! পালিয়ে বেড়ানো,লুকিয়ে বেড়ানো,নিজের সাথে মিথ্যা বলা,নিজেকে মিথ্যা সান্তনা দেয়া.... কিন্তু, আমরা ভুলে যায় যে, দিনশেষে আমরা আমাদের কাছেই বন্দী,আমাদের মস্তিষ্কের কাছে বন্দী! বেকায়দা ভাবে বন্দী! আর প্রিয় মানুষ বা মানুষগুলো কিন্তু হৃৎপিণ্ডেই নয় শুধু মস্তিষ্কেও থাকে!!! তাই নয় কি? হৃৎপিণ্ড থেকে নাহয় সরিয়েই দিলেন কিন্তু মস্তিষ্ক থেকে কিভাবে সরাবেন?সেখান থেকে সরানো তো এত্ত সহজ না...... তবে আমার কাছে এক্টা উপায় আছে!! সে মানুষ্টাকে বা মানুষগুলোকে যদি ঘৃনা করতে পারেন তাহলে সহজেই হৃৎপিণ্ড এবং মস্তিষ্ক দুই জায়গা থেকেই সরাতে পারবেন।কিন্তু জানেন কি?প্রিয় মানুষদের ঘৃনা করাও এত্ত সহজ না!!অনেক বড় এবং স্ট্রং কারন লাগে সেজন্য,অনেক বেশি স্ট্রং!নয়ত ঘৃনাও করতে পারবেন না।আমরা মানুষরা যেভাবে ভালোবাসি তাতে ঘৃনা করা এত সহজ হয়ে উঠেনা,অনেক কাটখড় পুড়াতে হয়!! মোটকথা প্রিয়দের আসলে ভুলা যায়না,তাকে বা তাদের ছাড়া বাঁচতে হবে ভাবাই যায়না,তাদের মুখ থেকে মৃত্যুর কথা শুনলেও ভয় লাগে,তারা আমাদের আগে মরবে ভাবতেও কষ্ট হয়,বুকের বাঁ পাশে খুব চাপ লাগে,তাকে/তাদের ছাড়া বাঁচতে হবে ভাবলেও দম বন্ধ হয়ে আসে,বোঝানো যায়না তাদের,জানানো যায়না তাদের অথবা বেহায়ার মত বারবার জানালেও কাজ হয়না কিছু হয়তো আমরাই ফেরার পথটা রাখিনা কিন্তু তবুও আমাদের অনেক বাজে ফিল হয়!!! সবশেষে একটা কথা থেকেই যায়,শেষ বেলায় বেহায়া না হলে ভালোবাসলাম কই? অথবা,কাজী নজরুলের সেই কথাটি....... তোমারে যে চাহিয়াছে ভুলে একদিন, সে জানে তোমারে ভোলা কি কঠিন!!.

তোমার স্রষ্টা তোমাকে বাঁচিয়ে রাখে .......

"স্রষ্টা বলেছেন, 'তুমি যাকে'ই আমার চেয়ে বেশি ভালোবাসবে', আমি তাকে'ই তোমার কাছ থেকে দূরে নিয়ে যাবো। এবং তোমাকে একা করে রাখব।" তিনি আরও বলেছেন, 'কখনো বলবেনা আমি তাকে ছাড়া বাঁচবোনা।' তবে আমি তাকে ছাড়াই তোমাকে বাঁচাবো। এবং পেছনের অনুগত সব আবেগ কেড়ে নিয়ে, তোমাকে দিব্যি সামনে নিয়ে যাব! তুমি কী দেখোনা? ঋতুরাও বদলাতে থাকে। ছায়া দেয়া গাছের পাতাও যায় শুকিয়ে। ধৈর্য হারিয়ে যায়। কিন্তু তোমার স্রষ্টা ধৈর্যশীল ও পরম দয়ালু, সেই ঝরে যাওয়া পাতার ডাল থেকেই আবার সবুজ পাতা গজায়, তুমি কী দেখো না তোমার স্রষ্টার এই নিদর্শন? যে মানুষটাকে তুমি নিজের অংশ ভাবতে, সেই মানুষটাই একদিন অচেনা হয়ে যায়। তোমার মন ভেঙে যায়! এমনকি তোমার বন্ধুও শত্রুতে পরিণত হয় আর শত্রুও খানিক সময় পরে পরিণত হয় বন্ধুতে। যে মানুষটাকে নিজের জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসতে সেও প্রতারণা করে। তবে তুমি কেন স্রষ্টা বিমুখ হয়ে মানুষকে ভরসা করো? অদ্ভুত এই পৃথিবী! যখন তুমি ভাবো এটা হবেনা কখনো, কিন্তু পরোক্ষণে সেটাই হয়। সেটাই হবার নয় কী? তুমি বলো, 'আমি পড়বোনা' অথচ তুমি পড়ো। তুমি বলো, 'আমি বিস্মিত হবোনা!' অথচ তুমি রোজ বিস্মিত হও। এবং সবচেয়ে বিচিত্র বিষয় হচ্ছে- তুমি বলতে থাকো 'আমি মরে গেছি' অথচ তুমি বাঁচো। অথচ তুমি বেঁচে থাকো। তোমার স্রষ্টা তোমাকে বাঁচায়, তোমার স্রষ্টা তোমাকে বাঁচিয়ে রাখে! -মাওলানা জালালউদ্দিন মোহাম্মদ রুমি।

