সোমবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৬

অনেক আকাশ --জীবনানন্দ দাশ

গানের সুরের মতো বিকেলের দিকের বাতাসে
পৃথিবীর পথ ছেড়ে –সন্ধ্যার মেঘের রঙ খুঁজে
হৃদয় ভাসিয়া যায়,- সেখানে সে কারে ভালোবাসে !-
পাখির মতন কেঁপে –ডানা মেলে- হিম- চোখ বুজে
অধীর পাতার মতো পৃথিবীর মাঠের সবুজে
উড়ে উড়ে ঘর ছেড়ে কত দিকে গিয়েছে সে ভেসে,-
নীড়ের মতন বুকে একবার তার মুখ গুঁজে
ঘুমাতে চেয়েছে,- তবু- ব্যথা পেয়ে গেছে ফেঁসে,-
তখন ভোরের রোদে আকাশে মেঘের ঠোঁট উঠেছিল হেসে!
আলোর চুমায় এই পৃথিবীর হৃদয়ের জ্বর
ক’মে যায়; -তাই নীল আকাশের স্বাদ- স্বচ্ছলতা-
পূর্ণ ক’রে দিয়ে যায় পৃথিবীর ক্ষুদির গহ্বর;
মানুষের অন্তরের অবসাদ –মৃত্যুর জড়তা
সমুদ্র ভাঙিয়া যায়; - নক্ষত্রের সাথে কয় কথা
যখন নক্ষত্র তবু আকাশের অন্ধকার রাতে-
তখন হৃদয়ে জাগে নতুন যে এক অধীরতা ,
তাই ল’য়ে সেই উষ্ণ –আকাশের চাই যে জড়াতে
গোধূলির মেঘে মেঘ, নক্ষত্রের মতো র’বো নক্ষত্রের
সাথে!
আমারে দিয়েছ তুমি হৃদয়ের যে এক ক্ষমতা
ওগো শক্তি ,- তার বেগে পৃথিবীর পিপাসার ভার
বাধা পায়, জেনে লয় নক্ষত্রের মতো স্বচ্ছতা!
আমারে করেছ তুমি অসহিস্নু- ব্যর্থ-চমৎকার !
জীবনের পারে থেকে যে দেখেছে মৃত্যুর ওপার,
কবর খুলেছে মুখ বার-বার যার ইশারায়,
বীণার তারের মতো পৃথিবীর আকাঙ্ক্ষার তার
তাহার আঘাত পেয়ে কেঁপে কেঁপে ছিঁড়ে শুধু যায়!
একাকী মেঘের মতো ভেসেছে সে- বৈকালের আলোয় –
সন্ধ্যায় !
সে এসে পাখির মতো স্থির হয়ে বাধে নাই নীড়, -
তাহার পাখায় শুধু লেগে আছে তীর –অস্থিরতা !
অধীর অন্তর তারে করিয়াছে অস্থির অধীর !
তাহারি হৃদয় তারে দিয়েছে ব্যাধের মতো ব্যথা!
একবার তাই নীল আকাশের আলোর গাড়তা
তাহারে করেছে মুগ্ধ, - অন্ধকার নক্ষত্র আবার
তাহারে নিয়েছে ডেকে ,- জেনেছে সে এই চঞ্চলতা
জীবনের;- উড়ে উড়ে দেখেছে সে মরণের পার
এই উদ্বেলতা ল’য়ে নিশীথের সমুদ্রের মতো চমৎকার!
গোধূলির আলো ল’য়ে দুপুরে সে করিয়াছে খেলা,
স্বপ্ন দিয়ে দুই চোখ একা একা রেখেছে সে ঢাকি ;
আকাশে আঁধার কেটে গিয়েছে যখন ভোরবেলা
সবাই এসেছে পথে,- আসে নাই তবু সেই পাখি!-
নদীর কিনারে দূরে ডানা মেলে উড়েছে একাকী,
ছায়ার উপরে তার নিজের পাখার ছায়া ফেলে
সাজায়েছে স্বপনের’পরে তার হৃদয়ের ফাঁকি !
সূর্যের আলোর পরে নক্ষত্রের মতো আলো জ্বেলে
সন্ধ্যার আঁধার দিয়ে দিন তারে ফেলেছে সে মুছে
অবহেলা !
কেউ তারে দেখে নাই ;- মানুষের পথ ছেড়ে দূরে
হাড়ের মতন শাখা ছায়ার মতন পাতা ল’য়ে
যেইখানে পৃথিবীর মানুষের মতো ক্ষুব্ধ হয়ে
কথা কয়,- আকাঙ্ক্ষার আলোড়নে চলিতেছে বয়ে
হেমন্তের নদী,- ঢেউ ক্ষুধিতের মতো এক সুরে
হতাশ প্রাণের মতো অন্ধকারে ফেলিছে নিশ্বাস,-
তাহাদের মতো হয়ে তাহাদের সাথে গেছি রয়ে :
দূরে পড়ে পৃথিবীর ধূলা –মাটি –নদী- মাঠ –ঘাস,-
পৃথিবীর সিন্ধু দূরে ,- আরো দূরে পৃথিবীর মেঘের আকাশ !
এখানে দেখেছি আমি জাগিয়াছ হে তুমি ক্ষমতা,
সুন্দর মুখের চেয়ে তুমি আরো ভীষণ –সুন্দর !
ঝড়ের হাওয়ার চেয়ে আরো শক্তি –আরো ভীষণতা
আমারে দিয়েছে ভয়! এইখানে পাহাড়ের’পর
তুমি এসে বসিয়াছ,- এইখানে অশান্ত সাগর
তোমারে এনেছে ডেকে ;- হে ক্ষমতা , তোমার বেদনা
পাহাড়ের বনে বনে তুলিতেছে উত্তরের ঝড়
আকাশের চোখে- মুখে তুলিতেছে বিদ্যুতের ফণা
তোমার স্ফুলিঙ্গ আমি, ওগো শক্তি,- উল্লাসের মতন
যন্ত্রণা !
আমার সকল ইচ্ছা প্রার্থনার ভাষার মতন
প্রেমিকের হৃদয়ের গানের মতন কেঁপে উঠে
তোমারে প্রাণের কাছে একদিন পেয়েছে কখন !
