https://www.facebook.com/reel/1613987389439525
শনিবার, ১২ মার্চ, ২০২২
"আমি সবসময় ভাল থাকি" বলা মানুষগুলো ভেতর থেকে আসলে ভাল নেই!......
যে মানুষটা তোমার মন খারাপের সময় মন ভাল করার আপ্রান চেষ্টা করে,তোমার হতাশার সময় কাঁধে হাত রেখে ভরসা দেয়, ভীষন অসহায়তায় তোমাকে অনুপ্রেরনা দেয়, কষ্ট হলে আশা দেখায়, অসুস্থ হলে ডাক্তার এর মতো কেয়ার নেয়,প্রয়োজন-অপ্রয়োজনে শাসন করে।
তুমি কি জানো??
এই মানুষটার ও মাঝে মাঝে মন খারাপ থাকে,এই মানুষটাও হতাশায় ভুগে, অসহায়তায় তোমার অনুপ্রেরনার অপেক্ষা করে,কষ্ট হয় , অসুস্থতায় একা একা বিছানায় কুকরে থাকে,কেয়ার চায়,শাসন চায় সর্বোপরি ভালোবাসা চায়!!!
হয়তো তুমি এসব নিয়ে ভাবোই না। তোমার কি দোষ বলো,পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষই ভাবে না। সবাই নিজে ভাল থাকতে চায়, সবাই মানুষের এটেনশন চায়,অবচেতন মন সব সময় চাইতে থাকে কেউ একজন ভীষন রকমের কেয়ার করুক,শাসন করুক,ভালোবাসুক, রাত দিন পেছনে ঘুরঘুর করুক।
পৃথিবীটা খুব নিষ্ঠুর!!!! তুমি যাকে রাত দিন আগলে রাখবে সে দেখা যাবে তোমাকে তেমন পাত্তাই দিবেনা। দিন শেষে তুমি একা হবা,ভীষন রকমের একা।
দুজন মানুষ একসাথে কোনো একটা সম্পর্কে থাকলেও সেখানে একজন কেয়ার নেয় আর একজন কেয়ার পায়, কেয়ার নেয়া মানুষগুলো দিন শেষে খুব একা হয়,বিশ্রী রকমের একাকীত্ব জাপটে ধরে,বেলা শেষে এই কেয়ার নেওয়া মানুষগুলোর কেয়ার নেয়ার কোন মানুষ থাকে না।
ভাল আছি বললেই যে সবাই ভাল থাকে না,এই ব্যাপারটা বুঝার ক্ষমতা খুব কম মানুষের আছে।
কি সাংঘাতিক একটা ব্যাপার,
কেমন আছিস জিজ্ঞেস করলে সারাদিন মুখস্ত নামতার মতো "আমি সবসময় ভাল থাকি" বলা মানুষগুলো ভেতর থেকে আসলে ভাল নেই!!!
আমরা সঠিক সময়ে কারো আগলে রাখাকে বুঝতে পারিনা,সঠিক সময়ে কেয়ারকে কেয়ার করিনা,তাদের ভালোবাসাগুলাও বুঝিনা আর যখন আমরা বুঝতে পারি তখন অনেক দেরি হয়ে যায়।ততোদিনে হয়ত সেই আগলে রাখার মানুষ্টি হাল ছেড়ে দেয়,আশা ছেড়ে দেয়,নিজেকে বদলে ফেলে,কেয়ার করা ছেড়ে দেয়!!!
তখন আমরা তাদের আগের মতো ফিরে পাওয়ার জন্য গিরগিয়াইতে থাকি,কষ্টে কাঁদতে থাকি,যত প্রকার দোয়া জানা অজানা থাকে সব করা শুরু করি,একটাবার আগের সবকিছু ঠিক করার সুযোগ খুঁজতে থাকি, মানুষটাকে আগের মত ফিরানোর চেষ্টা করি কিন্তু সম্ভব কি হয় সেই মানুষটাকে আবার আগের মত ফিরে পাওয়া?????
কষ্ট পাওয়া মানুষটা,অবহেলা পাওয়া মানুষটা কি আমাদের পরিবর্তন দেখে/না দেখে আবার ফিরতে চায় আমাদের কাছে?হয়ত চায়......হয়ত চায়না!!
উত্তর জানা নেই.....................
মাঝেমাঝে অবাক হই খুবই অবাক হই,বিরক্ত ও হই তবুও ভালোবেসে যাই,আরো বেশি ভালোবেসে যাই...
সে তখনি আপনাকে অনুভব করা শুরু করবে যখন সে আপনার জায়গায় আর কাউকে বসাতে পারবেনা।কাউকে না মানে কাউকে না!!