তোমাকে করলো আপন! আমাকে করলো দাফন!

তোমার পাল্কি উঠলো! আমার খাটিয়া উঠলো! ফুল তোমার উপরেও ঝরলো! ফুল আমার উপরেও ঝরলো! তফাত শুধু এটুকুই ছিলো, তুমি সেজে গেলে! আমাকে সাজিয়ে নিয়ে গেলো! তুমিও নিজের ঘরে চললে! আমিও নিজের ঘরেই চললাম! তফাত শুধু এটুকুই ছিলো - তুমি নিজেই উঠে গেলে! আমাকে উঠিয়ে নিয়ে গেলো! মাহফিল ওখানেও ছিলো! লোকজন এখানেও ছিলো! তফাত শুধু এটুকুই ছিলো - ওখানে সবাই হাসছিলো! এখানে সবাই কাঁদছিলো! কাজী ওখানেও ছিলো! মৌলভী এখানেও ছিলো! দুটো আয়াত তোমার জন্যে পড়লো! দুটো আয়াত আমার জন্যে পড়লো! তোমার বিয়ে পড়ালো! আমার জানাজা পড়ালো! তফাত শুধু এটুকুই ছিলো - তোমাকে করলো আপন! আমাকে করলো দাফন!

আলোচনা ও সমালোচনা বিহীন মানুষ জড় পদার্থের সমান

কখনো যদি কেউ আপনাকে দেখে তার দরজা বন্ধ করে দেয়, মনে রাখবেন ছিটকিনি দুই দিকেই থাকে আপনিও বাইরে থেকে বন্ধ করে ভেগে যাবেন। মনি !! > কেউ তোমাকে খোঁচা মেরে কথা বলে যদি শান্তি পায় তাহলে তাকে বলতে দাও... কারণ কিছু মানসিক অসুস্থ রোগী আছে যারা কাউকে ছোট না করতে পারলে শান্তি পায় না... তাই কেউ তোমাকে ছোট করে তোমার মাধ্যমে মনের শান্তি মিটিয়ে নিচ্ছে এটাই বা তোমার জন্য কম কিসের..? তুমি তার শান্তির উৎস... . সব সময় তো নিজের দিকটা ভাবলে চলে না, অন্যের কথাও একটু ভাবতে হয়... আশেপাশে অসুস্থ মানসিক রোগীর কথাও ভাবতে হয়... তাদের খোঁচা মেরে কথাগুলোর জবাব দিতে হয় না... অসুস্থদের সাথে তর্কে গিয়ে নিজেকে মানসিক চাপ দিতে নেই... কারণ যে তোমাকে খোঁচাবে সে তোমার ভালো মন্দ সবকিছুতেই খোঁচা দিবে... . ভালো থাকতে হলে ইগনোর করাটা শিখতে হয়... তর্কে না গিয়ে চুপ থাকতে হয়... কটু কথা এক কান দিয়ে শুনে আরেক কান দিয়ে বের করে দিতে হয়... মনে রাখো সবাইকে খুশি করার দায়িত্ব নিয়ে তুমি পৃথিবীতে আসো নাই... সবার আগে মানসিক শান্তি দরকার... যেটা তোমাকে সফলের দিকে নিয়ে যেতে সহায়তা করবে... . কেউ যখন তোমাকে খোঁচা মেরে কথা বলে তখন তুমি ধরে নাও তোমার মধ্যে এমন একটা গুণ আছে যেটা তার মধ্যে নাই... মূলত জেলাসি থেকে মানুষ একে অন্যকে দেখতে পারে না... আর একটা সময় এই জেলাসি তাদের ময়লা আবর্জনা বানিয়ে দেয়... সব জায়গায় সবার মাঝে নিজের জাত পরিচয় দিয়ে অন্যের নামে কটু কথা বলে গন্ধ ছড়ায়... . সমালোচনা সব সময় নেগেটিভ হিসাবে ধরতে হয় না... মাঝে মাঝে সমালোচনা পজেটিভ অর্থ বহন করে... কোথাও তোমার সমালোচনা হচ্ছে মানে অন্য কোথাও তোমার আলোচনাও হচ্ছে... যার সমালোচনা নাই তার আলোচনাও নাই... মনে রাখো, আলোচনা ও সমালোচনা বিহীন মানুষ জড় পদার্থের সমান !! 5