সন্ধ্যার আলোর মতো পশ্চিম মেঘের বুকে ফুটে,
আঁধার রাতের মতো তারার আলোর দিকে ছুটে ,
সিন্ধুর ঢেউ এর মতো ঝড়ের হাওয়ার কোলে জেগে
সব আকাঙ্ক্ষার বাঁধ একবার গেছে তার টুটে !
বিদ্যুতের পিছে পিছে ছুটে গেছি বিদ্যুতের বেগে !
নক্ষত্রের মতো আমি আকাশের নক্ষত্রের বুকে গেছি
লেগে !
যেই মুহূর্ত চ’লে গেছে ,- জীবনের যেই দিন গুলি
ফুরায়ে গিয়েছে সব,- একবার আসে তারা ফিরে;
তোমার পায়ের চাপে তাদের করেছো তুমি ধূলি !
তোমার আঘাত দিয়ে তাদের গিয়েছ তুমি ছিঁড়ে !
হে ক্ষমতা ,- মনের ব্যথার মতো তাদের শরীরে
নিমেষে নিমেষে তুমি কতবার উঠেছিলে জেগে !
তারা সব চ’লে গেছে;- ভূতুড়ে পাতার মতো ভিড়ে
উত্তর হাওয়ার মতো তুমি আজো রহিয়াছ লেগে!
যে সময় চ’লে গেছে তা- ও কাঁপে ক্ষমতার বিস্ময়ে –
আবেগে !
তুমি কাজ ক’রে যাও, ওগো শক্তি , তোমার মতন !
আমারে তোমার হাতে একাকী দিয়েছি আমি ছেড়ে ;
বেদনা- উল্লাসে তাই সমুদ্রের মতো ভরে মন !-
তাই কৌতূহল –তাই ক্ষুধা এসে হৃদয়েরে ঘেরে ,-
জোনাকির পথ ধ’রে তাই আকাশের নক্ষত্রেরে
দেখিতে চেয়েছি আমি, - নিরাশার কোলে ব’সে একা
চেয়েছি আশারে আমি,- বাঁধনের হাতে হেরে, হেরে
চাহিয়াছি আকাশের মতো এক অগাধের দেখা ! –
ভোরের মেঘের ঢেউয়ে মুছে দিয়ে রাতের মেঘের কালো
রেখা!
আমি প্রণয়িনী ,- তুম হে অধীর , আমার প্রণয়ী !
আমার সকল প্রেম উঠেছে চোখের জলে ভেসে !-
প্রতিধ্বনির মতো হে ধ্বনি, তোমার কথা কহি
কেঁপে উঠে –হৃদয়ের সে যে কত আবেগে আবেশে!
সব ছেড়ে দিয়ে আমি তোমারে একাকী ভালোবেসে
তোমার ছায়ার মতো ফিরিয়াছি তোমার পিছনে !
তবু ও হারায়ে গেছ ,- হঠাৎ কখন কাছে এসে
প্রেমিকের মতো তুমি মিশেছ আমার মনে মনে
বিদ্যুৎ জ্বালায়ে গেছ,-আগুন নিভায়ে গেছ হঠাৎ
গোপনে !
কেন তুমি আস যাও ? –হে অস্থির ,হবে নাকি ধীর !
কোনোদিন !- রৌদ্রের মতন তুমি সাগরের’পরে
একবার-দুইবার জ্বলে উঠে হতেছ অস্থির ! –
তারপর, চ’লে যাও কোন দূরে পশ্চিমে- উত্তরে,-
সেখানে মেঘের মুখে চুমু খাও ঘুমের ভুতরে,
ইন্দ্রধনুকের মতো তুমি সেইখানে উঠিতেছ জ্ব’লে,
চাঁদের আলোর মতো একবার রাত্রির সাগরে
খেলা করো ;- জ্যোৎস্না চ’লে যায়,- তবু তুমি যাও চ’লে
তার আগে; - যা বলেছ একবার, যাবে নাকি আবার তা
ব’লে !
যা পেয়েছি একবার পাব নাকি আবার তা খুঁজে !
যেই রাত্রি যেই দিন একবার কয়ে গেল কথা
আমি চোখ বুজিবার আগে তারা গেল চোখ বুজে,
ক্ষীণ হয়ে নিভে গেল সলিতার আলোর স্পষ্টতা !
ব্যথার বুকের ‘পরে আর এক ব্যথা বিহ্বলতা
নেমে এলো ;- উল্লাস ফুরায়ে গেল নতুন উৎসবে ;
আলো অন্ধকার দিয়ে বুনিতেছি শুধু এই ব্যথা, -
দুলিতেছি এই ব্যথা –উল্লাসের সিন্ধুর বিপ্লবে !
সব শেষ হবে , - তবু আলোড়ন ,- তা কি শেষ হবে !
সকল যেতেছে চ’লে ,- সব যায় নিভে –মুছে- ভেসে-
যে সুর থেমেছে তার স্মৃতি তবু বুকে জেগে রয় !
যে নদী হারায়ে যায় অন্ধকারে –রাতে –নিরুদ্দেশে,
তাহার চঞ্চল জল স্তব্ধ হয়ে কাঁপায় হৃদয় !
যে মুখ মিলায়ে যায় আবার ফিরিতে তারে হয়
গোপনে চোখের’পরে,- ব্যথিতের স্বপ্ন্বের মতন !
ঘুমন্তের এই অশ্রু –কোন পীড়া –সে কোন বিস্ময়
জানায়ে দিতেছে এসে !- রাত্রি-দিন আমাদের মন
বর্তমান অতীতের গুহা ধ’রে একা একা ফিরিছে এমন !
আমরা মেঘের মতো হঠাৎ চাঁদের বুকে এসে
অনেক গভীর রাতে- একবার পৃথিবীর পানে
চেয়ে দেখি, আবার মেঘের মতো চুপে চুপে ভেসে
চ’লে যাই এক ক্ষীণ বাতাসের দুর্বল আহ্বানে
কোন দিকে পথ বেয়ে! –আমাদের কেউ কি তা জানে ।
ফ্যাকাশে মেঘের মতো চাঁদের আকাশ পিছে রেখে