আসলে কারো জায়গা অন্য কাউকে দেয়া এতোটাও সহজ না যতোটা সহজ আমরা ভাবি যদি যদি....যদি সত্যিই আমরা সেই মানুষটাকে সত্যিকার অর্থে ভালোবাইসা থাকি....দূরে থাকতে থাকতে মানুষের মাঝে গ্যাপ সৃষ্টি হয়,আমরা সেটাকে দূরত্ব বলি কিন্তু মন?মনের মাঝখানে তো কোন গ্যাপ বা দূরত্ব সৃষ্টি হয়না,মন সেই আগের মতোই ভালোবাসতে থাকে বরং আগের মতো বললে ভুল হবে আগের থেকেও বেশি এবং অধিক যত্নের সাথে ভালোবাসতে ব্যস্ত থাকে মন।
দূরত্ব মানুষের মধ্যে হইতে পারে কিন্তু যারা মন থেকে একত্রিত থাকে তাদের মধ্যে কখনো দূরত্ব আসতে পারেনা আর আসলেও সেটা সাময়িক, স্থায়ী নয়!!!!
মাঝেমাঝে অবাক হই খুবই অবাক হই,বিরক্ত ও হই তবুও ভালোবেসে যাই,আরো বেশি ভালোবেসে যাই....
পৃথিবী বদলানোর আগে, নিজেকে বদলাতে হয়!
আপনি একটু কষ্ট করে নিজেকে খুলে দেখুন,
কত'টা মরিচার আস্তরন পড়ে গেছে আপনার ব্যক্তিত্বের উপর!
একটু খেয়াল করে দেখুন, বাইরে থেকে দেখতে পাওয়া আপনার আয়রন করা পরিপাটি দেহের গভীরে থাকা হৃদপিন্ডের ভেতর এখনো কি ন্যাপথালিনের ঘ্রাণ পাওয়া যায় কিনা?
আপনার মুখমন্ডলে ভেসে উঠা মানবিকতার উল্টা পাশটাকে, কোন ধরনের কর্পোরেট অহমিকা গ্রাস করে ফেলেনি তো?
আমরা সব সময় অন্যের দিকে তাকাই! অথচ, নিজের দিকে কখনো খেয়াল করি না!
আমরা অন্যের দোষ-ত্রুটি খুঁজতে ব্যস্ত রাখি নিজেকে! অন্যের ভুল খুঁজতে খুঁজতে আমরা একসময় নিজের কাছে নিজেই নিখোঁজ হয়ে যাই!
অথচ, নিজেকে অনুসন্ধান করাটা ভীষন জরুরী!
একজন ভালো মানুষ হিসেবে নিজেকে ১০ এর মধ্যে কত দিবেন জানতে চাইলে, আপনি কনফিউসড হয়ে যান!
আপনি নিজেকে নিজে নাম্বার দিতে গেলে, নেগেটিভ মার্কিং করেন!
একজন ভালো মানুষ হিসেবে আপনি নিন্ম শ্রেনীর জানার একটু পরই আপনি অন্য একটা মানুষকে জাজ করতে শুরু করেন!
আপনি ভুলে যান, নিজেকে জাজ করার ব্যাপারে আপনি একজন অদক্ষ মানুষ!
অন্য একটা মানুষকে জাজ করার আগে একটু যাচাই করে দেখুন,
আপনার বুকের ভেতর যেখানটায় পবিত্রতার আস্তরন পড়ে থাকার কথা ছিল,
সেখানটায় বিশ্বাসঘাতকতা, প্রতারনা, বেঈমানি অথবা দু-মুখো কোন অস্তিত্বের আস্তরন পড়ে গেছে কিনা!
পৃথিবী বদলানোর আগে, নিজেকে বদলাতে হয়!
নিজেকে একটু খুলে দেখুন, দেখবেন আপনি আপনার নিজের কাছেই অসহ্য হয়ে যাবেন!!!
যেমন আমি আমার নিজের কাছে অসহ্য হয়ে গেসি...
সুবর্ণা মুস্তফাকে অপি করিম প্রশ্ন করেছিলেন-
“”সুবর্ণা মুস্তফাকে অপি করিম প্রশ্ন করেছিলেন- "আচ্ছা, হুমায়ূন ফরিদীর সাথে আপনি বাইশ বছর তার সহধর্মিণী ছিলেন, হঠাৎ কী হয়েছিল যে আপনারা আলাদা হয়ে গেলেন?"
সুবর্ণা মুস্তফা ছোট্ট করে উত্তর দিয়েছিলেন- "বন্ধুত্বটা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল!" তারপর আস্তে করে বলেছিলেন- "হুমায়ূন ফরিদী যেহেতু আমাদের মাঝে আর নেই, কাজেই আমি আর বলতে চাই না এর চেয়ে বেশি কিছুই। কারণ যদি আমি বলি তাহলে ওর কথা বলার জায়গাটা নেই!"
আমি অবাক হয়ে দেখেছিলাম নিজের প্রাক্তনকেও কীভাবে সম্মান করতে হয়!
এই সম্মানটা আসে কীভাবে জানেন?
-বন্ধুত্ব থেকে!