হাজার দু:খেও পরিবারের সামনে সুখের অভিনয় করে চলি ........

আসলে বড় হয়ে জন্ম নেওয়াটা নিজের উপর নির্ভর করে না, এটা সম্পূর্ণ সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা। তাই একে অপরাধ বলাটা ঠিক হবে না, তবে আমি বলতে চাই এটা অনেক বেশী কষ্টের বা চ্যালেঞ্জিং। সত্যিকার অর্থেই পরিবারে একটা বড় ছেলে হয়ে আসার পিছনের অনেক বেশি কষ্ট লুকিয়ে থাকে। হয়তো বা আমার কাছে যেগুলো কষ্টকর মনে হবে অন্যের কাছে সেগুলোর ব্যাখ্যা অর্থহীন। কিন্তু আমার কাছে অনেক ছোট ছোট বিষয় গুলোও অনেক বেশি অনুভুতি নিয়ে খেলা করে। ঘরের বড় সন্তান হিসাবে সবসময় সব বিষয়ে নিজের স্বার্থটায় ছাড় দেওয়া লাগে, প্রথমে ছোটদের কথা বিবেচনা করে পরে নিজেরটা ভাবতে হয়। হ্যাঁ এটা অনেক সাধারণ ব্যাপার, কিন্তু অনেক সময় নিজের এই প্রাপ্তি আর অপূর্ণতার খেলার ছলে নিজের স্বপ্ন গুলোই অপূর্ণ থেকে যায়। আর কোন এক সময় সেই স্বপ্ন গুলো মেঘের আড়ালে ঢাকা পড়ে যায়, হারিয়ে যায় শুধুমাত্র কল্পনার জগতে। বাবা-মার প্রথম সন্তান হিসাবে সব সময় নিজের উপর একটা বাড়তি চাপ থাকে, হয়তো কারো উপর সেটা পারিবারিক ভাবে কারো বা আবার নিজের মানসিকতা থেকে সৃষ্ট। সবসময় নিজেকে আড়াল করে রাখতে হয় অন্যদের থেকে, নিজের সম্পর্কে কাউকে বুঝতে দেওয়া যাবে না এরকম মনভাব নিয়ে। আসলে সত্যি বলতে কেউ বুঝার চেষ্টাটাও করে না, কারণ সবার কাছে একটাই মনভাব... সে তো সবার বড় নিজেরটা নিজেই পোষিয়ে নিবে, সবার বড় তো একটু বুঝতে হবে... এরকম টাইপ। কিন্তু এই উত্তাল ঢেউয়ের সাতার কেটে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত, আমাকে কেউ কখনো দেখতে চায় না, কেউ কখনো আমাকে বুঝতে চাইবে না, বুজতে জানতে চাইনা আমার জীবনের লক্ষটা কি! একটু অতিরিক্ত চাপ প্রতিনিয়ত সহ্য করে যাচ্ছি, মাঝেমাঝে আমার সহ্য সীমা অতিক্রম করে কিন্তু এরপরেও আমাকে নিরব থাকতে হয়, আমার জন্য না বরং আমার পরিবারের জন্য নিরব থাকতে হয়। সারাজীবনই চেয়েছি আমার মায়ের চোখে প্রিন্স হয়ে থাকতে আর সে অনুযায়ী প্রচেষ্টা করি, হাজার দু:খেও পরিবারের সামনে সুখের অভিনয় করে চলি। এটাই হয় তো পৃথিবীর রীতিনীতি....