চ’লে যাই;- কোন এক রুগ্ন হাত আমাদের টানে ?
পাখির মায়ের মতো আমাদের নিতেছে সে ডেকে
আরো আকাশের দিকে,- অন্ধকারে,- অন্য কারো
আকাশের থেকে !
একদিন বুজিবে কি চারিদিকে রাত্রির গহবর !-
নিবন্ত বাতির বুকে চুপে চুপে যেমন আঁধার
চ’লে আসে ,- ভালোবেসে –নুয়ে তার চোখের উপর
চুমু খায়,- তারপর তারে কোলে টেনে লয় তার;-
মাথার সকল স্বপ্ন –হৃদয়ের সকল সঞ্চার
একদিন সেই শূন্য সেই শীত নদীর উপরে
ফুরাবে কি? –দুলে দুলে অন্ধকারে তবুও আবার
আমার রক্তের ক্ষুধা নদীর ঢেউয়ের মতো স্বরে
গান গাবে,- আকাশ উঠিবে কেঁপে আবার সে সঙ্গীতের
ঝড়ে !
পৃথিবীর –আকাশের পুরানো কে আত্মার মতন
জেগে আছি; - বাতাসের সাথে সাথে আমি চলি ভেসে,
পাহাড়ে হাওয়ার মতো ফিরিতেছে একা একা মন,
সিন্ধুর ঢেউয়ের মতো দুপুরের সমুদ্রের শেষে
চলিতেছে ; - কোন এক দূর দেশে –কোন নিরুদ্দেশে
জন্ম তার হয়েছিল ,- সেইখানে উঠেছে সে বেড়ে;
দেহের ছায়ার মতো আমার মনের সাথে মেশে
কোন স্বপ্ন !- এ আকাশ ছেড়ে দিয়ে কোন আকাশেরে
খুঁজে ফিরি !- গুহার হাওয়ার মতো বন্দী হয়ে মন তব
ফেরে !
গাছের শাখার জালে এলোমেলো আঁধারের মতো
হৃদয় খুঁজিছে পথ, ভেসে ভেসে ,- সে যে কারে চায় ।
হিমের হওয়ার হাত তার হাড় করিছে আহত,-
সে- ও কি শাখার মতো –পাতার মতন ঝ’রে যায় !
বনের বুকের গান তার মতো শব্দ ক’রে গায় !
হৃদয়ের সুর তার সে যে কবে ফেলেছে হারায়ে !
অন্তরের আকাঙ্ক্ষারে –স্বপনেরে বিদায় জানায়
জীবন মৃত্যুর মাঝে চোখ বুজে একাকী দাঁড়ায়ে ;
ঢেউয়ের ফেনার মতো ক্লান্ত হয়ে মিশিবে কি সে –
ঢেউয়ের গায়ে !
হয়তো সে মিশে গেছে- তারে খুঁজে পাবে নাকো কেউ!
কেন যে সে এসেছিল পৃথিবীর কেহ কি তা জানে !
শীতের নদীর বুকে অস্থির হয়েছে যেই ঢেউ
শুনেছে সে উষ্ণ গান সমুদ্রের জলের আহ্বানে !
বিদ্যুতের মতো অল্প আয়ু তবু ছিল তার প্রাণে ,
যে ঝড় ফুরায়ে যায় তাহার মতন বেগ লয়ে
যে প্রেম হয়েছে ক্ষুব্ধ সেই ব্যর্থ প্রেমিকের গানে
মিলায়েছে গান তার ,- তারপরে চ’লে গেছে বয়ে।
সন্ধ্যার মেঘের রঙ কখন গিয়েছে তার অন্ধকার হয়ে !
তবুও নক্ষত্র এক জেগে আছে,- সে যে তারে ডাকে!
পৃথিবী চায় নি যারে,- মানুষ করেছে যারে ভয়
অনেক গভীর রাতে তারায় তারায় মুখ ঢাকে
তবুও সে ! –কোন এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ চোখে ছবি দেখে একা জেগে রয় !
মানুষীর মতো ? কিংবা আকাশের তারাটির মতো ,-
সেই দূর- প্রণয়িনী আমাদের পৃথিবীর নয় !
তার দৃষ্টি তাড়নায় করেছে যে আমারে ব্যাহত ,-
ঘুমন্ত বাঘের বুকে বিষের বাণের মতো বিষম সে ক্ষত !
আলো আর অন্ধকারে তার ব্যথা- বিহবলতা লেগে,
তাহার রক্তে পৃথিবী হতেছে শুধু লাল !-
মেঘের চিলের মতো –দুরন্ত চিতার মতো বেগে
ছুটে যাই ;- পিছে ছুটে আসিতেছে বৈকাল-সকাল
পৃথিবীর ;- যেন কোন মায়াবীর নষ্ট ইন্দ্রজাল
কাঁদিতেছে ছিঁড়ে গিয়ে ! কেঁপে কেঁপে পড়িতেছে
ঝ’রে!
আরো কাছে আসিয়াছি তবু আজ, - আরো কাছে কাল
আসিব তবুও আমি,- দিন রাত্রি রয় পিছে প’ড়ে ,-
তারপর একদিন কুয়াশার মতো সব বাধা যাবে স’রে !
সিন্ধুর ঢেউয়ের তলে অন্ধকার রাতের মতন
হৃদয় উঠিতে আছে কোলাহলে কেঁপে বার-বার!
কোথায় রয়েছে আলো জেনেছে তা –বুঝেছে তা মন
চারিদিকে ঘিরে তারে রহিয়াছে যদিও আঁধার !
একদিন এই গুহা ব্যথা পেয়ে আহত হিয়ার
বাঁধন খুলিয়া দেবে ! অধীর ঢেউয়ের মতো ছুটে
সেদিন সে খুঁজে লবে ওই দূর নক্ষত্রের পার !
সমুদ্রের অন্ধকারে গহ্বরের ঘুম থেকে উঠে
দেখিবে জীবন তার খুলে গেছে পাখির ডিমের মতো
ফুটে !
--ধূসর পান্ডুলিপি