কারিনা কাপুরের কাছে আরবাজ খানের সাথে সদ্য ডিভোর্স হওয়ার পর ' বলিউড সুপারস্টার মালাইকা অরোরা বলেছিলেন- “ডিভোর্স হওয়ার আগের রাতেও আমরা আলোচনা করেছিলাম, আমরা কি একসাথে থাকতে পারি, শুধরে নিতে পারি নিজেদেরকে? তারপর দেখলাম- না, সম্ভব না! বাট উই স্টিল হ্যাভ গুড ফ্রেন্ডশিপ!”
দুটো সাক্ষাৎকারেই একটা জায়গায় মিল পেয়েছিলাম। মালাইকা আর সুবর্ণা দুজনেই বলেছিলেন- কাছে থেকে সম্মান হারিয়ে ফেলার চেয়ে দূরে গিয়ে সম্মান রাখাটা বেশি সম্মানের!
তারা সেই স্বামীরূপী প্রেমিককে মিস করেননি, মিস করেছেন বন্ধুত্বের সম্পর্কটা!
মানুষ আসলে প্রেমিক প্রেমিকা খোঁজে না, মানুষ খোঁজে বন্ধু। প্রেমিকের কাছে প্রাক্তন প্রেমিকের কথা যতটা না সহজে বলা যায়, তারচেয়ে বলা যায় বন্ধুর কাছে!
এজন্য কেউ যখন সুবর্ণার মতো বাইশ বছরের সম্পর্ক, মালাইকার মতো ষোলো বছরের সংসার ছেড়ে যায় তখন আমরা ভাবি- আর একটু সহ্য করা যেতো না? কিন্তু কীসের অভাবে কেউ ছেড়ে যায় সব তা বুঝি না! তিক্ত হলেও সত্য- প্রেমিক ছাড়া একজীবন বেঁচে থাকা যায়, বন্ধু ছাড়া যায় না!
এজন্য প্রেমিকের এগিয়ে দেয়া হাতে হাত রেখেও আমরা খুঁজে বেড়াই সেই বন্ধুটিকে যাকে বলা যায় প্রথম প্রেম ভাঙ্গার কষ্ট, প্রথম স্পর্শের আবেগ। আমাদের জানাতে ভালো লাগে আমাদের অনূভুতিগুলো আসলে কেমন!
আমি বুঝেছিলাম প্রাক্তনের কথা শুনতে শুনতে তার সাথে স্বস্তির সাথে থাকা যায়! জীবনে প্রেম ছাড়া বেঁচে থাকা কঠিন না, কঠিন একজন কাছের বন্ধু ছাড়া বেঁচে থাকাটা!
আপনি হয়তো বলবেন দিনশেষে মানুষ আকাশের মতো একা। কিন্তু আমি বলবো মানুষ আকাশের মতো একা হলেও আকাশজুড়ে ভেসে থাকা মেঘদলের মতো দোকা! আকাশ নিজের জন্য মেঘ খুঁজে পেলে আপনি একজন বন্ধু পাবেন না কেন?
Understanding
Respect
Care
Friendship Matters In Every Relation...
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)
Recent
Weekly
-
এই যে। আপনি কিন্তু আমাকে আমার অনুমতি ছাড়া টাচ করবেন না। : মানে, কি বুঝলাম না। : বুঝতে হবে না। আপনি আমাকে টাচ করবেন না। করলে কিন্তু আমি কা...
-
স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা - এই তমা তোমার নাকটা এত ভোতা কেন? - বিয়ের সময় দেখে করোনি? - দেখেই তো করেছি! - তাহলে আবার নাক নিয়ে কথা বলছ কেন...
-
নিকিতা ম্যাডাম আপনাকে ডেকেছে ! আমি চোখ তুলে পিয়নের দিকে তাকালাম । মনে হল যেন পিয়নের মুখটা একটু হাসি হাসি । নিকিতা ম্যাডামের ঘরে ডাক পড...
-
সে তখনি আপনাকে অনুভব করা শুরু করবে যখন সে আপনার জায়গায় আর কাউকে বসাতে পারবেনা।কাউকে না মানে কাউকে না!! আসলে কারো জায়গা অন্য কাউকে দেয়া এতোট...
-
love of mine, with a song and a whine, you're harsh and divine, like truths and a lie. but, the tale ends not here, I have nothi...
-
যে মানুষটা তোমার মন খারাপের সময় মন ভাল করার আপ্রান চেষ্টা করে,তোমার হতাশার সময় কাঁধে হাত রেখে ভরসা দেয়, ভীষন অসহায়তায় তোমাকে অনুপ্রেরনা দেয়,...
-
নারায়ণগঞ্জ ...
-
গানের সুরের মতো বিকেলের দিকের বাতাসে পৃথিবীর পথ ছেড়ে –সন্ধ্যার মেঘের রঙ খুঁজে হৃদয় ভাসিয়া যায়,- সেখানে সে কারে ভালোবাসে !- পাখির মতন কেঁপে ...