এই জীবন্ত লাশটা আজও তার খুনিকে ভালোবাস ( নাজিম-নোহাস)

কেমন আছো ?৷ - এই তো আছি। কোথায় থাকো ? - কাছাকাছি। বদলে গেছো " - সবাই বলে। তারপর সব ? - যাচ্ছে চলে। বিয়ে সাদী ? - লাভ কি শুনে। কত দিন হলো ? - রাখিনি গুনে। ছেলে হয়েছে ? - না মেয়ে। কোথায় এখন ? - ঘুমালো খেয়ে। নাম কি ওর ? - সোনা বলে ডাকি। এই নাম টা তো.... - এখন রাখি। ব্যস্ত খুবই ? - একটুখানি। বছর পাঁচেক...... - হ্যা আমি জানি। মনে পরে না ? - হয় না সময়। সেদিন যদি... - থাক আজ সে সব। ভুলেই গেছো ? - যথা সম্ভব। থাকতো যদি ? - থাকবে কি আর। ভুলিনি আমি...!!! - সে তোমার ব্যপার। রাখবো এখন ? - কিছু কি বাকি। ভালো থেকো ? - ভালোই থাকি। এত অভিমান৷ ? - রাখিনি যমে। এখন ও কাদো ? - অল্প চোটেই। হ্যা কাদো তুমি """ - না কাদি না। মনে পরে বেনি করা চুলগুলো তোমার - আার বাধি না। বৃষ্টি ছাদে? - যাই না এখন। প্রিয় গান গুলো তোমার? - শুনি কিছুহ্মন। কখন শুনো? - মন খারাপে। মন খারাপ হয় ? - হুম কল্পনা তে। কি ভাবো ? - লাভ কি শুনে। আবার যদি ? - চাই না আমি। আপন কে আজ ? - অন্তর্যামী। হলে কি দোয ? - হবে বিপরীত। আমি কেউ নই ? - শুধুই অতীত। আমাদের সকলের জীবনে এমনই কিছু লাইন এর মাঝে সীমাবদ্ধ। তারপর ও বলি ভালো থাকুক সে... এই জীবন্ত লাশটা আজও তার খুনিকে ভালোবাসে। ( নাজিম-নোহাস)

আলোর সার্থকতা

আলোর সার্থকতা তার আলোতে অন্যকে আলোকৃত করে। আর আমার সার্থকতা তোমাকে ভালোবেসে তোমাকে ভালো রাখাকে কেন্দ্রে করে আমার ছুটে চলা আজ এই জীবন যুদ্ধের মহারথে। আর হঠাৎ মনের আলিঙ্গনে ভালো লাগার হাসিটা একে দিবো তোমার ভালোবাসার দেয়ালে।
আলোর সার্থকতা তার আলোতে অন্যকে আলোকৃত করে। আর আমার সার্থকতা তোমাকে ভালোবেসে তোমাকে ভালো রাখাকে কেন্দ্রে করে আমার ছুটে চলা আজ এই জীবন যুদ্ধের মহারথে। আর হঠাৎ মনের আলিঙ্গনে ভালো লাগার হাসিটা একে দিবো তোমার ভালোবাসার দেয়ালে।

লেখক : নাজিম নোহাস ,স্টল - সন্ধান প্রকাশনী ,বইয়ের নাম - হ্মনিকা , অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২২ প্রকাশ

আলহামদুলিল্লাহ। আমার লিখা ৩য় কবিতার বই হ্মনিকা । আপনাদের ভালোলাগা ও ভালোবাসার মাঝে খুঁজে পাই আমার লিখার অনুপ্রেরণা। অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা সন্ধান প্রকাশনী র সম্মানিত সম্পাদক এনামুল হক পাইলট ভাই প্রতি। বইয়ের নাম - হ্মনিকা। সম্পাদক - এনামুল হক পাইলট। লেখক : নাজিম নোহাস। বইয়ের ধরন - যৌথ প্রযোজনায় কবিতার বই। স্টল - সন্ধান প্রকাশনী। প্রকাশের সময় : আগামী অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২২ প্রকাশ
করা হবে।

লেখক : নাজিম নোহাস বইয়ের নাম - হ্মনিকা। অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২২ প্রকাশ .

আলহামদুলিল্লাহ। আমার লিখা ৩য় কবিতার বই হ্মনিকা । আপনাদের ভালোলাগা ও ভালোবাসার মাঝে খুঁজে পাই আমার লিখার অনুপ্রেরণা। অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা সন্ধান প্রকাশনী র সম্মানিত সম্পাদক এনামুল হক পাইলট ভাই প্রতি। বইয়ের নাম - হ্মনিকা। সম্পাদক - এনামুল হক পাইলট। লেখক : নাজিম নোহাস। বইয়ের ধরন - যৌথ প্রযোজনায় কবিতার বই। স্টল - সন্ধান প্রকাশনী। প্রকাশের সময় : আগামী অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২২ প্রকাশ করা হবে।