Dark, my friend!

Friend
Art thou abroad on this stormy night
on thy journey of love, my friend?
The sky groans like one in despair.
I have no sleep tonight.
Ever and again I open my door and look out
on
the darkness, my friend!
I can see nothing before me.
I wonder where lies thy path!
By what dim shore of the ink-black river,
by what far edge of the frowning forest,
through what mazy depth of gloom art thou
threading
thy course to come to me, my friend?

The Old Familiar Faces...........

 I have had playmates, I have had companions,
In my days of childhood, in my joyful school-days,
All, all are gone, the old familiar faces.
I have been laughing, I have been carousing,
Drinking late, sitting late, with my bosom cronies,
All, all are gone, the old familiar faces.
I loved a love once, fairest among women;
Closed are her doors on me, I must not see her —
All, all are gone, the old familiar faces.
I have a friend, a kinder friend has no man;
Like an ingrate, I left my friend abruptly;
Left him, to muse on the old familiar faces.
Ghost-like, I paced round the haunts of my childhood.
Earth seemed a desert I was bound to traverse,
Seeking to find the old familiar faces.
Friend of my bosom, thou more than a brother,
Why wert not thou born in my father's dwelling?
So might we talk of the old familiar faces —
How some they have died, and some they have left me,
And some are taken from me; all are departed;
All, all are gone, the old familiar faces.

Curaya was standing in the mountains.........


Curaya was standing in the mountains I have made the earth underfoot This is the literal truth unto argument swoon. There is a book in solitude thrilled tantana Light clouds in a pale penumbra day Sabujake order to be gray

A-side and the pieces scattered on hills and on the horizon Were washed fabulous breeze Forests do not believe any of the musk scent The woman was running down some of the pink handkerchief fly Phanamanasara bush Roddura rabbits and mute goes on

This moment, this does not mean that any of the stand
The emperor's helmet floating in the water Waterfall
KwaZulu orange seeds fall into the abyss of the womb
Two butterfly polka dat go their own
Sukno acacia trees, roses represent the nature of the claims.
If the fair drsyai
I'm winning, I'm beat, I'm such a man
The top of the hill down to the earth, my nabhimula
Comes up from the sad, tired sigh
This nirjanatai asrumocanera moment I apologize ..

বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৬

গল্প তবে গল্প নয়

বাবা মার ইচ্ছেতেই বিয়ে হয়েছিল আমাদের।
নিজেই লুঙ্গি সামলে রাখতে পারতামনা,রাতে ঘুমুলে
গিট্টু দিতাম।অথচ সেই আমি তখন চেষ্টা করতাম
ছোট্ট বউটাকে শাড়ি পরিয়ে দিতে।
নিজেই পেতামনা পকেট খরচের টাকা,অথচ বউয়ের
জন্য আচার কিনতে হত।
খুব সুন্দর ছিলো দিনগুলি।ভালবাসা যেন অজান্তেই
তৈরি হয়েগেল মনের ভিতর।প্রথম কেউ বলতে
সেই ছিল আমার জীবনে।
সে ছিল খুব ছোট,হাসত খেলত।বাবা মা তার কান্ড
দেখে হাসতেন।
আমিও হাসতাম এইভেবে যে এটাই আমার বউ।
ছোট্ট মিষ্টি সোনা বউ।সারাদিন হৈহুল্লোড়ে
থেকে যখন রাতে সে বলত মাথা ব্যাথা করছে,মাথা
টিপে দিতাম।পা দুটোও টিপে দিতাম।আমার বউতো,
আমিই তো তারসব।আজ অবুজ কালতো বুঝবেই।
তখন আরোবেশি ভালবাসবে আমাকে।
দিন যেতে থাকলো।বউয়ের বয়স যখন
সতের,এখন আর সে হাসেনা খেলেনা।এখন
অনেক কিছুই বোঝে সে।শ্বশুর বাড়িতে
গেলে একাকি থাকতাম আমি।
সে আমায় বলত, তুমি আমার সাথে বেড়ুবেনা,আমার
লজ্জা করে।
কিছু বলতামনা,কষ্ট লুকিয়ে রাখতাম।
আসার সময় বায়না ধরত তাকে রেখেযেতে।
রেখে আসতাম।বাড়ি এসে প্রতিদিন ফোন করতাম
তাকে।প্রতিটা কলই ওয়েটিং থাকত।মেসেজ গুলোর
উত্তর না পেয়ে লজ্জায় আর মেসেজ করতামনা।
তিনমাস পর যখন শ্বশুরবাড়ি যেতাম বউয়ের
প্রথমবাক্য ছিলো তিনদিন থেকে চলেযাবে।
রাতের আধারে চুপিচুপি তার ফোনটা অনকরে
দেখতাম
প্রতি মিনিটে কারো প্রেমময় মেসেজে চাপা
পরেছে আমার মেসেজগুলো।
কষ্ট পেতে থাকলাম আমি।সবাইকে বলে শাসন
করাহল তাকে।সেই থেকেই শুরু।
তারপর আমার বউয়ের বয়স যখন উনিশ,আমার বয়স
তখন বাইশ।একটা মেয়ে এল কোলজুড়ে।
তারপর মেয়ের বয়স যখন মাত্র ছমাস।আধো
আনন্দের সীমা ছিলনা আমার,আমার পরিবারের।
বলে ডাকদিত কলিজা যেন ঠান্ডা হয়েযেত আমার।বউ
আধো দুএকটা শব্দে ডাকে আমার মেয়ে।যখনি বাবা
বলত বুঝতাম।আমার প্রতি দুর্ব্যবহারই সেটা প্রমাণ
তখন অন্য দুনিয়া নিয়ে ব্যস্ত।তখনো ফোনে কথা
করেদিত।কিন্তু মেয়ের কথাভেবে কিছু বলতামনা।
চেয়েছিলাম মেয়ের মা ডাকার অধিকার।কিন্তু সে
তারপর এলো সেদিন,যেদিন আমি কেঁদেছিলাম।স্বামী হয়ে তার দুটো পা জড়িয়ে ধরেছিলাম।ভিক্ষে
আমাকে ত্যাগকরে চলেগেল।৩ টা ৩৮ মিনিটে সই
করলাম ডিভোর্স পেপারে। সে নতুন ভালবাসার
আমার মেয়েটা।
মানুষকে নিয়ে চলেগেল অনেক দুরে।মাহারা হল
আমার মেয়ের বয়স যখন দশবছর।নিজহাতে তাকে
আমি শাড়ি পরাতাম।ও যখন ছোটতে কাঁদত মারজন্যে
ওকে কোলে তুলে নিজেও কাঁদতাম।মার অভাব কি
কখনো পুরনহয়?।নিজের মাকে ডাকতে গিয়ে
কান্না আসত আমার।আমার মেয়ের যে মা নেই।ও
ডাকবে কাকে?
রান্না করতাম,সাজিয়ে দিতাম নিজে।আমি আর মেয়ে
এই আমার দুনিয়া।
এই আমার পৃথিবী। আর বিয়ে করিনি। কারন ভালবাসতাম
তাকে,তখনো এখনো।
মেয়ের বিয়ের কথা চলছে।আমি আবার একাহয়ে
যাবো।মেয়ের অনিচ্ছা সত্বেও ওর মাকে খবর
দিয়েছি।
কাল এসেছিলো সে।অনেকদিন পর দেখলাম
তাকে।ছমাস তিনদিন, বাইশ মিনিট কম চব্বিশ বছর
পরদেখলাম।কল্পনায় ভেবেছিলাম এখনো সেই
ছোট্টই আছে।কিন্তু নাহ,আমার মতই চুলে পাক
ধরেছে ওর।দুটো ছেলের মা আজ ও।
আমি সেদিন ভালোবাসার কাছে হারমেনে
জিজ্ঞেস করেছিলাম কেমন আছো?আজো কি
তোমার মাথা, পা ব্যাথা করে? সে শুধু মাথা
নেড়েছিল।কি বুঝিয়েছে তা দেখতে পাইনি। কারন
চোখদুটো তখন জলে ভেজা ছিল।তাছাড়া বয়স
তো আর আগের মতনেই।
কিন্তু আমার মেয়ে দেখা করেনি ওরসাথে।পর্দার
আড়াল থেকেই একটা প্রশ্ন করেছিল আমার
মেয়ে,
আমার বাবার চব্বিশটা বছর ফিরিয়ে দিতে পারবেন কি?
যদি না,পারেন তাহলে এসোনা কোনদিন।আমার বাবাই
আমার মা।আমি প্রাউডফিল করি বাবা ডেকে।মা ডাকার
কোন ইচ্ছেনেই আমার,

লেখক: (নাজিম নোহাস)

Second Inning's

"Astræ" by Ralph Waldo Emerson
Himself it was who wrote
His rank, and quartered his own coat.
There is no king nor sovereign state
That can fix a hero's rate;
Each to all is venerable,
Cap-a-pie invulnerable,
Until he write, where all eyes rest,
Slave or master on his breast.
I saw men go up and down
In the country and the town,
With this prayer upon their neck,
"Judgment and a judge we seek."
Not to monarchs they repair,
Nor to learned jurist's chair,
But they hurry to their peers,
To their kinsfolk and their dears,
Louder than with speech they pray,
What am I? companion; say.
And the friend not hesitates
To assign just place and mates,
Answers not in word or letter,
Yet is understood the better;—
Is to his friend a looking-glass,


Reflects his figure that doth pass.
Every wayfarer he meets
What himself declared, repeats;
What himself confessed, records;
Sentences him in his words,
The form is his own corporal form,
And his thought the penal worm.
Yet shine for ever virgin minds,
Loved by stars and purest winds,
Which, o'er passion throned sedate,
Have not hazarded their state,
Disconcert the searching spy,
Rendering to a curious eye
The durance of a granite ledge
To those who gaze from the sea's edge.
It is there for benefit,
It is there for purging light,
There for purifying storms,
And its depths reflect all forms;
It cannot parley with the mean,
Pure by impure is not seen.
For there's no sequestered grot,
Lone mountain tam, or isle forgot,
But justice journeying in the sphere
Daily stoops to harbor there.

Life

Narcissistic personality disorder is a mental disorder in which people have an inflated sense of their own importance, a deep need for admiration and a lack of empathy for others. But behind this mask of ultraconfidence lies a fragile self-esteem that's vulnerable to the slightest criticism.
A narcissistic personality disorder causes problems in many areas of life, such as relationships, work, school or financial affairs. You may be generally unhappy and disappointed when you're not given the special favors or admiration you believe you deserve. Others may not enjoy being around you, and you may find your relationships unfulfilling.

Life is a Good

life is a book.
and everyday is a new page.
If a page is sad,
but the next page will be happy.
so don't worry my friend,
turn the page and enjoy your life.
.......Writer Nazim Nuhas......

কাব্য কথা

যদি ভুল
করে ভুলে যাওয়া যেতো,
তবে তোমায় ভুলে যেতাম।
যদি অভিমান করে দূরে যাওয়া যেতো,
তবে তোমায় ছেড়ে যেতাম।
যদি ইচ্ছের জোরে ঘৃণা করা যেতো তোমায়,
তবে তোমায় ঘৃণা করতাম।
যদি কান্নার জলে আমার সকল দুঃখ ধুয়ে যেতো,
তবে দু'চোখের জলে সাগর সৃষ্টি করতাম।
যদি আর একটি বার তোমায় কাছে পেতাম,
তবে হৃদয়ের অবশিষ্ট
ভালোবাসা টুকুও তোমাকেই
দিতাম।


(নাজিম নোহাস)....।

বাস্তবতা চিএ

পাখি কখনো ডাল ভেঙ্গে পড়ে যাওয়ার
ভয় করে না।
কারন তার বিশ্বাস ডালের উপর নয়,
বিশ্বাস তার ডানার উপর।
তাই জিবনে চলার পথে নিজের উপর
ভরসা রাখ ।! অন্যের উপর নয়

সব পরিশ্রর্ম সৌভাগের পুশূতী নয়

একটি সিংহ দিনে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১৮ ঘন্টা ঘুমায়, অন্য দিকে একটি গাধাঁ দিনের ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১৮ ঘন্টাই কাজ করে।
পরিশ্রর্ম যদি সত্যই সৌভাগের পুশূতী হতো, তবে সিংহ নয় বনের রাজা গাধাঁই হতো। পরিশ্রমের সাথে মের্ধাও অবশ্যকৃয় জীবন যুদ্ধে জয়ী হওয়ার ও সফলতা অর্জনের জন্য।
লেখক : নাজিম নোহাস ।

যান্ত্রিকতা মুক্ত

খুব সহজেই মানুষকে বিশ্বাস করি
অতি দ্রুত মানুষকে আপন করি,,
কিন্তু এর ফল খুব একটা ভালো হয়না.
আমার এই অতি অল্প সময়ের আপনজনেরা.
আমাকে বোকা বানিয়ে,
সরলতার সুযোগে, আমার বিশ্বাস কে একটা কাগজের ঠোঙ্গা বানিয়ে,,,
আমাকে কষ্ট দেয়...........!!!
তারপরও.,
আমি সারাজীবন সহজ সরল হয়ে থাকতে চাই,
যান্ত্রিকতা মুক্ত.,,,,,


***(নাজিম নোহাস )***

মত বাদ

*খারাপ কোনো মানুষের সাথে কখনো তর্কে যাবেন না।
"কারন" তারা আপনাকে টেনে হিচড়ে তাদের পর্যায়/লেভেলে নিয়ে যাবে, এবং এরপর তাদের খারাপ কিছু অভিঙ্গতা দিয়ে আপনাকে পরাজিত করবে।*
***(নাজিম নোহাস )***
তোমাকে ঘিড়ে অনেক স্বপ্ন দেখার ইচ্ছা ছিলো,কিন্তূ সময়ের ব্যবধানে আমার সেই ইচ্ছে গুলো স্বপ্নেতেই পরিনত হল।
র্সবপরী বলতে হয়্,
পৃথিবী টা যতই বিশাল বাস্তবতা ঠিক ততটাই কঠিন ।
***(নাজিম নোহাস)***

অবিচ্ছেদ্ধ অংশ

আমি আমার সরল জীবনের এক অবিচ্ছেদ্ধ অংশ মাএ।
জীবন আমার কাছে গভীর অর্থবহুল, এবং লক্খ্য অর্জনের মাধ্যম।
তাই কোনো লোভ, খোভ বা ঘৃনা যাতে আমার ব্যাক্তিগত সিদ্ধান্তে ও কাজে প্রভাবিত না করে-সে বিষয়ে আমি সবসময় ই সজাগ থাকি। কিন্তূ অবাক হলাম তখন ই যখন নাকি কেউ আমার সরলতার শুযোগ নিয়ে আমাকে অহংকারী, ধোকাবাজ্, প্রতারক হিসেবে প্রমানিত করার জন্য গভীর ইচ্ছা প্রকাশ করে।
**আজ খুব জানতে ইচ্ছা করছে সত্যি কি আমি তাই।**
(নাজিম নোহাস)...

আমার কিছু কথা পর্বের ৩য়

(৩ পর্বের প্রথম র্পব)
***লিখছি আমি নাজিম নোহাস***।
*জীবনটা ছোট্ট, তার মাঝে কিছু গল্প,
তার মাঝে কিছু সূখ যা সবার আপন হয় না।
বাকি পড়ে থাকে শুধু দুঃখ কষ্ট আর যন্তনা যা না চাইলেও সবাই কে আপন করে,পড় কাউ কে করে না।*
(বাকি আর কিছু কথা যা এর পড়ের প্রোষ্টে পাবেন কিছু সময় পড় )

আমার কিছু কথা

*(২য় র্পব)
জীবনে এই প্রথম বারের মত আমার মাঝে হাজারো সূখের হাতছানি থাকা র্সতেও,
হঠাৎ নিজেকে আবিষ্কার করলাম অজানা এক কষ্টের মাঝে,খুবই বিশাল তার যত্ননার পরির্ধী। যা প্রকাশের অযোগ্য।
আমার সাথেই কেন এমন হয় ?
আমার মনে হয় না, এমন যন্তনা অধো কেউ পেয়েছে কি না !
যদি আমার মত এমন যন্তনা কেউ থাকে তবে
*আমার প্রশ্নঃ-?
তারা আজও বেচে আছে কি করে ।
কারন.
আমার মনে হয় না,
এমন দিন কেউ দেখার পর তার আর বাচার মত নতুন করে স্বর্প্ন যাকবে ।
যে ডালে ভর করি সেই ডাল ই ভেঙ্গে পড়ে। তাহলে কি বলবেন আমার ডাল নির্বাচনে কোথাও ভুল ছিল ?
না কি বলবেন পৃথিবীতে আজ আর এমন কোনো ডাল নেই যাতে বিশ্বাস কে পূজি করে নিজের আস্থা রাখা যায় ।
{উপরে উল্লিখিত ডাল শব্দটি কিছূ ব্যক্তির চরিএ বহন করছে}
*(নাজিম নোহাস্)...***
প্রতিটি মানুষের মনে কোনো না কোনো বেদনা থাকে।
হয় তো কেউ তা প্রকাশ করে চোখের জলে....
আবার কেউ তার বেদনা টাকে লুকিয়ে রেখে প্রকাশ করে লোক দেখানো মিষ্টি হাসির আরালে.....
***(নাজিম নোহাস )...***

আপন মানুষ

*আপনি যাকে বন্ধু ভাবছেন,
সে যদি হয় লোভি,বিশ্বাস ঘাতক,চরিএহীন নড়পশু তবে আপনার চিনহিত শত্রূর প্রয়োজন নেই।
কারন এ সব ব্যক্তি বন্ধু রূপী শত্রূ বিশেষ যা আপনি ও আপনার আগামির জন্য হুমকি সরূপ।
তারা শুযোগ পেলে আপনার বিশ্বাসকে চুর্ন্ন করে আপনাকে করবে নিশ্য র্সব শান্ত।
**(নাজিম নোহাস)**

আমার কথা

ঘুম ই আসে না
হয় নিদ্রা আসুক, না হয় এক্ষুনি অবসান হোক
এই অসহ রাত্রির । আমি আর সইতে পারছি না ।
আমার সহ্যের সীমা অতিক্রম করে গেছে নির্ঘুমতা ।
এই রাত্রি এখন আমার সহ্যসীমার বাইরে ।
দুঃখে-ক্ষোভে, অভিমানে আমার বুকের ভিতর থেকেবেরিয়ে আসছে দীর্ঘশ্বাস, যেন সমুদ্রের তলদেশ থেকেশূন্য হাতে উঠে আসা কোনো ব্যর্থ ডুবুরী ।চোখের ভিতরে হুল ফুটিয়ে বলি, একটু ঘুমাও,
আর কতক্ষণ, আর কতদিন এভাবে চলবে?
লক্ষীসোনা, মণি আমার, একটু ঘুমাও ।
মনকে বলি, এখন তো ছোট্ট ছেলেটি তুমি নও,
যে তোমাকে শোনাবে কেউ ঘুমপাড়ানিয়া গান ।
এখন তোমার ঘুমের জন্য কোন গান নেই ।
ভালোবাসার সাঁকো বেয়ে তুমি পৌছে গেছো এক
চির-নির্ঘুম দেশে, যেখানে দাউদাউ অগ্নিকুণ্ডে
জ্বলন্ত পৃথিবী; যেখানে নিদ্রা এক অচেনা প্রসঙ্গ ।
একশ' থেকে উল্টোদিকে শূণ্য পর্যন্ত গুনে
সেই কখন শেষ করেছি, তবু ঘুম আসে না ।
চিৎকার করে বলি, একশ এতো কম কেন?
দুঃখ আমাকে জাগিয়ে রাখে ।
আনন্দের সাধ্য কী সে পাল্লা দেবে
দুঃখের সঙ্গে, দুঃখ খুব জাগরণ ভালোবাসে ।
হায় আমার দিনগুলি রাতের সঙ্গে, আর
রাতগুলি দিনের সঙ্গে মিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে ।
একটি দিনকে অন্যদিন থেকে পৃথক করে যে-নিদ্রা,
সে-ই যদি অন্তর্হিত হয়, তবে কীভাবে আমি
অনুভব করি আমার সপ্রাণতা?
আমার কাঁধে চেপে বসেছে অখণ্ড সময়ের বোঝা ।
চিৎকার করে বলি, 'এ বোঝা আমার নামাও ।'
তুমি কি কিছু শোনার জন্য উৎকর্ণ হয়ে আছো?
প্রত্যাশা করছো কেউ তোমাকে কিছু বলবে?
কেউ তোমাকে কিচ্ছু বলবেনা, লক্ষীসোনা ভাই,
আমি বলছি, তুমি ঘুমাও । আরও একটু ভাবো,
বিশ্লেষণ করে দেখার চেষ্টা করো তোমার অস্তিত্ব;
'ভালোবাসা' শব্দিটিকে নাড়াচাড়া করে দেখো ।
হয়তো একটু হলেই রহস্যের সূত্র পেয়ে যাবে,
চোখের সামনেই খুলে যাবে অন্ধকারের তালা,
আর তুমি পেয়ে যাবে তোমার ঘুম-নগরীর চাবি ।
বাইরে থেকে চাপিয়ে দেয়া নকল নিদ্রা নয়,
তাকে তুমি ভিতর থেকে জাগাও ।

*আমার বারো চাদের গল্প*

জীবনটা আসলেই সুসজ্জিত এক মটর গাড়ী, যেখানে সাওয়ারী করে আমি, আপনি, তুমি, সে ও তুই নাম ধারী কিছু যাত্রীরা।
এই মটর গাড়ী এক অদ্ভুদ পীচ ঢালা পথে এগুতে থাকে; এক অন্যরকম গতিময়তায়।
কিন্তু এই পীচ ঢালা পথ; সব সময় মসৃন হয় না। 
কিছুটা পথ এগুতেই সম্মুখিন হতে হয়... একএকটা ভীমের সামনে।
সে বাধা হয়ে দাড়াঁয় প্রকান্ডতায়, নিজেকে জাহির করে হিমালয় বলে। যদি কেউ এই ভীমগুলো সহজভাবে অতিক্রম করতে পারে, তবেই সে পৌছাতে পারে তার অভিষ্ট লক্ষ্যে। আরযারা ব্যর্থ হয়, তাদের জন্যই অপেক্ষা করে মহা-অমানিশা নামক কিছু দুঃখ।
সেই লক্ষ্য আর দুঃখের মাঝে আজ আটকা পড়েছে নাজিম নোহাস।
লেখক: (নাজিম নোহাস)